ময়মনসিংহে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক আশরাফুর রহমান চেয়ারে বসে আছেন। তার সামনে হইচই করছেন বেশ কয়েকজন। কেউ উচ্চস্বরে ধমকাচ্ছেন, কেউবা অভিযোগ করছেন, কেউবা প্রশ্ন করে জবাব চাইছেন। এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। ঘটনাটি গত ২৯ ডিসেম্বরের, যা নিয়ে আলোচনা গড়িয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর পর্যন্ত। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
ময়মসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি আশরাফুর রহমানের ভাষ্য, জাসদ নেতা এক সিটি কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম করে কিছু লোকজন তার কক্ষে ঢুকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন আসার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ময়মনসিংহের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক গোকূল সূত্রধর মানিক বলছেন, তাদের কেউ সেখানে যায়নি।
ডিআইজি আশরাফুর বলেন, ‘এখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৯ জনের যে কমিটি আছে তারা আমার অফিসে এসেছিল। তারা বলেছে, ওরা তাদের লোক নয়। এই ধরনের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তারা।’ এ ঘটনার আলোচনা চলছে পুলিশের অন্যান্য দপ্তরেও। ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার তথ্যের প্রয়োজনে ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি হতাশার সুরে ভিডিওটি দেখিয়ে বলেন, ‘এইভাবে চলতে থাকলে কাজ করব কীভাবে?’
পুলিশ সদর দপ্তরেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে মন্তব্য করতে চাননি কেউ। ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া এ ঘটনার ৭ মিনিট ৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ময়মনসিংহেরে রেঞ্জ ডিআইজির কক্ষের সামনে স্লোগান দিতে দিতে একদল ব্যক্তি ডিআইজির আশরাফুরের কক্ষে ঢুকে পড়েন। তাদের মধ্যে দু’জন নিজেদের আয়াত ও মেহেদি পরিচয় দিয়ে সবার পক্ষে কথা বলতে শুরু করেন।
তাদের সঙ্গে ডিআইজির কথপোকথনের এক পর্যায়ে সেখানে ঢুকে পড়া ব্যক্তিরা ময়মনসিংহে একটি খুনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে বলেন, ‘আপনারা আওয়ামী লীগ নেতাদের না ধইরা আপনারা ধরতেছেন কারে? ‘এরকম নৌকার লোকদের না ধইরা জাসদের একটা ছোট্ট অপরাধ করছে এই লোকদের ধইরা।’
এ বিষয়ে ডিআইজি আশরাফুর বলেন, মূলত ঘটনাটা ঘটেছে সাগর হত্যা মামলায় সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু নামে জাসদের (ইনু) একজন কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তারের বিষয় নিয়ে। তাকে ছাড়াতে চাপ দিতেই এসেছিল। ‘এরা এসেছিল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য, আমাদের হুমকি দিতে। এরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নয়, এরা আসলে বৈষম্য গ্যাং।’
তিনি বলেন, ‘তাদের আরেকটা দাবি হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য কাউন্সিলর যারা অতীতে ছিল তাদের যেন আমরা না ধরি। ভবিষ্যতে যেন এরকম গ্রেপ্তার না করি এটার বিষয়ে আমাদের সতর্কবাণী উচ্চারণ করে। তাদের দাবি সাগর হত্যা মামলার আরও যে আসামি আছে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫
ময়মনসিংহে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক আশরাফুর রহমান চেয়ারে বসে আছেন। তার সামনে হইচই করছেন বেশ কয়েকজন। কেউ উচ্চস্বরে ধমকাচ্ছেন, কেউবা অভিযোগ করছেন, কেউবা প্রশ্ন করে জবাব চাইছেন। এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। ঘটনাটি গত ২৯ ডিসেম্বরের, যা নিয়ে আলোচনা গড়িয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর পর্যন্ত। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
ময়মসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি আশরাফুর রহমানের ভাষ্য, জাসদ নেতা এক সিটি কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম করে কিছু লোকজন তার কক্ষে ঢুকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন আসার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ময়মনসিংহের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক গোকূল সূত্রধর মানিক বলছেন, তাদের কেউ সেখানে যায়নি।
ডিআইজি আশরাফুর বলেন, ‘এখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৯ জনের যে কমিটি আছে তারা আমার অফিসে এসেছিল। তারা বলেছে, ওরা তাদের লোক নয়। এই ধরনের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তারা।’ এ ঘটনার আলোচনা চলছে পুলিশের অন্যান্য দপ্তরেও। ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার তথ্যের প্রয়োজনে ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি হতাশার সুরে ভিডিওটি দেখিয়ে বলেন, ‘এইভাবে চলতে থাকলে কাজ করব কীভাবে?’
পুলিশ সদর দপ্তরেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে মন্তব্য করতে চাননি কেউ। ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া এ ঘটনার ৭ মিনিট ৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ময়মনসিংহেরে রেঞ্জ ডিআইজির কক্ষের সামনে স্লোগান দিতে দিতে একদল ব্যক্তি ডিআইজির আশরাফুরের কক্ষে ঢুকে পড়েন। তাদের মধ্যে দু’জন নিজেদের আয়াত ও মেহেদি পরিচয় দিয়ে সবার পক্ষে কথা বলতে শুরু করেন।
তাদের সঙ্গে ডিআইজির কথপোকথনের এক পর্যায়ে সেখানে ঢুকে পড়া ব্যক্তিরা ময়মনসিংহে একটি খুনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে বলেন, ‘আপনারা আওয়ামী লীগ নেতাদের না ধইরা আপনারা ধরতেছেন কারে? ‘এরকম নৌকার লোকদের না ধইরা জাসদের একটা ছোট্ট অপরাধ করছে এই লোকদের ধইরা।’
এ বিষয়ে ডিআইজি আশরাফুর বলেন, মূলত ঘটনাটা ঘটেছে সাগর হত্যা মামলায় সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু নামে জাসদের (ইনু) একজন কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তারের বিষয় নিয়ে। তাকে ছাড়াতে চাপ দিতেই এসেছিল। ‘এরা এসেছিল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য, আমাদের হুমকি দিতে। এরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নয়, এরা আসলে বৈষম্য গ্যাং।’
তিনি বলেন, ‘তাদের আরেকটা দাবি হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য কাউন্সিলর যারা অতীতে ছিল তাদের যেন আমরা না ধরি। ভবিষ্যতে যেন এরকম গ্রেপ্তার না করি এটার বিষয়ে আমাদের সতর্কবাণী উচ্চারণ করে। তাদের দাবি সাগর হত্যা মামলার আরও যে আসামি আছে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’