কক্সবাজারে আশংকাজনক হারে বাড়ছে কলেরা রোগীর সংখ্যা। এ পরিস্থিতিতে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন, যা চলবে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ক্যাম্পেইনে জেলার ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫১৪ জন স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে খাওয়ানো হবে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন। এর মধ্যে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪ লাখ ৭ হাজার ৯৯৭ জন এবং রোহিঙ্গা ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৭ জন। ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) জেলা ইপিআই স্টোর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. টিটু চন্দ্র শীল।
তিনি জানান, আগামী ১২ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পেইনটি চলবে। এতে কক্সবাজারের সকল রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়াও উখিয়ার সকল ইউনিয়ন, টেকনাফের হোয়াইকং ও হ্নীলা ইউনিয়ন, রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পুরাতন ২ ও ৩নং ওয়ার্ডসহ নির্বাচিত এলাকাগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এক বছরের বেশি বয়সী সবাইকে এই টিকা দেওয়া হবে। তবে গর্ভবতী নারী ও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের টিকা খাওয়ানো হবে না। ইউভিকল এবং ইউভিকল-প্লাস নামের মুখে খাওয়ার এই টিকা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহজ। এটি ফ্রিজ ছাড়াও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ১০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
তিনি আরও জানান, এবারের ক্যাম্পেইনে স্থানীয় এলাকাগুলোর জন্য ২৭২টি টিম গঠন করা হয়েছে। যেখানে ৭৪৪ জন ভলান্টিয়ার প্রতিদিন ৩০০ জনকে টিকা দেবেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৬০৫টি টিম ৩২১০ জন স্বেচ্ছাসেবীসহ প্রতিদিন ৩০টি বাড়ি পরিদর্শন করবে। আগামী ১২ জানুয়ারি উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। একই দিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এ কার্যক্রম শুরু হবে।
এর আগে ২০১৭-১৮, ২০১৯, এবং ২০২১ সালে কক্সবাজারে সাতটি সফল কলেরা ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়েছে। ২০২৪ সালের জুন থেকে পুনরায় কলেরা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীদের মধ্যে কারো মৃত্যু হয়নি এবং সবাই সুস্থ আছেন।
এ সময় সিভিল সার্জন অফিসের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের ডা: শাহ ফাহিম আহমেদ ফয়সল জানান, ১২ থেকে ১৬ জানুয়ারী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এবং ১২ থেকে ২১ জানুয়ারী পর্যন্ত স্থানীয় একবছর বয়সের অধিক জনগোষ্ঠীকে এক ডোজ করে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন খাওয়ানো হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারি, সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তারা ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫
কক্সবাজারে আশংকাজনক হারে বাড়ছে কলেরা রোগীর সংখ্যা। এ পরিস্থিতিতে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন, যা চলবে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ক্যাম্পেইনে জেলার ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫১৪ জন স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে খাওয়ানো হবে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন। এর মধ্যে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪ লাখ ৭ হাজার ৯৯৭ জন এবং রোহিঙ্গা ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৭ জন। ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) জেলা ইপিআই স্টোর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. টিটু চন্দ্র শীল।
তিনি জানান, আগামী ১২ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পেইনটি চলবে। এতে কক্সবাজারের সকল রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়াও উখিয়ার সকল ইউনিয়ন, টেকনাফের হোয়াইকং ও হ্নীলা ইউনিয়ন, রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পুরাতন ২ ও ৩নং ওয়ার্ডসহ নির্বাচিত এলাকাগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এক বছরের বেশি বয়সী সবাইকে এই টিকা দেওয়া হবে। তবে গর্ভবতী নারী ও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের টিকা খাওয়ানো হবে না। ইউভিকল এবং ইউভিকল-প্লাস নামের মুখে খাওয়ার এই টিকা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহজ। এটি ফ্রিজ ছাড়াও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ১০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
তিনি আরও জানান, এবারের ক্যাম্পেইনে স্থানীয় এলাকাগুলোর জন্য ২৭২টি টিম গঠন করা হয়েছে। যেখানে ৭৪৪ জন ভলান্টিয়ার প্রতিদিন ৩০০ জনকে টিকা দেবেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৬০৫টি টিম ৩২১০ জন স্বেচ্ছাসেবীসহ প্রতিদিন ৩০টি বাড়ি পরিদর্শন করবে। আগামী ১২ জানুয়ারি উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। একই দিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এ কার্যক্রম শুরু হবে।
এর আগে ২০১৭-১৮, ২০১৯, এবং ২০২১ সালে কক্সবাজারে সাতটি সফল কলেরা ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়েছে। ২০২৪ সালের জুন থেকে পুনরায় কলেরা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীদের মধ্যে কারো মৃত্যু হয়নি এবং সবাই সুস্থ আছেন।
এ সময় সিভিল সার্জন অফিসের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের ডা: শাহ ফাহিম আহমেদ ফয়সল জানান, ১২ থেকে ১৬ জানুয়ারী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এবং ১২ থেকে ২১ জানুয়ারী পর্যন্ত স্থানীয় একবছর বয়সের অধিক জনগোষ্ঠীকে এক ডোজ করে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন খাওয়ানো হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারি, সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তারা ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।