alt

সারাদেশ

সাটুরিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ তিন শিক্ষার্থীর হাজতবাস

প্রতিনিধি, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) : বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫

এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ও দুই শিক্ষার্থীকে হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে থানা হাজতখানায় রাখার অভিয়োগ উঠেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। মারামারি মামলার অভিযোগে বুধবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে হাজতখানায় রাখা হয়।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ গ্রামের কালু মিয়ার সাথে একই গ্রামের মো. ফরিদ হোসেনের সাথে ঝগড়া বিবাদ হয়। এ নিয়ে ফরিদ হোসেন গত ২৮ ডিসেম্বর বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫ আসামীসহ ১৩ জনের নামে আসামী করা হয়। হরগজ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থী মো. সিয়াম হোসেন, সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র মনির হোসেন ও মানিকগঞ্জ ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রথম সেমিষ্টারের ছাত্র অনিক হোসেনকে আসামী করা হয়।

এদিকে কালু মিয়া বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি কাউন্টার অভিযোগ করেন ২৭ ডিসেম্বর। ওই অভিযোগে ফরিদ হোসেনসহ ৫ জনকে আসামী করা হয়। কিন্তু সাটুরিয়া থানা পুলিশ ফরিদের দায়েরকৃত মামলা এজাহারভুক্ত করে ওই তিন শিক্ষার্থীকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে। কিন্তু কালুমিয়ার অভিযোগটি এজাহারভুক্ত না করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কালুমিয়া।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরির্দক মো. রায়হান বলেন, মামলার বাদী ওই তিন শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর দেখিয়েছে। তাই তাদের বয়স যাচাই বাছাই না করেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

উপ-পরির্দশক মো. রায়হানের কাছে বয়স যাচাই বাছাই না করে আসামী ধরে হাতে হ্যান্ডকাপ ও হাজত খানায় রাখা ঠিক হয়েছে কি না জানতে চাইলে, তিনি বলেন, পরের দিন (আজ)বৃহস্পতিবার জানতে পেরেছি তারা ছাত্র। রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও আদালতে এত দেরিতে(বিকেল)পাঠানো হলো কেন জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন বয়স যাচাই-বাছাই করতে দেরি হয়েছে।

সাটুরিয়া থানার হাজতখানায় কথা হয় তিন শিক্ষার্থী মনির, অনিক ও সিয়াম হোসেনের সঙ্গে। তারা জানান, আমরা কোন মারামারি করিনি। আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে থানায় এনে হাজতখানায় রেখেছে। আমরা তীব্র শীত অপেক্ষা করেও গারদ খানায় ছিলাম। মামলার তদর্ন্তকারী কর্মকর্তা মামলার যাচাই বাছাই ছাড়াই আমাদের গ্রেফতার করে আমাদের গায়ে কলঙ্গ মেখে দিয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ট তদন্ত দাবী করছি।

এ বিষয়ে কথা হয় হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ওরা কিশোর। ওদের কোন রকম হাতে হ্যান্ডকাপ পড়ানো বা হাজতখানায় পুলিশ রাখতে পারে না। তারা অপরাধ করে থাকলে তাদের জন্য শিশু কিশোর আইন আছে। সেই আইনেই বয়স যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল বলে তিনি জানান।

সিয়ামের বাবা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সামনে আমার ছেলের এসএসসি পরীক্ষা। এখন ওকে মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরতে হবে আদালতের দুয়ারে। আমার বিয়াই কালুর অভিযোগ নথিভুক্ত না করে মিথ্যা মামলায় আমার ছেলেকে গ্রেফতার করে হাতকড়া পরিয়ে হাজত বাস করিয়েছে।আমি এর বিচার চাই। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

অনিকের বাবা মনির হোসেন মিন্টু বলেন, আমার নিঃপাপ সন্তানকে বিনা অপরাধে হাজতখানা ও হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে তার ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে।সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমি এর বিচার চাই।

এ প্রসঙ্গে সাটুরিয়া থানার ওসি মো. শাহিনুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের হ্যান্ডক্যাপ পড়ানো ও হাজত খানায় রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, একটি মামলায় তাদের গ্রেফকার করা হয়েছে। তারা যদি কিশোর হয় তাদের বয়স যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যশোরে আজহারীর মাহফিলে শত শত ফোন ও স্বর্ণলংকার খোয়া, থানায় তিনশ’ জিডি!

ছবি

৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক

ময়মনসিংহে ডিআইজির কক্ষে ঢুকে ‘হুমকি’

নরসিংদীতে ১ মাসে জনপ্রতিনিধিসহ ১০ খুন, জনমনে আতঙ্ক

সিলেটে আ.লীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেফতার

ছবি

কাবু চাঁদপুরের জনজীবন, ঘন কুয়াশায় সূর্যের দেখা নেই,হাড় কাঁপানো শীত

ছবি

আখাউড়া-কসবায় অবৈধ ইটভাটা, নদী ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ

ছবি

প্রেম থেকে শারীরিক সম্পর্ক: প্রেমিক অস্বীকার করায় স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ

ছবি

বাগেরহাটে শিক্ষার্থীদের গাড়িতে হামলার ঘটনায় তিন সাংবাদিকসহ ১২৪ জনকে আসামি করে মামলা

ছবি

সালথায় গ্রাম দু-দলের সংঘর্ষে বসতঘর ভাংচুর, আহত-১০

ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস-হাসনাত

ছবি

ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ঝরল ৪ প্রাণ, আহত ২১

ছবি

ইজতেমা ময়দানে জারি করা সরকারি বিধি নিষেধ প্রত্যাহার

ছবি

রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত

ছবি

ঘন কুয়াশায় সূর্যের দেখা নেই, শীতে কাবু জনজীবন

ছবি

সংঘাতের কারণে ভয় ও আতঙ্কে বম জনগোষ্ঠীর লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে

গাজীপুরে কেয়া গ্রুপের ৪ কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা

ছবি

একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রিজভী

ছবি

উখিয়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২

ছবি

সারদায় প্রশিক্ষণরত আরও ৮ এসআইকে অব্যাহতি

ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় এক ব্যবসায়ীর মৃত্যূ, আহত ৪

ছবি

অনুপ্রবেশে সহায়তা করায় তিন ভারতীয় গ্রেপ্তার

ছবি

লাস ভেগাসে ট্রাম্প হোটেলের বাইরে সাইবারট্রাকে বিস্ফোরণ, হতাহত ৮

ছবি

হিমেল হাওয়ায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা, ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ

বর্ষবরণের রাতে গান বাজানো নিয়ে মারামারি: তরুণ খুন, আহত ১০

ছবি

কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১৫০ কোটি টাকার চোরাচালানী জব্দ

ছবি

দুইদিনেও হদিস মেলেনি অপহৃত অপর ৯ জনের

ছবি

সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর ও তার স্ত্রীর ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

ছবি

থার্টিফার্স্ট উদযাপন করতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

ছবি

গাজীপুরে চাঁদা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩, ড্রাম ট্রাকে আগুন

ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত সহ-সমন্বয়ক গ্রেফতার

ছবি

অপহৃত ১৯ বনকর্মীর মধ্যে ১৮ জন উদ্ধার, আটক ২

ছবি

শিক্ষার্থীদের মার্চ ফর ইউনিটির গাড়িবহরে হামলা, সংঘর্ষে রণক্ষেত্র

ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে

ছবি

আকিজ বেভারেজ কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, প্রকৌশলীসহ নিহত ৪

ছবি

থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে উৎসবের আমেজ কক্সবাজারে, থাকছে না উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট

tab

সারাদেশ

সাটুরিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ তিন শিক্ষার্থীর হাজতবাস

প্রতিনিধি, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)

বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫

এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ও দুই শিক্ষার্থীকে হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে থানা হাজতখানায় রাখার অভিয়োগ উঠেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। মারামারি মামলার অভিযোগে বুধবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে হাজতখানায় রাখা হয়।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ গ্রামের কালু মিয়ার সাথে একই গ্রামের মো. ফরিদ হোসেনের সাথে ঝগড়া বিবাদ হয়। এ নিয়ে ফরিদ হোসেন গত ২৮ ডিসেম্বর বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫ আসামীসহ ১৩ জনের নামে আসামী করা হয়। হরগজ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থী মো. সিয়াম হোসেন, সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র মনির হোসেন ও মানিকগঞ্জ ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রথম সেমিষ্টারের ছাত্র অনিক হোসেনকে আসামী করা হয়।

এদিকে কালু মিয়া বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি কাউন্টার অভিযোগ করেন ২৭ ডিসেম্বর। ওই অভিযোগে ফরিদ হোসেনসহ ৫ জনকে আসামী করা হয়। কিন্তু সাটুরিয়া থানা পুলিশ ফরিদের দায়েরকৃত মামলা এজাহারভুক্ত করে ওই তিন শিক্ষার্থীকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে। কিন্তু কালুমিয়ার অভিযোগটি এজাহারভুক্ত না করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কালুমিয়া।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরির্দক মো. রায়হান বলেন, মামলার বাদী ওই তিন শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর দেখিয়েছে। তাই তাদের বয়স যাচাই বাছাই না করেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

উপ-পরির্দশক মো. রায়হানের কাছে বয়স যাচাই বাছাই না করে আসামী ধরে হাতে হ্যান্ডকাপ ও হাজত খানায় রাখা ঠিক হয়েছে কি না জানতে চাইলে, তিনি বলেন, পরের দিন (আজ)বৃহস্পতিবার জানতে পেরেছি তারা ছাত্র। রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও আদালতে এত দেরিতে(বিকেল)পাঠানো হলো কেন জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন বয়স যাচাই-বাছাই করতে দেরি হয়েছে।

সাটুরিয়া থানার হাজতখানায় কথা হয় তিন শিক্ষার্থী মনির, অনিক ও সিয়াম হোসেনের সঙ্গে। তারা জানান, আমরা কোন মারামারি করিনি। আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে থানায় এনে হাজতখানায় রেখেছে। আমরা তীব্র শীত অপেক্ষা করেও গারদ খানায় ছিলাম। মামলার তদর্ন্তকারী কর্মকর্তা মামলার যাচাই বাছাই ছাড়াই আমাদের গ্রেফতার করে আমাদের গায়ে কলঙ্গ মেখে দিয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ট তদন্ত দাবী করছি।

এ বিষয়ে কথা হয় হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ওরা কিশোর। ওদের কোন রকম হাতে হ্যান্ডকাপ পড়ানো বা হাজতখানায় পুলিশ রাখতে পারে না। তারা অপরাধ করে থাকলে তাদের জন্য শিশু কিশোর আইন আছে। সেই আইনেই বয়স যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল বলে তিনি জানান।

সিয়ামের বাবা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সামনে আমার ছেলের এসএসসি পরীক্ষা। এখন ওকে মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরতে হবে আদালতের দুয়ারে। আমার বিয়াই কালুর অভিযোগ নথিভুক্ত না করে মিথ্যা মামলায় আমার ছেলেকে গ্রেফতার করে হাতকড়া পরিয়ে হাজত বাস করিয়েছে।আমি এর বিচার চাই। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

অনিকের বাবা মনির হোসেন মিন্টু বলেন, আমার নিঃপাপ সন্তানকে বিনা অপরাধে হাজতখানা ও হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে তার ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে।সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমি এর বিচার চাই।

এ প্রসঙ্গে সাটুরিয়া থানার ওসি মো. শাহিনুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের হ্যান্ডক্যাপ পড়ানো ও হাজত খানায় রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, একটি মামলায় তাদের গ্রেফকার করা হয়েছে। তারা যদি কিশোর হয় তাদের বয়স যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

back to top