গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই একটি প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার সকালে কারখানার মুল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সকালে নোটিশ দেখে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, মহানগরীর কোনাবাড়ীতে পলিকন লিমিটেড কারখানায় প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন করা হতো। বুধবারেও কারখানা খোলা ছিল। কোন নোটিশ না দিয়েই হঠাৎ করে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। গত বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারী, নভেম্বর এবং ডিসেম্বরের মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বেতন না দিয়েই কারাখানা বন্ধ দিয়েছে।
পলিকন লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ফয়সাল জহিরের স্বাক্ষরিত এক নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ডলার সংখটের কারণে বিগত এক বছরের অধিক পলিকন লিমিটেড তার কাঁচামাল আমদানি করতে পারেনি। বিগত ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে প্রচন্ড লোডশেডিং হওয়ায় ফ্যাক্টরির উৎপাদন ৮০ ভাগ কমে যায়।
নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়, ব্যাংকের লোন, বকেয়া স্যালারি, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল কোনটাই সঠিকভাবে বিগত আড়াই বছর যাবত শোধ করতে না পারায় আমাদের ৪০ বছরের প্রতিষ্ঠান আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
এছাড়াও নোটিশে, আগামী তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ধাপে ধাপে সকল বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে।
এদিকে, অন্যান্য দিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার সকালে কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগদান করতে এসে কারখানা বন্ধ দেখতে পান। পরে কারখানার মূল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে তারা কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
কারখানার শ্রমিক আমিনুল ইসলাম জানান, ১০ বছর যাবত এই কারখানায় চাকুরী করি। আমরা চার মাসের বকেয়া বেতন পাবো। গতকালকেও আমরা ডিউটি করে গেছি। আজ সকালে অফিসের গেটে এসে অনির্দিষ্টকালের বন্ধের নোটিশ দেখতে পাই। কিভাবে চলবে আমাদের সংসার।
শহিদুল ইসলাম নামের আরেক শ্রমিক জানান, ২৯ বছর ধরে এই কারখানায় চাকরি করি। কারখানার কাজ করার সময় আমার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। কোন নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলো। মালিক আমাদের কথা চিন্তা করলোনা? এ বয়সে আমি কোথায় চাকুরী নিবো, বউ পোলাপান নিয়ে না খেয়ে মরবে।
এ বিষয়ে জানতে পলিকন লিমিটেড এর নির্বাহী পরিচালক ফয়সাল জহিরে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর কোনাবাড়ী অঞ্চলের পুলিশ পরিদর্শক মো. মোর্শেদ জামান জানান, মালিকপক্ষের সাথে কথা হয়েছে, আগামী রবিবার নভেম্বর মাসের বেতন দিবে এবং ১৩ই জানুয়ারি সোমবার শ্রমিকদের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে তাদের বকেয়া পরিশোধ করবে। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের শিল্প পুলিশ কারখানার সামনে অবস্থান করছেন।
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই একটি প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার সকালে কারখানার মুল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সকালে নোটিশ দেখে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, মহানগরীর কোনাবাড়ীতে পলিকন লিমিটেড কারখানায় প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন করা হতো। বুধবারেও কারখানা খোলা ছিল। কোন নোটিশ না দিয়েই হঠাৎ করে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। গত বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারী, নভেম্বর এবং ডিসেম্বরের মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বেতন না দিয়েই কারাখানা বন্ধ দিয়েছে।
পলিকন লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ফয়সাল জহিরের স্বাক্ষরিত এক নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ডলার সংখটের কারণে বিগত এক বছরের অধিক পলিকন লিমিটেড তার কাঁচামাল আমদানি করতে পারেনি। বিগত ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে প্রচন্ড লোডশেডিং হওয়ায় ফ্যাক্টরির উৎপাদন ৮০ ভাগ কমে যায়।
নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়, ব্যাংকের লোন, বকেয়া স্যালারি, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল কোনটাই সঠিকভাবে বিগত আড়াই বছর যাবত শোধ করতে না পারায় আমাদের ৪০ বছরের প্রতিষ্ঠান আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
এছাড়াও নোটিশে, আগামী তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ধাপে ধাপে সকল বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে।
এদিকে, অন্যান্য দিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার সকালে কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগদান করতে এসে কারখানা বন্ধ দেখতে পান। পরে কারখানার মূল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে তারা কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
কারখানার শ্রমিক আমিনুল ইসলাম জানান, ১০ বছর যাবত এই কারখানায় চাকুরী করি। আমরা চার মাসের বকেয়া বেতন পাবো। গতকালকেও আমরা ডিউটি করে গেছি। আজ সকালে অফিসের গেটে এসে অনির্দিষ্টকালের বন্ধের নোটিশ দেখতে পাই। কিভাবে চলবে আমাদের সংসার।
শহিদুল ইসলাম নামের আরেক শ্রমিক জানান, ২৯ বছর ধরে এই কারখানায় চাকরি করি। কারখানার কাজ করার সময় আমার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। কোন নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলো। মালিক আমাদের কথা চিন্তা করলোনা? এ বয়সে আমি কোথায় চাকুরী নিবো, বউ পোলাপান নিয়ে না খেয়ে মরবে।
এ বিষয়ে জানতে পলিকন লিমিটেড এর নির্বাহী পরিচালক ফয়সাল জহিরে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর কোনাবাড়ী অঞ্চলের পুলিশ পরিদর্শক মো. মোর্শেদ জামান জানান, মালিকপক্ষের সাথে কথা হয়েছে, আগামী রবিবার নভেম্বর মাসের বেতন দিবে এবং ১৩ই জানুয়ারি সোমবার শ্রমিকদের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে তাদের বকেয়া পরিশোধ করবে। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের শিল্প পুলিশ কারখানার সামনে অবস্থান করছেন।