চার ঘণ্টা জিম্মি রেখে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আদায় করা হয় লাখ টাকা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের এক চিকিৎসক শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর থেকে অপহৃত হন এবং চার ঘণ্টা পর মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পান। অপহরণকারীরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আদায় করে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর দক্ষিণ পাশে বাসের অপেক্ষায় ছিলেন চিকিৎসক আমিনুর রহমান। এ সময় একটি সিলভার রঙের প্রাইভেট কার সেখানে থামে এবং যাত্রীদের ডাকতে থাকে। ডাক উপেক্ষা করলেও তিনজন যুবক (প্রায় ১৮-২৫ বছর বয়সী) পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িতে তোলে।
তিনি জানান, অপহরণের পরপরই তার চোখ স্কচ টেপ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর হাতুড়ি দিয়ে হাঁটুতে আঘাত করা হয় এবং তাকে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি গলায় রশি পেঁচানোর চেষ্টা করা হয়।
“তারা প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। পরে বলে তিন লাখ দিলেই হবে। আমার সঙ্গে থাকা ৯ হাজার ৫০০ টাকা, ক্রেডিট কার্ড, দুটি স্মার্টফোন এবং একটি ল্যাপটপ কেড়ে নেয়। এরপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আদায় করে।”
অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্ত্রীর কাছ থেকে নগদ অ্যাকাউন্টে ৪৫ হাজার টাকা, বিকাশে ৫০ হাজার টাকা এবং তাদের নিজস্ব বিকাশ নম্বরে আরও ৩০ হাজার টাকা জমা নেয়।
চার ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সালনা এলাকায় তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি সালনা মহাসড়কের একটি দোকানে গিয়ে ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বাসায় ফিরে বিষয়টি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানান।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, “মৌখিক খবর পেয়ে আমরা মোবাইল ট্র্যাকিং শুরু করি। পরে চিকিৎসকের পরিবার থেকে জানানো হয়, তিনি বাসায় ফিরে গেছেন। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চিকিৎসক আমিনুর রহমান জানান, অপহরণকারীরা পেশাদার। তারা সরাসরি তাকে জানায়, “আপনি কিডন্যাপ হয়েছেন। আমাদের কাজই এটা। টাকা দিলে ছেড়ে দেব।” অপহরণের সময় তারা তার উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে এবং বারবার টাকার জন্য চাপ দেয়।
এ ধরনের অপরাধ রোধে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি। একই সঙ্গে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে।
চার ঘণ্টা জিম্মি রেখে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আদায় করা হয় লাখ টাকা
রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের এক চিকিৎসক শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর থেকে অপহৃত হন এবং চার ঘণ্টা পর মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পান। অপহরণকারীরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আদায় করে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর দক্ষিণ পাশে বাসের অপেক্ষায় ছিলেন চিকিৎসক আমিনুর রহমান। এ সময় একটি সিলভার রঙের প্রাইভেট কার সেখানে থামে এবং যাত্রীদের ডাকতে থাকে। ডাক উপেক্ষা করলেও তিনজন যুবক (প্রায় ১৮-২৫ বছর বয়সী) পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িতে তোলে।
তিনি জানান, অপহরণের পরপরই তার চোখ স্কচ টেপ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর হাতুড়ি দিয়ে হাঁটুতে আঘাত করা হয় এবং তাকে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি গলায় রশি পেঁচানোর চেষ্টা করা হয়।
“তারা প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। পরে বলে তিন লাখ দিলেই হবে। আমার সঙ্গে থাকা ৯ হাজার ৫০০ টাকা, ক্রেডিট কার্ড, দুটি স্মার্টফোন এবং একটি ল্যাপটপ কেড়ে নেয়। এরপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আদায় করে।”
অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্ত্রীর কাছ থেকে নগদ অ্যাকাউন্টে ৪৫ হাজার টাকা, বিকাশে ৫০ হাজার টাকা এবং তাদের নিজস্ব বিকাশ নম্বরে আরও ৩০ হাজার টাকা জমা নেয়।
চার ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সালনা এলাকায় তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি সালনা মহাসড়কের একটি দোকানে গিয়ে ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বাসায় ফিরে বিষয়টি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানান।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, “মৌখিক খবর পেয়ে আমরা মোবাইল ট্র্যাকিং শুরু করি। পরে চিকিৎসকের পরিবার থেকে জানানো হয়, তিনি বাসায় ফিরে গেছেন। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চিকিৎসক আমিনুর রহমান জানান, অপহরণকারীরা পেশাদার। তারা সরাসরি তাকে জানায়, “আপনি কিডন্যাপ হয়েছেন। আমাদের কাজই এটা। টাকা দিলে ছেড়ে দেব।” অপহরণের সময় তারা তার উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে এবং বারবার টাকার জন্য চাপ দেয়।
এ ধরনের অপরাধ রোধে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি। একই সঙ্গে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে।