alt

সারাদেশ

সিপিডির সংবাদ সম্মেলন

দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা : সিপিডি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের রিসার্চ ডিরেক্টর খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, এবারের বন্যায় সরকারি খাতের চাইতে বেসরকারি খাত অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় ৫৩ শতাংশ। ব্যক্তি খাতের এ ক্ষয়ক্ষতি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। তাই সামনের দিনে দুর্যোগে সহযোগিতার যে কাঠামো তাতে পরিবর্তন আনতে হবে।

রোববার (৬ অক্টোবর) সিপিডি কার্যালয়ে পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এবারের বন্যা প্রকৃতিগতভাবে ভিন্ন ছিল। বন্যা থেমে গেলেও পানি নামছিল না। সচরাচর যেসব অঞ্চল প্লাবিত হয়, এবারের বন্যায় সে সবের বাইরের অঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে এমন আরও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হবে- তেমনটা ভেবেই আমাদের দুর্যোগ মোকাবিলা কার্যক্রম সাজাতে হবে।

তিনি বলেন, বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পর সাধারণত সরকারি ক্রেডিট থেকে একটা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা সরকারি খাতেই করা হয়। কিন্তু আগামীতে বেসরকারি খাতেও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা তৈরি কররে হবে। আর এ ক্রেডিট সাপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিজ্ঞান মন্সকতার দরকার রয়েছে। আমরা মনে করি দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে সরকারের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি থাকা দরকার। তাদের কাজ হবে দুর্যোগের ক্ষতি থেকে যেন মানুষ বেরিয়ে আসতে পারেন তেমন একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।

বক্তব্যে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যা জিডিপির দশমিক ২৬ শতাংশ। এরমধ্যে কৃষি ও বন খাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৫ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা।

ফাহমিদা খাতুন আরো বলেন, অবকাঠামো খাতে ৪ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা ও ঘরবাড়িতে ২ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা হিসাবে নোয়াখালীতে বেশী ক্ষতি হয়েছে। এ জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে কুমিল্লা জেলা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়হীনতার ঘাটতি ছিল। এ কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধি থাকা দরকার ছিল কি না তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কোনো ব্যক্তি একাধিকবার ত্রাণ পেয়েছেন, আবার অনেকেই পাননি।

ছবি

মুরাদনগরে ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি ৩৮ বিশিষ্ট নাগরিকের

ছবি

নওগাঁয় ৯০টি খামারে তৈরি হচ্ছে কেঁচো সার

বরমচাল চা বাগানের ইতি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

ছবি

তারাগঞ্জ প্রাণীসম্পদ অফিস চত্বরে ফুলের চারাগাছ রোপন

বটিয়াঘাটায় ব্যবসায়ীদের মাঝে পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ বিতরণ

কলারোয়ায় আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে অভিযান

পীরগাছায় ছেলের অপরাধে মধ্যযুগীয় কায়দায় বাবার ওপর নির্যাতন

নোয়াখালীতে বিধবাকে গণধর্ষণ

কাজে ফিরেছেন হিলি কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

ছবি

প্লাস্টিকের বস্তায় চাল বাজারজাত করার জরিমানা

শিক্ষার্থীকে বস্তায় ভরে নির্যাতনের ঘটনায় শিক্ষক কারাগারে

সমিতির জমানো টাকা ফেরত না পেয়ে শোকে মৃত্যু

ছবি

নবীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৩

কুষ্টিয়ায় সেতুর টোল আদায় বন্ধে দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, যানজট, ভোগান্তি

নড়াইলে এইচএসসিতে সেট পরিবর্তন কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে অব্যাহতি

ছবি

ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত ১০

চিলমারী তেল ডিপো রক্ষায় কুড়িগ্রামে শ্রমিকদের মানববন্ধন

মোহনগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্পের জৌলুস

ছবি

চিলমারীতে অসময়ের বন্যা পাটচাষিরা চিন্তিত

ছবি

সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার পণ্য আটক করল সুনামগঞ্জ বিজিবি

প্রেমের টানে ভারতীয় যুবক লালমনিরহাটে

মহাদেবপুরে অতিরিক্ত ধানচাল মজুদ জেল-জরিমানা, ধান কেনা বন্ধ

ছবি

৬৭০ টাকার বীজ ধান ৭’শ ৫০ টাকা বিক্রি!

সন্তান জন্ম দিয়ে পরীক্ষা দিলেন অদম্য ইশা

জেলা আ.লীগের সভাপতি নাছির দুই দিনের রিমান্ডে

ছবি

বেনাপোল বন্দরে পানি নিষ্কাশনের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য খালাস

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ফারিহা

ছবি

বেড়িবাঁধের দুই কিলোমিটার রাস্তাটি এখন গলার কাঁটায়

কালীগঞ্জে হোল্ডিং ট্যাক্স ইস্যুতে পৌরবাসীর সঙ্গে ইউএনওর সরাসরি সংলাপ

ছবি

এনবিআরের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়ায় বেনাপোল বন্দরে কার্যক্রম শুরু

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৯,৬২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার

চট্টগ্রামে জন্ম থেকে ১৫ মাস বয়সী শিশুদের জন্য নতুন প্রকল্প : কার্যক্রম চলবে ৬ জেলায়

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযান আটক ৩

ছবি

নেত্রকোনায় চক্ষু চিকিৎসার নামে প্রতারণা

tab

সারাদেশ

সিপিডির সংবাদ সম্মেলন

দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা : সিপিডি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের রিসার্চ ডিরেক্টর খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, এবারের বন্যায় সরকারি খাতের চাইতে বেসরকারি খাত অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় ৫৩ শতাংশ। ব্যক্তি খাতের এ ক্ষয়ক্ষতি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। তাই সামনের দিনে দুর্যোগে সহযোগিতার যে কাঠামো তাতে পরিবর্তন আনতে হবে।

রোববার (৬ অক্টোবর) সিপিডি কার্যালয়ে পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এবারের বন্যা প্রকৃতিগতভাবে ভিন্ন ছিল। বন্যা থেমে গেলেও পানি নামছিল না। সচরাচর যেসব অঞ্চল প্লাবিত হয়, এবারের বন্যায় সে সবের বাইরের অঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে এমন আরও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হবে- তেমনটা ভেবেই আমাদের দুর্যোগ মোকাবিলা কার্যক্রম সাজাতে হবে।

তিনি বলেন, বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পর সাধারণত সরকারি ক্রেডিট থেকে একটা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা সরকারি খাতেই করা হয়। কিন্তু আগামীতে বেসরকারি খাতেও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা তৈরি কররে হবে। আর এ ক্রেডিট সাপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিজ্ঞান মন্সকতার দরকার রয়েছে। আমরা মনে করি দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে সরকারের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি থাকা দরকার। তাদের কাজ হবে দুর্যোগের ক্ষতি থেকে যেন মানুষ বেরিয়ে আসতে পারেন তেমন একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।

বক্তব্যে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যা জিডিপির দশমিক ২৬ শতাংশ। এরমধ্যে কৃষি ও বন খাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৫ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা।

ফাহমিদা খাতুন আরো বলেন, অবকাঠামো খাতে ৪ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা ও ঘরবাড়িতে ২ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা হিসাবে নোয়াখালীতে বেশী ক্ষতি হয়েছে। এ জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে কুমিল্লা জেলা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়হীনতার ঘাটতি ছিল। এ কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধি থাকা দরকার ছিল কি না তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কোনো ব্যক্তি একাধিকবার ত্রাণ পেয়েছেন, আবার অনেকেই পাননি।

back to top