আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হবে। প্রতিদিন যেতে পারবেন দুই হাজার পর্যটক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত এবং জাহাজ চলাচলের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে কক্সবাজার শহরে জাহাজ চলাচলের ঘাট নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে সম্প্রতি নাফ নদীতে ডুবোচর জেগে ওঠার কারণে নাব্যতার সংকটে এবং মায়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। শুধু কক্সবাজার শহর থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে প্রতিদিন জাহাজ ছাড়া হবে।
সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণে সরকারের গঠিত কমিটির প্রথম সভায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের একটি জাহাজকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম ) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য কেয়ারি সিন্দাবাদ আবেদন করেছিল। জাহাজটি যাচাই-বাছাই শেষে কক্সবাজার শহর থেকে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছে।
কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড লিমিটেডে’র কক্সবাজারের ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ ছিদ্দিকী বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিত অনুমতি পেয়েছি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাল বৃহস্পতিবার থেকে জাহাজ চলাচল শুরু করা হবে।
এদিকে, গত ১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে সেন্টমার্টিনের পর্যটন নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন এবং একই সঙ্গে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল নিয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কর্মপরিধি হিসেবে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ওঠার আগে এন্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তৈরি করা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস নিতে হবে।
ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে গঠিত কমিটি। পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পর্যটকেরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছার পর কোন হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হবে। জাহাজ ছাড়ার স্থানে ও সেন্টমার্টিনের এন্ট্রি পয়েন্টে পর্যটকদের জন্য করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয় সার্বিক বিষয় ও যোগাযোগ সমন্বয় করবে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর সরকারের পক্ষ থেকে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ছয় মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হবে। প্রতিদিন যেতে পারবেন দুই হাজার পর্যটক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত এবং জাহাজ চলাচলের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে কক্সবাজার শহরে জাহাজ চলাচলের ঘাট নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে সম্প্রতি নাফ নদীতে ডুবোচর জেগে ওঠার কারণে নাব্যতার সংকটে এবং মায়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। শুধু কক্সবাজার শহর থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে প্রতিদিন জাহাজ ছাড়া হবে।
সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণে সরকারের গঠিত কমিটির প্রথম সভায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের একটি জাহাজকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম ) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য কেয়ারি সিন্দাবাদ আবেদন করেছিল। জাহাজটি যাচাই-বাছাই শেষে কক্সবাজার শহর থেকে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছে।
কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড লিমিটেডে’র কক্সবাজারের ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ ছিদ্দিকী বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিত অনুমতি পেয়েছি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাল বৃহস্পতিবার থেকে জাহাজ চলাচল শুরু করা হবে।
এদিকে, গত ১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে সেন্টমার্টিনের পর্যটন নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন এবং একই সঙ্গে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল নিয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কর্মপরিধি হিসেবে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ওঠার আগে এন্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তৈরি করা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস নিতে হবে।
ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে গঠিত কমিটি। পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পর্যটকেরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছার পর কোন হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হবে। জাহাজ ছাড়ার স্থানে ও সেন্টমার্টিনের এন্ট্রি পয়েন্টে পর্যটকদের জন্য করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয় সার্বিক বিষয় ও যোগাযোগ সমন্বয় করবে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর সরকারের পক্ষ থেকে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ছয় মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।