বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি- মায়ানমার, সীমান্তের চোরাকারবার ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নতুন কৌশলে অভিযান শুরু করেছে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি। বিজিবি ৩ কৌশলে এ অভিযান শুরু করেছেন গত কদিন ধরে। আর এ কৌশলে সুফলও পাচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যে কোটি টাকা নানা পণ্য জব্দ করেছেন এ সময়। পাশাপাশি দিশেহারা হয়ে পড়েছে চোরাকারীদলও। সরেজমিন গিয়ে মঙ্গলবার নানা মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য পান এ প্রতিবেদক।
বিজিবি সূত্র জানান, তাদের দায়িত্বপুর্ণ এলাকা হল নিকুছড়ি ধেকে আলীকদম সীমানা পর্যন্ত। দীর্ঘ এ সীমান্ত এলাকায় বিজিবি চৌকিতে থেকে ২ কৌশলে সীমান্ত এলাকা পাহারা দিতেন। এর ১ টি হল পা হেটে অন্যটি চৌকি থেকে সোর্স বসিয়ে। তবে আঁকা-বাঁকা ও উচু-নিচু সীমান্ত সড়কে পায়ে হেটে চোরাচালান বন্ধ অতি কঠিন কাজ ছিল। সে কারণে চেরাকারবারীরা অনেকটা পার পেয়ে যেত। বর্তমানে নতুন কৌশলে এ টহল দেয়া হচ্ছে। আর হলো বিজিবির গাড়ি নিয়ে নিয়মিত এবং সার্বক্ষণিক টহল। সীমান্তের বাসিন্দারা জানান,সীমান্তে চোরাকারবার বেড়েছে গত ২ বছর ধরে।
জঙ্গলাকীর্ণ সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিজিবি অভিযান চালালেও চোরাকারবারীরা নানা ফন্দি এটে তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিল অতি গোপণে। তারা সে দেশ থেকে আসা ইয়াবা টেবলেট,মদ,মেথ স্বর্ণ, পশু ও অন্যান্য নিয়ে আসে। আর এ দেশ থেকে পাচার করে ইউরিয়া সার,চাল,ভোজ্য তেল,জ্বালানি তেল সহ কয়েকশ প্রকারের পণ্য।
এ অবস্থায় ১১ বিজিবি কতৃপক্ষ তাদের আগের কৌশলের কিছু নতুনত্ব নিয়ে পরিকল্পনা হাতে নেন। তারা সীমান্তে রাত-দিন টহল জোরদার করে ৩ কৌশলে।যেমন পা হেঁটে টহল,অস্থায়ী ক্যাম্প বসিয়ে নজরদারী ও গাড়ি যোগে সার্বক্ষণিক টহলের মাধ্যমে অভিযান।
সূত্র আরো জানান,এভাবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ অভিযান চালান পরিবর্তিত কৌশলে। সফলও হন এতে। যাতে জব্দ হচ্ছে কোটি টাকার মালামাল। ছবিটি সোমবার সন্ধ্যা ও রাতে তোলা হয়েছে সীমান্তের ৪৭ ও ৪৯ নম্বর পিলার এলাকা থেকে। যা আগে শুধু পা হেঁটে বা অস্খায়ী চৌকি বসিয়ে সীমান্তে পাহারা দেয়া হত।
নতুন কৌশলের সীমান্তে চোরাচালান ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধের জন্যে করা অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ১১ বিজিবি অধিনায়ক ও জোন কমান্তার লে: কর্ণেল সাহল আহমদ নোবেল। তিনি বলেন,এবার সব ধরণের চোরাই কারবার বন্ধ করার বিষয়ে নিয়ে চক এঁকেছেন তিনি। যার মাধ্যমে অতি দ্রুত সবই প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান এ প্রতিবেদককে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ যেন না হয় তার জন্যে তিনি কঠোর সতর্কাবস্থানে রেখেছেন তার জোয়ানদের।
বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি- মায়ানমার, সীমান্তের চোরাকারবার ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নতুন কৌশলে অভিযান শুরু করেছে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি। বিজিবি ৩ কৌশলে এ অভিযান শুরু করেছেন গত কদিন ধরে। আর এ কৌশলে সুফলও পাচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যে কোটি টাকা নানা পণ্য জব্দ করেছেন এ সময়। পাশাপাশি দিশেহারা হয়ে পড়েছে চোরাকারীদলও। সরেজমিন গিয়ে মঙ্গলবার নানা মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য পান এ প্রতিবেদক।
বিজিবি সূত্র জানান, তাদের দায়িত্বপুর্ণ এলাকা হল নিকুছড়ি ধেকে আলীকদম সীমানা পর্যন্ত। দীর্ঘ এ সীমান্ত এলাকায় বিজিবি চৌকিতে থেকে ২ কৌশলে সীমান্ত এলাকা পাহারা দিতেন। এর ১ টি হল পা হেটে অন্যটি চৌকি থেকে সোর্স বসিয়ে। তবে আঁকা-বাঁকা ও উচু-নিচু সীমান্ত সড়কে পায়ে হেটে চোরাচালান বন্ধ অতি কঠিন কাজ ছিল। সে কারণে চেরাকারবারীরা অনেকটা পার পেয়ে যেত। বর্তমানে নতুন কৌশলে এ টহল দেয়া হচ্ছে। আর হলো বিজিবির গাড়ি নিয়ে নিয়মিত এবং সার্বক্ষণিক টহল। সীমান্তের বাসিন্দারা জানান,সীমান্তে চোরাকারবার বেড়েছে গত ২ বছর ধরে।
জঙ্গলাকীর্ণ সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিজিবি অভিযান চালালেও চোরাকারবারীরা নানা ফন্দি এটে তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিল অতি গোপণে। তারা সে দেশ থেকে আসা ইয়াবা টেবলেট,মদ,মেথ স্বর্ণ, পশু ও অন্যান্য নিয়ে আসে। আর এ দেশ থেকে পাচার করে ইউরিয়া সার,চাল,ভোজ্য তেল,জ্বালানি তেল সহ কয়েকশ প্রকারের পণ্য।
এ অবস্থায় ১১ বিজিবি কতৃপক্ষ তাদের আগের কৌশলের কিছু নতুনত্ব নিয়ে পরিকল্পনা হাতে নেন। তারা সীমান্তে রাত-দিন টহল জোরদার করে ৩ কৌশলে।যেমন পা হেঁটে টহল,অস্থায়ী ক্যাম্প বসিয়ে নজরদারী ও গাড়ি যোগে সার্বক্ষণিক টহলের মাধ্যমে অভিযান।
সূত্র আরো জানান,এভাবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ অভিযান চালান পরিবর্তিত কৌশলে। সফলও হন এতে। যাতে জব্দ হচ্ছে কোটি টাকার মালামাল। ছবিটি সোমবার সন্ধ্যা ও রাতে তোলা হয়েছে সীমান্তের ৪৭ ও ৪৯ নম্বর পিলার এলাকা থেকে। যা আগে শুধু পা হেঁটে বা অস্খায়ী চৌকি বসিয়ে সীমান্তে পাহারা দেয়া হত।
নতুন কৌশলের সীমান্তে চোরাচালান ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধের জন্যে করা অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ১১ বিজিবি অধিনায়ক ও জোন কমান্তার লে: কর্ণেল সাহল আহমদ নোবেল। তিনি বলেন,এবার সব ধরণের চোরাই কারবার বন্ধ করার বিষয়ে নিয়ে চক এঁকেছেন তিনি। যার মাধ্যমে অতি দ্রুত সবই প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান এ প্রতিবেদককে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ যেন না হয় তার জন্যে তিনি কঠোর সতর্কাবস্থানে রেখেছেন তার জোয়ানদের।