গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত কেয়া গ্রুপের চারটি কারখানা আগামী ১ মে থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বরের এক নোটিশে শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাংলাদেশ শ্রম আইনের বিধি অনুযায়ী সব পাওনা কারখানা বন্ধের পরবর্তী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বরে শ্রমিক আন্দোলনের কারণে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে যৌথবাহিনীর মধ্যস্থতায় ১লা জানুয়ারী কারখানা পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ১ জানুয়ারী কারখানা খোলা হয় এবং উৎপাদন শুরু হয়। এমতাবস্থায় গত ৩১ ডিসেম্বরের নোটিশটি দেয়া হলো। বর্তমানে কারখানাগুলো যথারীতি চালু আছে। অন্যকোন সমস্যা না হলো আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা খোলা থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, কেয়া গ্রুপের সহকারী ব্যবস্থাপক মো: মাসুদ কামাল। তিনি বলেন, কারখানাগুলো ১ জানুয়ারী থেকে চালু আছে, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানাগুলো চালু থাকবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের পাওনাদি পাবেন। কারখানা পহেলা মে থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
পহেলা মে থেকে কেয়া গ্রুপের বন্ধ ঘোষণা করা কারখানা গুলো হলো, কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড (নিট কম্পোজিট গার্মেন্টস ডিভিশন, নিটিং বিভাগ, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিভিশন) ও গাজীপুরের কোনাবাড়ীর জরুন এলাকার কেয়া ইয়ার্ন মিলস লি:।
কর্তৃপক্ষ কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধের নোটিশে বন্ধের কারণ হিসাবে বর্তমান বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সঙ্গে হিসাবের অমিল, কাঁচামাল অপর্যাপ্ততা ও কারখানার উৎপাদন কার্যক্রমের অপ্রতুলতাকে দায়ী করে ফ্যাক্টরীর সকল কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
নোটিশে কেয়া গ্রুপের পরিচালক/ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান (নিট কম্পোজিট ডিভিশন) স্বাক্ষর করেছেন। নোটিশটি কারখানার প্রধান ফটকে সাঁটিয়ে দেয়া্ হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড (নিট কম্পোজিট গার্মেন্টস ডিভিশন, নিটিং বিভাগ, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিভিশন) ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস লি. (জরুন, কোনাবাড়ী, গাজীপুর)-এর শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের জানানো যাচ্ছে যে বর্তমান বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সঙ্গে হিসাবের অমিল, কাঁচামাল অপর্যাপ্ততা ও কারখানার উৎপাদন কার্যক্রমের অপ্রতুলতার জন্য আগামী ১ মে কারখানার সব কর্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
ফ্যাক্টরীতে কর্মরত সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা (২৬) সংশোধনী ২০১৫, ২০১৮ এবং ২০২২ এর বিধি অনুযায়ী সকল পাওনাদি কারখানা বন্ধের পরবর্তী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করা হবে।
এর আগে, গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে কেয়া গ্রুপের কারখানার শ্রমিকেরা নভেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেন। কয়েক হাজার শ্রমিক কারখানার সামনে কোনাবাড়ী এলাকায় কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন। সেদিন শ্রমিকদের বকেয়া বেতন না দিয়ে কর্তৃপক্ষ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ জারি করেন।
২৯ ডিসেম্বরের কারখানা বন্ধের নোটিশ উল্লেখ করা হয়েছিল, কেয়া কসমেটিকস্ লিমিটেড (নীট কম্পোজিট ডিভিশন, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিডিশন) ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস্ লিঃ (জরুন, কোনাবাড়ি, গাজীপুর) এর সকল শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের জানানো হচ্ছে, গত ২৬ ডিসেম্বর কারখানার অভ্যন্তরে কিছু সংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক আকস্মিকভাবে অযৌক্তিক ও বেআইনি দাবী নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করেন। শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে: শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজে যোগদানের জন্য বারবার অনুরোধ করা সত্বেও শ্রমিকসান কাজে যোগদান না করে উৎপাদন ফ্লোর থেকে কার্ড পাঞ্চ করে বেরিয়ে যান এবং কারখানার অন্যান্য ইউনিটের কাজ বন্ধ করে দেন। বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থাকার কারণে কর্তৃপক্ষ কারখানার জান ও মালের নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা অনুয়ায়ী কারখানার সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
নোটিশে আরও বলা হয়েছিল, ‘পরবর্তীতে কারখানায় কাজের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি সাপেক্ষে, কারখানা খোলার তারিখ লিখিত নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারি শ্রমিকদের সকল বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে।’
২৯ ডিসেম্বর কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজট তৈরি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় মালিক-শ্রমিকপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে দাবিগুলো মেনে নেয় মালিকপক্ষ। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িক বন্ধ থাকা কারখানা ১ জানুয়ারি খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুযায়ী কারখানাগেুলো বর্তমানে চালু রয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর নতুন করে স্থায়ীভাবে বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলো।
বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত কেয়া গ্রুপের চারটি কারখানা আগামী ১ মে থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বরের এক নোটিশে শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাংলাদেশ শ্রম আইনের বিধি অনুযায়ী সব পাওনা কারখানা বন্ধের পরবর্তী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বরে শ্রমিক আন্দোলনের কারণে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে যৌথবাহিনীর মধ্যস্থতায় ১লা জানুয়ারী কারখানা পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ১ জানুয়ারী কারখানা খোলা হয় এবং উৎপাদন শুরু হয়। এমতাবস্থায় গত ৩১ ডিসেম্বরের নোটিশটি দেয়া হলো। বর্তমানে কারখানাগুলো যথারীতি চালু আছে। অন্যকোন সমস্যা না হলো আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা খোলা থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, কেয়া গ্রুপের সহকারী ব্যবস্থাপক মো: মাসুদ কামাল। তিনি বলেন, কারখানাগুলো ১ জানুয়ারী থেকে চালু আছে, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানাগুলো চালু থাকবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের পাওনাদি পাবেন। কারখানা পহেলা মে থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
পহেলা মে থেকে কেয়া গ্রুপের বন্ধ ঘোষণা করা কারখানা গুলো হলো, কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড (নিট কম্পোজিট গার্মেন্টস ডিভিশন, নিটিং বিভাগ, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিভিশন) ও গাজীপুরের কোনাবাড়ীর জরুন এলাকার কেয়া ইয়ার্ন মিলস লি:।
কর্তৃপক্ষ কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধের নোটিশে বন্ধের কারণ হিসাবে বর্তমান বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সঙ্গে হিসাবের অমিল, কাঁচামাল অপর্যাপ্ততা ও কারখানার উৎপাদন কার্যক্রমের অপ্রতুলতাকে দায়ী করে ফ্যাক্টরীর সকল কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
নোটিশে কেয়া গ্রুপের পরিচালক/ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান (নিট কম্পোজিট ডিভিশন) স্বাক্ষর করেছেন। নোটিশটি কারখানার প্রধান ফটকে সাঁটিয়ে দেয়া্ হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড (নিট কম্পোজিট গার্মেন্টস ডিভিশন, নিটিং বিভাগ, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিভিশন) ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস লি. (জরুন, কোনাবাড়ী, গাজীপুর)-এর শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের জানানো যাচ্ছে যে বর্তমান বাজার অস্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সঙ্গে হিসাবের অমিল, কাঁচামাল অপর্যাপ্ততা ও কারখানার উৎপাদন কার্যক্রমের অপ্রতুলতার জন্য আগামী ১ মে কারখানার সব কর্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
ফ্যাক্টরীতে কর্মরত সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা (২৬) সংশোধনী ২০১৫, ২০১৮ এবং ২০২২ এর বিধি অনুযায়ী সকল পাওনাদি কারখানা বন্ধের পরবর্তী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করা হবে।
এর আগে, গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে কেয়া গ্রুপের কারখানার শ্রমিকেরা নভেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেন। কয়েক হাজার শ্রমিক কারখানার সামনে কোনাবাড়ী এলাকায় কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন। সেদিন শ্রমিকদের বকেয়া বেতন না দিয়ে কর্তৃপক্ষ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ জারি করেন।
২৯ ডিসেম্বরের কারখানা বন্ধের নোটিশ উল্লেখ করা হয়েছিল, কেয়া কসমেটিকস্ লিমিটেড (নীট কম্পোজিট ডিভিশন, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিডিশন) ও কেয়া ইয়ার্ন মিলস্ লিঃ (জরুন, কোনাবাড়ি, গাজীপুর) এর সকল শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের জানানো হচ্ছে, গত ২৬ ডিসেম্বর কারখানার অভ্যন্তরে কিছু সংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক আকস্মিকভাবে অযৌক্তিক ও বেআইনি দাবী নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করেন। শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে: শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজে যোগদানের জন্য বারবার অনুরোধ করা সত্বেও শ্রমিকসান কাজে যোগদান না করে উৎপাদন ফ্লোর থেকে কার্ড পাঞ্চ করে বেরিয়ে যান এবং কারখানার অন্যান্য ইউনিটের কাজ বন্ধ করে দেন। বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থাকার কারণে কর্তৃপক্ষ কারখানার জান ও মালের নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা অনুয়ায়ী কারখানার সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
নোটিশে আরও বলা হয়েছিল, ‘পরবর্তীতে কারখানায় কাজের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি সাপেক্ষে, কারখানা খোলার তারিখ লিখিত নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারি শ্রমিকদের সকল বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে।’
২৯ ডিসেম্বর কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজট তৈরি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় মালিক-শ্রমিকপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে দাবিগুলো মেনে নেয় মালিকপক্ষ। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িক বন্ধ থাকা কারখানা ১ জানুয়ারি খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুযায়ী কারখানাগেুলো বর্তমানে চালু রয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর নতুন করে স্থায়ীভাবে বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলো।