ভোলায় গ্যাসের মজুদ বৃদ্ধির খবর সঠিক নয়
দেশি কোম্পানির চেয়ে রাশিয়ার গ্যাজপ্রমের কূপ খননের ব্যয় বেশি বলে যে অভিযোগ রয়েছে তা তদন্ত করবে অন্তর্বর্তী সরকার। টেন্ডার ছাড়া বিশেষ বিধানে কাজ দেওয়ায় এ প্রকল্পে ‘অনিয়মের আশঙ্কা’ নিয়ে আলোচনা থাকায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আর গ্যাজপ্রমের গবেষণার বরাতে ভোলায় গ্যাসের মজুদ বেড়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা ‘সঠিক নয়’ বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
ভোলার গ্যাস মজুদ নিয়ে এক পর্যালোচনা শেষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকেএ সব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভোলায় ৫ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাসের মজুদ নিয়ে গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়।
জ্বালানি বিভাগ জানায়, ভোলায় বর্তমানে ২ টিসিএফ গ্যাসের প্রমাণিত মজুদ রয়েছে।
জানা গেছে, চলতি মাসের মাঝামাঝি বাপেক্স ও গ্যাজপ্রমের এক যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে গণমাধ্যমে বলা হয়, দ্বীপজেলা ভোলায় ৫ দশমিক ১০৯ টিসিএফ উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদের সন্ধান পাওয়া গেছে।
ওই প্রতিবেদনে তখন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ইতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন।
এরপর বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম, ম. তামিমসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে পর্যালোচনায় বসেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, ‘ভোলায় ৫ দশমিক ১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদের তথ্যটা যদি সঠিক হতো, তাহলে আজ আমরা উৎসব করতাম। কারণ কোনো সংকট থাকতো না। গ্যাস আমদানির প্রয়োজন হতো না।’
সংবাদ সম্মেলনে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব জানান, ভোলার চরফ্যাশনে সাইসমিক জরিপের কোন ডাটা নেই। শাহবাজপুর, ভোলা এবং ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রে ২ দশমিক ০৪৭ টিসিএফ (উত্তোলনযোগ্য ১.৪৩২ টিসিএফ) প্রমাণিত গ্যাস রিজার্ভ রয়েছে।ভোলায় এ পর্যন্ত ৯টি কূপ খনন করা হয়েছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেন, ‘গ্যাসের মজুদ নির্ণয়ের জন্য প্রথমে সাইসমিক সার্ভে করা হয়। তারপর সার্ভের তথ্য উপাত্ত দেখে কোম্পানিগুলো ঠিক করে সবচেয়ে বেশি কোথায় সম্ভাবনা রয়েছে গ্যাসের। সেখানে তারা কূপ খনন করে। খননের পর যদি গ্যাস পাওয়া যায় তখন তারা এটাকে প্রমাণিত মজুত হিসেবে ঘোষণা দেয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রমাণিত কিংবা সম্ভাব্য না হলে আমরা কোনো গ্যাসের মজুদ হিসাবে আনি না। মজুদের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সেটা বিভ্রান্তিকর।’
বদরুল ইমাম বলেন, ‘ভোলাতে যে ৫ টিসিএফ গ্যাসের কথা বলা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ ভুল। খনন না করা পর্যন্ত মজুদ বলা যাবে না।’
পরে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘যেই জায়গাটার কথা বলা হচ্ছে সেখানে আমরা সাইসমিক সার্ভে ও খনন শুরু করবো। বুধবার একনেকে চারটি কূপ খননের জন্য প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অনিয়ম চিহ্নিত করতে কমিটি করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোলায় গ্যাসের মজুদ বৃদ্ধির খবর সঠিক নয়
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশি কোম্পানির চেয়ে রাশিয়ার গ্যাজপ্রমের কূপ খননের ব্যয় বেশি বলে যে অভিযোগ রয়েছে তা তদন্ত করবে অন্তর্বর্তী সরকার। টেন্ডার ছাড়া বিশেষ বিধানে কাজ দেওয়ায় এ প্রকল্পে ‘অনিয়মের আশঙ্কা’ নিয়ে আলোচনা থাকায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আর গ্যাজপ্রমের গবেষণার বরাতে ভোলায় গ্যাসের মজুদ বেড়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা ‘সঠিক নয়’ বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
ভোলার গ্যাস মজুদ নিয়ে এক পর্যালোচনা শেষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকেএ সব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভোলায় ৫ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাসের মজুদ নিয়ে গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়।
জ্বালানি বিভাগ জানায়, ভোলায় বর্তমানে ২ টিসিএফ গ্যাসের প্রমাণিত মজুদ রয়েছে।
জানা গেছে, চলতি মাসের মাঝামাঝি বাপেক্স ও গ্যাজপ্রমের এক যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে গণমাধ্যমে বলা হয়, দ্বীপজেলা ভোলায় ৫ দশমিক ১০৯ টিসিএফ উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদের সন্ধান পাওয়া গেছে।
ওই প্রতিবেদনে তখন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ইতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন।
এরপর বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম, ম. তামিমসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে পর্যালোচনায় বসেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, ‘ভোলায় ৫ দশমিক ১০৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদের তথ্যটা যদি সঠিক হতো, তাহলে আজ আমরা উৎসব করতাম। কারণ কোনো সংকট থাকতো না। গ্যাস আমদানির প্রয়োজন হতো না।’
সংবাদ সম্মেলনে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব জানান, ভোলার চরফ্যাশনে সাইসমিক জরিপের কোন ডাটা নেই। শাহবাজপুর, ভোলা এবং ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রে ২ দশমিক ০৪৭ টিসিএফ (উত্তোলনযোগ্য ১.৪৩২ টিসিএফ) প্রমাণিত গ্যাস রিজার্ভ রয়েছে।ভোলায় এ পর্যন্ত ৯টি কূপ খনন করা হয়েছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেন, ‘গ্যাসের মজুদ নির্ণয়ের জন্য প্রথমে সাইসমিক সার্ভে করা হয়। তারপর সার্ভের তথ্য উপাত্ত দেখে কোম্পানিগুলো ঠিক করে সবচেয়ে বেশি কোথায় সম্ভাবনা রয়েছে গ্যাসের। সেখানে তারা কূপ খনন করে। খননের পর যদি গ্যাস পাওয়া যায় তখন তারা এটাকে প্রমাণিত মজুত হিসেবে ঘোষণা দেয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রমাণিত কিংবা সম্ভাব্য না হলে আমরা কোনো গ্যাসের মজুদ হিসাবে আনি না। মজুদের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সেটা বিভ্রান্তিকর।’
বদরুল ইমাম বলেন, ‘ভোলাতে যে ৫ টিসিএফ গ্যাসের কথা বলা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ ভুল। খনন না করা পর্যন্ত মজুদ বলা যাবে না।’
পরে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘যেই জায়গাটার কথা বলা হচ্ছে সেখানে আমরা সাইসমিক সার্ভে ও খনন শুরু করবো। বুধবার একনেকে চারটি কূপ খননের জন্য প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অনিয়ম চিহ্নিত করতে কমিটি করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।