চন্দ্রগঞ্জ থেকে ফিরে,
লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন বটতলী ও দত্তপাড়া রোডের বেহাল দশা বিরাজ করছে। গেল বছর বন্যার পর রাস্তাটি আর মেরামত করা হয়নি। তবে সংস্কার করা হবে তাও কেউ জানে না। তবে গত শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের তেমন আলমত দেখা যায়নি।
বটতলী থেকে দত্তপাড়া পর্যন্ত পুরো রাস্তায় খাদা খন্দক,গর্ত হয়ে রয়েছে। রাস্তাটি দিয়ে অটোরিকশা,টম,এমনকি অন্য পরিবহন যোগে যাতায়াত কষ্টকর। সুস্থ্য মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কাহিল হয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে বটতলী ও দত্তপাড়া সড়ক মেরামত করে মানুষ ও যানচলাচলে উপযোগী করার দাবি।
সরজমিনে গত বৃহস্পতিবার রাতে ও গত শুক্রবার সকালে ওই রাস্তা গিয়ে দেখা গেছে। সেখানে বটতলী থেকে দত্তপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি ৪ কিলোমিটারেরও বেশী। গেল বছর বন্যার পর থেকে পুরো রাস্তাটি খাদাখন্দক এবং অনেক স্থানের মাটি ও ইট সরে গেছে। ইট ভেঙ্গে রাস্তার চারপাশ্বের পরিবেশ ধূলা বালিতে নোংরা,ইটের লাল রংয়ের কারনে ইট ভেঙ্গে লাল হয়ে গেছে।
সূত্র জানায় , ২০ মিনিটের রাস্তা এখন যেতে এক ঘন্টার বেশী সময় লাগে। সাড়ে ৪ কিলোমিটারের মধ্যে নূন্যতম রাস্তা ভাল নেই। প্রতিদিন ২৪ ঘন্টায় এই রাস্তা দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করছে। অনেকেই জীবনের ঝুকি নিয়ে ভাঙ্গা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। কেউ রাস্তা খাদা খন্দকের কারনে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। আবার অনেকেই গালাগালও করেন। কিন্তু সেই গালাগাল রাস্তা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।
এই প্রতিবেদক দুই দফায় ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার সময় অটোরিকশা (সিএনজি) যোগে বশিকপুর যাওয়ার সময় অনেকের গালাগাল শুনেছি। বিশেষ করে যারা শহর থেকে না জেনে ওই রাস্তা দিয়ে যান তারাই বকাবকি করছেন।
আবার দত্তপাড়া হাইস্কুলের কাছ থেকে বশিকপুর যেতে আবার বশিকপুর বাজার থেকে পৌদ্ধার বাজার পর্যন্ত পাকা রাস্তাটি এখন আর পাকা নেই। রাস্তার কিছু ভাঙ্গা ইট ও মাটি ছাড়া সবাই বন্য্য়া তলিয়ে গেছে। ফলে সেখানে জনদুর্ভোগ চরমে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ছাত্র জুনায়েদ আহমেদ বলেন, প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের বেশী যানবাহন চলাচল করছে। রাস্তাটিতে ভাঙ্গা থাকায় এলাকাবাসীর চলাচলে প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে। এই কষ্টের আর শেষ নেই। তারা এই কষ্ট থেকে বাঁচতে চায়।
বটতলী থেকে দত্তপাড়া রাস্তাটি চলাচলে কষ্ট হওয়ায় অনেকেই মান্দারী রোড ও জকশিন রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু বশিকপুরের প্রধান সড়কটি বেহাল থাকায় সেখানেও মানুষের ও যানবাহন চলচলে কষ্টকর হচ্ছে।
উল্লেখ্য বছর ভয়াবহ বন্যায় লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন অংশ দীর্ঘদিন ডুবে ছিল। সেখানে লাখ লাখ মানুষ ছিল পানিবন্দী। পাকা রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। ফেনীর পরে লক্ষীপুর ছিল আলোচনায়। কিন্তু বন্যায় হাজার হাজার সব কিছু হারিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও রাস্তাগুলো আজও মেরামত হয়নি। রাস্তার কাজ গুলো দ্রুত মেরামত করলে জেলাবাসী উপকৃত হবে। যানবাহনে নিরাপদে স্বত্ত্বিতে চলাচল করতে চায় এলাকাবাসী।
বটতলী থেকে দত্তপাড়া পর্যন্ত প্রধান সড়কের দুই পাশ্বে একাধিক স্কুল ও কলেজ রয়েছে। আবার বশিকপুরে একাধিক স্কুল ও কলেজ রয়েছে। বহু ছাত্রছাত্রী ওই সব প্রতিষ্ঠানে লেখাপাড়া করেন। প্রতিদিন তাদেরকে ওই সব রাস্তা দিয়ে চলচল করতে হয়। কিন্তু ভাঙা, ধূলাবালিতে সয়লাভ রাস্তার কারনে দত্তপাড়া,বশিকপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার বাসিন্দা চরম বিপাকে আছেন। তারা শিঘ্রই রাস্তাটি মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন। আর কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিতে পারছে না । অনেকেই কম দামে বাড়িতে ও আশপাশের দোকানে কম দামে কৃষি পণ্য বিক্রি করছে।
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
চন্দ্রগঞ্জ থেকে ফিরে,
লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন বটতলী ও দত্তপাড়া রোডের বেহাল দশা বিরাজ করছে। গেল বছর বন্যার পর রাস্তাটি আর মেরামত করা হয়নি। তবে সংস্কার করা হবে তাও কেউ জানে না। তবে গত শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের তেমন আলমত দেখা যায়নি।
বটতলী থেকে দত্তপাড়া পর্যন্ত পুরো রাস্তায় খাদা খন্দক,গর্ত হয়ে রয়েছে। রাস্তাটি দিয়ে অটোরিকশা,টম,এমনকি অন্য পরিবহন যোগে যাতায়াত কষ্টকর। সুস্থ্য মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কাহিল হয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে বটতলী ও দত্তপাড়া সড়ক মেরামত করে মানুষ ও যানচলাচলে উপযোগী করার দাবি।
সরজমিনে গত বৃহস্পতিবার রাতে ও গত শুক্রবার সকালে ওই রাস্তা গিয়ে দেখা গেছে। সেখানে বটতলী থেকে দত্তপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি ৪ কিলোমিটারেরও বেশী। গেল বছর বন্যার পর থেকে পুরো রাস্তাটি খাদাখন্দক এবং অনেক স্থানের মাটি ও ইট সরে গেছে। ইট ভেঙ্গে রাস্তার চারপাশ্বের পরিবেশ ধূলা বালিতে নোংরা,ইটের লাল রংয়ের কারনে ইট ভেঙ্গে লাল হয়ে গেছে।
সূত্র জানায় , ২০ মিনিটের রাস্তা এখন যেতে এক ঘন্টার বেশী সময় লাগে। সাড়ে ৪ কিলোমিটারের মধ্যে নূন্যতম রাস্তা ভাল নেই। প্রতিদিন ২৪ ঘন্টায় এই রাস্তা দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করছে। অনেকেই জীবনের ঝুকি নিয়ে ভাঙ্গা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। কেউ রাস্তা খাদা খন্দকের কারনে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। আবার অনেকেই গালাগালও করেন। কিন্তু সেই গালাগাল রাস্তা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।
এই প্রতিবেদক দুই দফায় ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার সময় অটোরিকশা (সিএনজি) যোগে বশিকপুর যাওয়ার সময় অনেকের গালাগাল শুনেছি। বিশেষ করে যারা শহর থেকে না জেনে ওই রাস্তা দিয়ে যান তারাই বকাবকি করছেন।
আবার দত্তপাড়া হাইস্কুলের কাছ থেকে বশিকপুর যেতে আবার বশিকপুর বাজার থেকে পৌদ্ধার বাজার পর্যন্ত পাকা রাস্তাটি এখন আর পাকা নেই। রাস্তার কিছু ভাঙ্গা ইট ও মাটি ছাড়া সবাই বন্য্য়া তলিয়ে গেছে। ফলে সেখানে জনদুর্ভোগ চরমে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ছাত্র জুনায়েদ আহমেদ বলেন, প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের বেশী যানবাহন চলাচল করছে। রাস্তাটিতে ভাঙ্গা থাকায় এলাকাবাসীর চলাচলে প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে। এই কষ্টের আর শেষ নেই। তারা এই কষ্ট থেকে বাঁচতে চায়।
বটতলী থেকে দত্তপাড়া রাস্তাটি চলাচলে কষ্ট হওয়ায় অনেকেই মান্দারী রোড ও জকশিন রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু বশিকপুরের প্রধান সড়কটি বেহাল থাকায় সেখানেও মানুষের ও যানবাহন চলচলে কষ্টকর হচ্ছে।
উল্লেখ্য বছর ভয়াবহ বন্যায় লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন অংশ দীর্ঘদিন ডুবে ছিল। সেখানে লাখ লাখ মানুষ ছিল পানিবন্দী। পাকা রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। ফেনীর পরে লক্ষীপুর ছিল আলোচনায়। কিন্তু বন্যায় হাজার হাজার সব কিছু হারিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও রাস্তাগুলো আজও মেরামত হয়নি। রাস্তার কাজ গুলো দ্রুত মেরামত করলে জেলাবাসী উপকৃত হবে। যানবাহনে নিরাপদে স্বত্ত্বিতে চলাচল করতে চায় এলাকাবাসী।
বটতলী থেকে দত্তপাড়া পর্যন্ত প্রধান সড়কের দুই পাশ্বে একাধিক স্কুল ও কলেজ রয়েছে। আবার বশিকপুরে একাধিক স্কুল ও কলেজ রয়েছে। বহু ছাত্রছাত্রী ওই সব প্রতিষ্ঠানে লেখাপাড়া করেন। প্রতিদিন তাদেরকে ওই সব রাস্তা দিয়ে চলচল করতে হয়। কিন্তু ভাঙা, ধূলাবালিতে সয়লাভ রাস্তার কারনে দত্তপাড়া,বশিকপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার বাসিন্দা চরম বিপাকে আছেন। তারা শিঘ্রই রাস্তাটি মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন। আর কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিতে পারছে না । অনেকেই কম দামে বাড়িতে ও আশপাশের দোকানে কম দামে কৃষি পণ্য বিক্রি করছে।