অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির অভিযানে ধরা পড়লেন বাংলাদেশি সহায়তাকারীরাও
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের সময় ৫৮ রোহিঙ্গা ও পাঁচ বাংলাদেশি সহযোগীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার ভোরে উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নের বুচিরমুখ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আলীকদম ৫৭ বিজিবি থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল অভিযান চালিয়ে এই ব্যক্তিদের আটক করে। আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ, ১০ জন নারী এবং ৩৭ জন শিশু রয়েছে।
এছাড়া অনুপ্রবেশে সহযোগিতার অভিযোগে আটক পাঁচ বাংলাদেশি হলেন দক্ষিণ নয়াপাড়ার মো. আরিফুল ইসলাম (২৫), জালাল উদ্দীন (২৭), বাজারপাড়ার মো. নজরুল ইসলাম (৪০), চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের আলী মেম্বারপাড়ার মো. আবু হুজাইফা (৩২), এবং খুইল্যা চেয়ারম্যানপাড়ার মো. খোরশেদ আলম (৫৭)।
বিজিবি জানায়, অভিযানের সময় একটি ডাম্পার (মিনি ট্রাক), একটি প্রাইভেট কার এবং একটি মোটরবাইক জব্দ করা হয়। এ যানের মাধ্যমেই আটক রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজিবির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আটক রোহিঙ্গা নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা জহির উদ্দীন জানান, আটক পাঁচ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, “এই ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে সহায়তা করে আসছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মায়ানমারে চলমান সংঘাত এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় রোহিঙ্গা শিবিরে ঠাঁই না পেয়ে অনেকে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন অনুপ্রবেশ রোধে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের অনুপ্রবেশ শুধু স্থানীয় আইনশৃঙ্খলার জন্যই নয়, দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন।
অভিযানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধ এবং স্থানান্তরকারীদের আটক করলেও সীমান্ত নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা আবারও উঠে এসেছে। প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও এ বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির অভিযানে ধরা পড়লেন বাংলাদেশি সহায়তাকারীরাও
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের সময় ৫৮ রোহিঙ্গা ও পাঁচ বাংলাদেশি সহযোগীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার ভোরে উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নের বুচিরমুখ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আলীকদম ৫৭ বিজিবি থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল অভিযান চালিয়ে এই ব্যক্তিদের আটক করে। আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ, ১০ জন নারী এবং ৩৭ জন শিশু রয়েছে।
এছাড়া অনুপ্রবেশে সহযোগিতার অভিযোগে আটক পাঁচ বাংলাদেশি হলেন দক্ষিণ নয়াপাড়ার মো. আরিফুল ইসলাম (২৫), জালাল উদ্দীন (২৭), বাজারপাড়ার মো. নজরুল ইসলাম (৪০), চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের আলী মেম্বারপাড়ার মো. আবু হুজাইফা (৩২), এবং খুইল্যা চেয়ারম্যানপাড়ার মো. খোরশেদ আলম (৫৭)।
বিজিবি জানায়, অভিযানের সময় একটি ডাম্পার (মিনি ট্রাক), একটি প্রাইভেট কার এবং একটি মোটরবাইক জব্দ করা হয়। এ যানের মাধ্যমেই আটক রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজিবির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আটক রোহিঙ্গা নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা জহির উদ্দীন জানান, আটক পাঁচ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, “এই ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে সহায়তা করে আসছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মায়ানমারে চলমান সংঘাত এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় রোহিঙ্গা শিবিরে ঠাঁই না পেয়ে অনেকে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন অনুপ্রবেশ রোধে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের অনুপ্রবেশ শুধু স্থানীয় আইনশৃঙ্খলার জন্যই নয়, দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন।
অভিযানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধ এবং স্থানান্তরকারীদের আটক করলেও সীমান্ত নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা আবারও উঠে এসেছে। প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও এ বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।