দুইদিনেও কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া এলাকা থেকে অপহৃত অপর ৯ জনের কোনো হদিস মেলেনি। তাদের উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ১৮ জনকে উদ্ধারের ঘটনায় বনবিভাগের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে অস্ত্রের মুখে দুটি অটোরিকশা থামিয়ে আটজনকে অপহরণ করা হয়। এছাড়া গত সোমবার রাতে নিজ দোকান থেকে জসিম উদ্দিন নামে একজনকে অপহরণ করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত অপহৃতদের কোনো ধরনের হদিস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন টেকনাফের শামলাপুরে অটোরিকশা পরিবহনের লাইনম্যান আবদুর রহিম ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা।
পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা বলেন, অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। পাহাড়ে অভিযানে চলমান রয়েছে।
অটোরিকশা পরিবহনের লাইনম্যান আবদুর রহিম বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে হোয়াইক্যং-বাহারছড়ার শামলাপুর সড়কে অস্ত্রের মুখে দুটি অটোরিকশা থামায় অপহরণকারীরা। এরপর দুটি অটোরিকশার চালকসহ আটজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। অপহৃতদের নাম–পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার বাসিন্দা নাজিম উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়েছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ১৫ থেকে ২০টি ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে দক্ষিণ বড় ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তার মাথা এলাকায় অবস্থিত নিজ দোকান থেকে জসিম উদ্দিনকে অপহরণ করে। তাকে গহীন পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তার কোনো ধরনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফোনেও কোনো ধরনের মুক্তিপণ চাওয়া হয়নি। এতে তার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
এর আগে সোমবার সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা পাহাড়ে বনবিভাগের জমিতে গাছের চারা রোপন করতে গিয়ে বনকর্মিসহ ১৮ জনকে অপহরণ করা হয়। রাতে মুক্তিপণ দাবি করে ভুক্তভোগি পরিবারগুলোকে ফোন করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ, র্যাব, এপিবিএনের অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে আটক করা হয়েছে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য।
বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫
দুইদিনেও কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া এলাকা থেকে অপহৃত অপর ৯ জনের কোনো হদিস মেলেনি। তাদের উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ১৮ জনকে উদ্ধারের ঘটনায় বনবিভাগের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে অস্ত্রের মুখে দুটি অটোরিকশা থামিয়ে আটজনকে অপহরণ করা হয়। এছাড়া গত সোমবার রাতে নিজ দোকান থেকে জসিম উদ্দিন নামে একজনকে অপহরণ করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত অপহৃতদের কোনো ধরনের হদিস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন টেকনাফের শামলাপুরে অটোরিকশা পরিবহনের লাইনম্যান আবদুর রহিম ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা।
পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা বলেন, অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। পাহাড়ে অভিযানে চলমান রয়েছে।
অটোরিকশা পরিবহনের লাইনম্যান আবদুর রহিম বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে হোয়াইক্যং-বাহারছড়ার শামলাপুর সড়কে অস্ত্রের মুখে দুটি অটোরিকশা থামায় অপহরণকারীরা। এরপর দুটি অটোরিকশার চালকসহ আটজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। অপহৃতদের নাম–পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার বাসিন্দা নাজিম উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়েছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ১৫ থেকে ২০টি ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে দক্ষিণ বড় ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তার মাথা এলাকায় অবস্থিত নিজ দোকান থেকে জসিম উদ্দিনকে অপহরণ করে। তাকে গহীন পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তার কোনো ধরনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফোনেও কোনো ধরনের মুক্তিপণ চাওয়া হয়নি। এতে তার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
এর আগে সোমবার সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা পাহাড়ে বনবিভাগের জমিতে গাছের চারা রোপন করতে গিয়ে বনকর্মিসহ ১৮ জনকে অপহরণ করা হয়। রাতে মুক্তিপণ দাবি করে ভুক্তভোগি পরিবারগুলোকে ফোন করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ, র্যাব, এপিবিএনের অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে আটক করা হয়েছে অপহরণ চক্রের দুই সদস্য।
বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।