বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে । আজ শনিবার রাতে চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ অভিযোগ করেন যে, আজ বিকেলে "জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের" পক্ষে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শেষে তাঁরা আলোচনা করতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসকক্ষে বসেছিলেন। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক রিজাউর রহমানের নেতৃত্বে কিছু সদস্য তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং পরে তাঁরা এক ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়, যার ফলে সাতজন আহত হয়েছেন। রাসেল আহমেদ আরও জানান, ঘটনাস্থলে অফিসকক্ষ ভাঙচুর করা হয় এবং তাঁরা এর বিচার চান।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক তানভীর শরিফও বক্তব্য রাখেন। তিনি জানান, আন্দোলনের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন এবং আজ সেই জায়গাতেই তাঁকে আবার আঘাত করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন চলাকালে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং স্লোগান ও তর্কবিতর্কের মধ্যে পরিস্থিতি আরও ঘণীভূত হয়ে ওঠে।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, "বেসরকারি অফিসকক্ষে আমাদের অবরুদ্ধ করা হয়েছিল, আমাদের মারধর করা হয়েছে এবং অফিসকক্ষও ভাঙচুর করা হয়েছে। এদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রিজাউর রহমান।"
রাসেলের অভিযোগের পর খান তালাত মাহমুদ রাফি প্রথম আলোকে জানান, "আলোচনার সময় সামান্য বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে, এর বাইরে কিছু হয়নি। কাউকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, সবই মিথ্যা।"
এদিকে, রিজাউর রহমানও পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেন, "কাউকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, উল্টো আমাদের চারজনকে মারধর করা হয়েছে।"
এই পরিস্থিতির পর, রাসেল আহমেদ ও তাঁর সমর্থকরা সংবাদ সম্মেলন থেকে বের হয়ে যান। রাফি ও রিজাউর রহমানও পরে বক্তব্য দিতে শুরু করেন, কিন্তু মুহূর্তেই আবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাসেল আহমেদ এবং তাঁর সমর্থকেরা মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করেন। এর ফলে, শেষ পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি এবং উভয় পক্ষই দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
এই ঘটনার পর, চট্টগ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং সংগঠনের নেতারা আরও বিশদ তদন্তের জন্য দাবি জানিয়েছেন।
রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে । আজ শনিবার রাতে চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ অভিযোগ করেন যে, আজ বিকেলে "জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের" পক্ষে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শেষে তাঁরা আলোচনা করতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসকক্ষে বসেছিলেন। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক রিজাউর রহমানের নেতৃত্বে কিছু সদস্য তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং পরে তাঁরা এক ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়, যার ফলে সাতজন আহত হয়েছেন। রাসেল আহমেদ আরও জানান, ঘটনাস্থলে অফিসকক্ষ ভাঙচুর করা হয় এবং তাঁরা এর বিচার চান।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক তানভীর শরিফও বক্তব্য রাখেন। তিনি জানান, আন্দোলনের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন এবং আজ সেই জায়গাতেই তাঁকে আবার আঘাত করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন চলাকালে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং স্লোগান ও তর্কবিতর্কের মধ্যে পরিস্থিতি আরও ঘণীভূত হয়ে ওঠে।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, "বেসরকারি অফিসকক্ষে আমাদের অবরুদ্ধ করা হয়েছিল, আমাদের মারধর করা হয়েছে এবং অফিসকক্ষও ভাঙচুর করা হয়েছে। এদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রিজাউর রহমান।"
রাসেলের অভিযোগের পর খান তালাত মাহমুদ রাফি প্রথম আলোকে জানান, "আলোচনার সময় সামান্য বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে, এর বাইরে কিছু হয়নি। কাউকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, সবই মিথ্যা।"
এদিকে, রিজাউর রহমানও পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেন, "কাউকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, উল্টো আমাদের চারজনকে মারধর করা হয়েছে।"
এই পরিস্থিতির পর, রাসেল আহমেদ ও তাঁর সমর্থকরা সংবাদ সম্মেলন থেকে বের হয়ে যান। রাফি ও রিজাউর রহমানও পরে বক্তব্য দিতে শুরু করেন, কিন্তু মুহূর্তেই আবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাসেল আহমেদ এবং তাঁর সমর্থকেরা মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করেন। এর ফলে, শেষ পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি এবং উভয় পক্ষই দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
এই ঘটনার পর, চট্টগ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং সংগঠনের নেতারা আরও বিশদ তদন্তের জন্য দাবি জানিয়েছেন।