ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিপ্লব হাসান ও নূরে আলম সিদ্দিকীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তুলতে দেয়নি তাদের স্বজনরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালে ২০ জুলাইয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছিল। লাশ উত্তোলন করতে না পেরে ফিরে আসতে বাধ্য হয় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নের্তৃত্বে একটি দল আদালতের নির্দেশে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে লাশ তুলতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ডৌহাখলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহিম আকন্দ ও একই ইউনিয়নের কৃষকদল নেতা আবুল কাশেম বাদি হয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেছিলেন ।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই জেলার গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের কলতাপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বিপ্লব হাসান (২০), নূরে আলম সিদ্দিকী ওরফে রাকিব (২০) ও জোবায়ের আহমেদ (২১) নামে তিন তরুণ নিহত হন। নিহত বিপ্লব কলতাপাড়া বাজার এলাকায় চূড়ালি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় তেলের মিলের শ্রমিক, নূরে আলম সিদ্দিকী রামগোপালপুর ইউনিয়নের দামগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও মাদ্রাসা শিক্ষক এবং জোবায়ের মইলাকান্দা ইউনিয়নের পূর্ব কাউরাট গ্রামের বাসিন্দা ও শম্ভুগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন। ঘটনার পর পুলিশ এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জোড়াজুড়িতে কোন প্রকার ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে স্বজনদের মরদেহ দাফন করতে বাধ্য করা হয়।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিহত হবার পর তৎকালীন ওসির নির্দেশে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তিন জনের মরদেহ দাফন করা হয়েছিল। মামলার স্বার্থে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও কে.এম রাফসান রাব্বির নেতৃত্বে পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা বুধবার বেলা ১১ টার দিকে নিহতদের বাড়িতে যায় কিন্তু স্থানীয়দের আপত্তিতে লাশ উত্তোলন করা যায়নি।
নিহত বিপ্লব হাসানের বাবা বাবুল মিয়া জানান, ছেলে হত্যায় আমি কোন মামলা করিনি। তাই আমার ছেলের লাশ তুলতে দেইনি। মামলা করব কিনা সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিইনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আবু সাঈদসহ সারাদেশে বহু ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের সবার লাশ তুললে আমার ছেলের লাশও তুলতে কোন আপত্তি থাকবেনা বলে জানান নূরে আলম সিদ্দিকীর বাবা আবদুল হালিম ।
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিপ্লব হাসান ও নূরে আলম সিদ্দিকীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তুলতে দেয়নি তাদের স্বজনরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালে ২০ জুলাইয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছিল। লাশ উত্তোলন করতে না পেরে ফিরে আসতে বাধ্য হয় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নের্তৃত্বে একটি দল আদালতের নির্দেশে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে লাশ তুলতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ডৌহাখলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহিম আকন্দ ও একই ইউনিয়নের কৃষকদল নেতা আবুল কাশেম বাদি হয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেছিলেন ।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই জেলার গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের কলতাপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বিপ্লব হাসান (২০), নূরে আলম সিদ্দিকী ওরফে রাকিব (২০) ও জোবায়ের আহমেদ (২১) নামে তিন তরুণ নিহত হন। নিহত বিপ্লব কলতাপাড়া বাজার এলাকায় চূড়ালি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় তেলের মিলের শ্রমিক, নূরে আলম সিদ্দিকী রামগোপালপুর ইউনিয়নের দামগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও মাদ্রাসা শিক্ষক এবং জোবায়ের মইলাকান্দা ইউনিয়নের পূর্ব কাউরাট গ্রামের বাসিন্দা ও শম্ভুগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন। ঘটনার পর পুলিশ এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জোড়াজুড়িতে কোন প্রকার ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে স্বজনদের মরদেহ দাফন করতে বাধ্য করা হয়।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিহত হবার পর তৎকালীন ওসির নির্দেশে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তিন জনের মরদেহ দাফন করা হয়েছিল। মামলার স্বার্থে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও কে.এম রাফসান রাব্বির নেতৃত্বে পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা বুধবার বেলা ১১ টার দিকে নিহতদের বাড়িতে যায় কিন্তু স্থানীয়দের আপত্তিতে লাশ উত্তোলন করা যায়নি।
নিহত বিপ্লব হাসানের বাবা বাবুল মিয়া জানান, ছেলে হত্যায় আমি কোন মামলা করিনি। তাই আমার ছেলের লাশ তুলতে দেইনি। মামলা করব কিনা সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিইনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আবু সাঈদসহ সারাদেশে বহু ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের সবার লাশ তুললে আমার ছেলের লাশও তুলতে কোন আপত্তি থাকবেনা বলে জানান নূরে আলম সিদ্দিকীর বাবা আবদুল হালিম ।