alt

সম্পাদকীয়

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

: বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

পোশাক শিল্প দীর্ঘদিন ধরে দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি শুধু কর্মসংস্থান নয়, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক উন্নয়নকেও প্রভাবিত করতে পারে।

প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, দেশে পোশাক শিল্পে কর্মরত নারী শ্রমিকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাচ্ছে। শিল্প খাতে মজুরি বৃদ্ধির কারণে অনেক নারী শ্রমিক অন্যান্য পেশায় যোগ দিচ্ছেন। পাশাপাশি, কাজের চাপ ও কাজের পরিবেশের কারণে অনেকেই এ খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। অর্থনীতিবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এটি শুধু শ্রমবাজার নয়, বরং সামগ্রিক সামাজিক কাঠামোর জন্যও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

নারী শ্রমিকদের সংখ্যা হ্রাসের পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, কাজের অনুন্নত পরিবেশ। অনেক পোশাক কারখানায় এখনো কাজের পরিবেশ আন্তর্জাতিক মানদ- পূরণ করতে পারেনি। আবার অনেক কারখানা মালিক ত্রিশোর্ধ্ব নারী শ্রমিকদের কাজে রাখতে চান না।

এখন কর্মসংস্থানের বহুমুখী বিকল্প তৈরি হয়েছে। অন্যান্য খাতে মজুরি বেড়েছে, সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। এতে করে পোশাক খাতের প্রতি নারীদের আগ্রহ কমছে। অন্যান্য খাতে সুযোগ-সুবিধা বাড়া একটি ভালো খবর। প্রশ্ন হচ্ছে, অন্যান্য খাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পোশাক খাতে কেন সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে না।

পোশাক খাতে কাজ করা নারীদের এখনো অনেক সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। অনেক নারী শ্রমিক পারিবারিক ও সামাজিক কারণে কর্মক্ষেত্র থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।

পোশাক খাতে নারীর অংশগ্রহণ কমার ফলে কোন ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে সেটা বুঝতে হবে। সংকট মোকাবিলায় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এজন্য প্রথমেই কারখানার কাজের পরিবেশ উন্নত করা দরকার। কারখানাগুলোতে নারী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগও বাড়াতে হবে। প্রণোদনা দেয়ার মাধ্যমে পোশাক শিল্পে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে।

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের সক্রিয় এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি। সরকার, উদ্যোক্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা সম্ভব হতে পারে।

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

জলমহালে লোনা পানি, কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি

tab

সম্পাদকীয়

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

পোশাক শিল্প দীর্ঘদিন ধরে দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি শুধু কর্মসংস্থান নয়, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক উন্নয়নকেও প্রভাবিত করতে পারে।

প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, দেশে পোশাক শিল্পে কর্মরত নারী শ্রমিকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাচ্ছে। শিল্প খাতে মজুরি বৃদ্ধির কারণে অনেক নারী শ্রমিক অন্যান্য পেশায় যোগ দিচ্ছেন। পাশাপাশি, কাজের চাপ ও কাজের পরিবেশের কারণে অনেকেই এ খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। অর্থনীতিবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এটি শুধু শ্রমবাজার নয়, বরং সামগ্রিক সামাজিক কাঠামোর জন্যও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

নারী শ্রমিকদের সংখ্যা হ্রাসের পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, কাজের অনুন্নত পরিবেশ। অনেক পোশাক কারখানায় এখনো কাজের পরিবেশ আন্তর্জাতিক মানদ- পূরণ করতে পারেনি। আবার অনেক কারখানা মালিক ত্রিশোর্ধ্ব নারী শ্রমিকদের কাজে রাখতে চান না।

এখন কর্মসংস্থানের বহুমুখী বিকল্প তৈরি হয়েছে। অন্যান্য খাতে মজুরি বেড়েছে, সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। এতে করে পোশাক খাতের প্রতি নারীদের আগ্রহ কমছে। অন্যান্য খাতে সুযোগ-সুবিধা বাড়া একটি ভালো খবর। প্রশ্ন হচ্ছে, অন্যান্য খাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পোশাক খাতে কেন সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে না।

পোশাক খাতে কাজ করা নারীদের এখনো অনেক সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। অনেক নারী শ্রমিক পারিবারিক ও সামাজিক কারণে কর্মক্ষেত্র থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।

পোশাক খাতে নারীর অংশগ্রহণ কমার ফলে কোন ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে সেটা বুঝতে হবে। সংকট মোকাবিলায় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এজন্য প্রথমেই কারখানার কাজের পরিবেশ উন্নত করা দরকার। কারখানাগুলোতে নারী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগও বাড়াতে হবে। প্রণোদনা দেয়ার মাধ্যমে পোশাক শিল্পে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে।

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের সক্রিয় এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি। সরকার, উদ্যোক্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা সম্ভব হতে পারে।

back to top