alt

গাজীপুরে অপহৃত চিকিৎসক মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত

চার ঘণ্টা জিম্মি রেখে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আদায় করা হয় লাখ টাকা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের এক চিকিৎসক শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর থেকে অপহৃত হন এবং চার ঘণ্টা পর মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পান। অপহরণকারীরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আদায় করে।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর দক্ষিণ পাশে বাসের অপেক্ষায় ছিলেন চিকিৎসক আমিনুর রহমান। এ সময় একটি সিলভার রঙের প্রাইভেট কার সেখানে থামে এবং যাত্রীদের ডাকতে থাকে। ডাক উপেক্ষা করলেও তিনজন যুবক (প্রায় ১৮-২৫ বছর বয়সী) পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িতে তোলে।

তিনি জানান, অপহরণের পরপরই তার চোখ স্কচ টেপ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর হাতুড়ি দিয়ে হাঁটুতে আঘাত করা হয় এবং তাকে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি গলায় রশি পেঁচানোর চেষ্টা করা হয়।

“তারা প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। পরে বলে তিন লাখ দিলেই হবে। আমার সঙ্গে থাকা ৯ হাজার ৫০০ টাকা, ক্রেডিট কার্ড, দুটি স্মার্টফোন এবং একটি ল্যাপটপ কেড়ে নেয়। এরপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আদায় করে।”

অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্ত্রীর কাছ থেকে নগদ অ্যাকাউন্টে ৪৫ হাজার টাকা, বিকাশে ৫০ হাজার টাকা এবং তাদের নিজস্ব বিকাশ নম্বরে আরও ৩০ হাজার টাকা জমা নেয়।

চার ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সালনা এলাকায় তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি সালনা মহাসড়কের একটি দোকানে গিয়ে ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বাসায় ফিরে বিষয়টি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানান।

শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, “মৌখিক খবর পেয়ে আমরা মোবাইল ট্র্যাকিং শুরু করি। পরে চিকিৎসকের পরিবার থেকে জানানো হয়, তিনি বাসায় ফিরে গেছেন। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

চিকিৎসক আমিনুর রহমান জানান, অপহরণকারীরা পেশাদার। তারা সরাসরি তাকে জানায়, “আপনি কিডন্যাপ হয়েছেন। আমাদের কাজই এটা। টাকা দিলে ছেড়ে দেব।” অপহরণের সময় তারা তার উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে এবং বারবার টাকার জন্য চাপ দেয়।

এ ধরনের অপরাধ রোধে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি। একই সঙ্গে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে।

ছবি

মানিকগঞ্জে বাউল সম্মেলনের ঘোষণা: ফরহাদ মজহার বললেন, পেটালে পিটুনি খাব

ছবি

মানিকগঞ্জে পালাকার ও অনুসারীদের ওপর হামলা: বিভিন্ন সংগঠন ও নাগরিকদের ক্ষোভ, প্রতিবাদ

ছবি

মহেশপুর সীমান্তে নারী-শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি আটক

ছবি

সিংগাইরে সারফিন হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

সুবর্ণচর উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন

ছবি

সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার সময় জেলে আটক

ছবি

কলারোয়া সুপারির বাম্পার ফলন দাম কমে দুশ্চিন্তায় চাষিরা

ছবি

মধুপুরে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেল ধাক্কা, দুইজন নিহত

ছবি

কলমাকান্দায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

বরগুনায় শীতজনিত রোগের প্রকোপ হাসপাতালে শিশু রোগীদের ভিড়

ছবি

মোরেলগঞ্জে ১৭শ’ কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ

ছবি

দশমিনায় আমন খেতে রিলে পদ্ধতিতে সরিষার চাষ

ছবি

ডিমলায় ফের অনুমোদনহীন পেট্রোল পাম্পের সয়লাব

ছবি

বিয়ানীবাজার কলেজে সুপেয় পানির ফিল্টার স্থাপন

ছবি

সিরাজদিখানে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

বাগেরহাটের সাবেক এমপি মিলন ও সাবেক মেয়র মনিরের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা

ছবি

চিতলমারীতে প্রতিপক্ষের হামলায় এক পরিবারের ৫ জন আহত

ছবি

পটিয়া শ্রীমাই খাল থেকে অবৈধভাবে কোটি টাকার বালু উত্তোলন

ছবি

সিলেট ৪ আসনে স্থানীয় জনগণের আকাঙ্খা মূল্যায়নের দাবি

ছবি

যমুনার ভাঙনে দিশেহারা চরের মানুষ, বাড়ি সরাতে হিমশিম খাচ্ছেন শ্রমজীবীরা

ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ে চেক ও কৃষি উপকরণ বিতরণ

ছবি

অতিথি পাখির দেখা নেই উপকুলীয় এলাকায়

ছবি

আত্রাইয়ে আগুনে তিন দোকান ভস্মিভূত

ছবি

সরাইলে টেটাবিদ্ধ হয়ে বৃদ্ধ নিহত, আহত ২০

ছবি

অনিরাপদ হয়ে উঠেছে চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতু

ছবি

চট্টগ্রামে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

সার ডিলার লাইসেন্স বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান

ছবি

পাঁচবিবিতে সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ সিস্টেমের উদ্বোধন

ছবি

নরসুন্দা নদীর মরিচখালী এলাকা দখলের অভিযোগ

ছবি

বিএডিসিতে বছরে জমা ৫ হাজার, লাখ টাকা ব্লক ম্যানেজারের পকেটে

ছবি

মোহনগঞ্জে শীতকালীন শাকসবজি আবাদে ব্যস্ত কৃষক

ছবি

দাউদকান্দির কল্যাণপুর সেতুটি এখন মরণফাদ

ছবি

কুমিল্লায় গোমতীর চর যেন এক শসার রাজ্য

ছবি

৫৯ বিজিবি’র অভিযানে নেশাজাতীয় টেনসিউইন ট্যাবলেট উদ্ধার

ছবি

চট্টগ্রামে থানা ব্যারাকের বাথরুম থেকে পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ছবি

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫৯ জন

tab

গাজীপুরে অপহৃত চিকিৎসক মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত

চার ঘণ্টা জিম্মি রেখে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আদায় করা হয় লাখ টাকা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের এক চিকিৎসক শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর থেকে অপহৃত হন এবং চার ঘণ্টা পর মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পান। অপহরণকারীরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আদায় করে।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর দক্ষিণ পাশে বাসের অপেক্ষায় ছিলেন চিকিৎসক আমিনুর রহমান। এ সময় একটি সিলভার রঙের প্রাইভেট কার সেখানে থামে এবং যাত্রীদের ডাকতে থাকে। ডাক উপেক্ষা করলেও তিনজন যুবক (প্রায় ১৮-২৫ বছর বয়সী) পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িতে তোলে।

তিনি জানান, অপহরণের পরপরই তার চোখ স্কচ টেপ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর হাতুড়ি দিয়ে হাঁটুতে আঘাত করা হয় এবং তাকে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি গলায় রশি পেঁচানোর চেষ্টা করা হয়।

“তারা প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। পরে বলে তিন লাখ দিলেই হবে। আমার সঙ্গে থাকা ৯ হাজার ৫০০ টাকা, ক্রেডিট কার্ড, দুটি স্মার্টফোন এবং একটি ল্যাপটপ কেড়ে নেয়। এরপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আদায় করে।”

অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্ত্রীর কাছ থেকে নগদ অ্যাকাউন্টে ৪৫ হাজার টাকা, বিকাশে ৫০ হাজার টাকা এবং তাদের নিজস্ব বিকাশ নম্বরে আরও ৩০ হাজার টাকা জমা নেয়।

চার ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সালনা এলাকায় তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি সালনা মহাসড়কের একটি দোকানে গিয়ে ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বাসায় ফিরে বিষয়টি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানান।

শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, “মৌখিক খবর পেয়ে আমরা মোবাইল ট্র্যাকিং শুরু করি। পরে চিকিৎসকের পরিবার থেকে জানানো হয়, তিনি বাসায় ফিরে গেছেন। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

চিকিৎসক আমিনুর রহমান জানান, অপহরণকারীরা পেশাদার। তারা সরাসরি তাকে জানায়, “আপনি কিডন্যাপ হয়েছেন। আমাদের কাজই এটা। টাকা দিলে ছেড়ে দেব।” অপহরণের সময় তারা তার উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে এবং বারবার টাকার জন্য চাপ দেয়।

এ ধরনের অপরাধ রোধে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি। একই সঙ্গে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে।

back to top