নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামে ‘মুক্তিধাম আশ্রম ও লালন একাডেমি’ প্রাঙ্গণে শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘গুরুকর্ম’ শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু প্রশাসন ও স্থানীয় ধর্মীয় দলের চাপের মুখে লালন মেলার আয়োজন বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় ‘তৌহিদী জনতা’ গ্রুপের বিক্ষোভ ও হুমকির কারণে জেলা প্রশাসন লালন মেলা আয়োজনের অনুমতি দেয়নি। শুক্রবার দুপুরে যখন আশ্রমের প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে দেখা গেল, সেখানে সজীব পরিবেশ ছিল না; ত্রিপল সরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং লালনভক্তরা ফিরে যাচ্ছিলেন। আয়োজক ফকির শাহ জালাল জানান, প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনো ধরনের গান-বাজনা বা সাধুসঙ্গের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে গত সপ্তাহে ‘তৌহিদী জনতা’ এই মেলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করে এবং স্থানীয় ঈদগাহে এক সভা আয়োজন করে, যেখানে হেফাজতে ইসলামের নেতারা মেলা বন্ধের হুমকি দেন। প্রতিবাদে মুক্তিধাম আশ্রম ও লালন একাডেমির পক্ষ থেকে মানববন্ধনও আয়োজন করা হয়েছিল, কিন্তু প্রশাসন তাতে সাড়া দেয়নি।
মেলার আয়োজন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা লালনভক্তরা হতাশ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কুমিল্লা থেকে আসা কামাল উদ্দিন বলেন, “প্রতিবছর এখানে আসি, তবে এবার প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ফিরে যাচ্ছি।”
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন জানায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, এবং নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিল।
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামে ‘মুক্তিধাম আশ্রম ও লালন একাডেমি’ প্রাঙ্গণে শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘গুরুকর্ম’ শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু প্রশাসন ও স্থানীয় ধর্মীয় দলের চাপের মুখে লালন মেলার আয়োজন বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় ‘তৌহিদী জনতা’ গ্রুপের বিক্ষোভ ও হুমকির কারণে জেলা প্রশাসন লালন মেলা আয়োজনের অনুমতি দেয়নি। শুক্রবার দুপুরে যখন আশ্রমের প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে দেখা গেল, সেখানে সজীব পরিবেশ ছিল না; ত্রিপল সরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং লালনভক্তরা ফিরে যাচ্ছিলেন। আয়োজক ফকির শাহ জালাল জানান, প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনো ধরনের গান-বাজনা বা সাধুসঙ্গের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে গত সপ্তাহে ‘তৌহিদী জনতা’ এই মেলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করে এবং স্থানীয় ঈদগাহে এক সভা আয়োজন করে, যেখানে হেফাজতে ইসলামের নেতারা মেলা বন্ধের হুমকি দেন। প্রতিবাদে মুক্তিধাম আশ্রম ও লালন একাডেমির পক্ষ থেকে মানববন্ধনও আয়োজন করা হয়েছিল, কিন্তু প্রশাসন তাতে সাড়া দেয়নি।
মেলার আয়োজন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা লালনভক্তরা হতাশ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কুমিল্লা থেকে আসা কামাল উদ্দিন বলেন, “প্রতিবছর এখানে আসি, তবে এবার প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ফিরে যাচ্ছি।”
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন জানায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, এবং নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিল।