মুজিব বর্ষের লোগো ব্যবহারের অভিযোগে তীব্র প্রতিবাদ, সাময়িকভাবে স্থগিত প্রিপেইড মিটার প্রকল্প
রংপুরে প্রিপেইড মিটার স্থাপন নিয়ে জেলা প্রশাসনের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মুজিব বর্ষের লোগো ব্যবহারের ঘটনায় তীব্র হট্টগোল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সভাটি পণ্ড হয়ে যায়। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, প্রিপেইড মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য জেলা প্রশাসন এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। উপস্থিত ছিলেন রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব পলাশ কান্তি নাগ, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে।
সভার শুরুতেই নেসকোর পক্ষ থেকে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের উপযোগিতা নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। প্রেজেন্টেশনটি উপস্থাপন করেন রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের স্মার্ট প্রিপেমেন্ট মিটার প্রকল্প বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সাইয়্যিদুল মুরসালীন। এ সময় নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম মণ্ডলসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রেজেন্টেশনের সময় মুজিব বর্ষের লোগো দেখা গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ অন্য অংশগ্রহণকারীরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায় এবং প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনকারী কর্মকর্তা তোপের মুখে সম্মেলনকক্ষ ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব পলাশ কান্তি নাগ বলেন, “মুজিব বর্ষের লোগো কেন উপস্থাপনায় দেখানো হলো, তা নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলি। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ অন্যরা প্রতিবাদ শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।”
ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য জানতে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সাইয়্যিদুল মুরসালীনকে ফোন করা হলে তাঁর নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম মণ্ডল এই ঘটনাকে “অনাকাঙ্ক্ষিত” বলে মন্তব্য করেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল জানান, “নেসকোর উপস্থাপনায় মুজিব বর্ষের লোগো আসা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এটি সভাটিকে বিতর্কিত করতে ইচ্ছাকৃতভাবে করা হতে পারে বলে ধারণা করছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “নেসকোর প্রিপেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের অসন্তোষ ও অভিযোগের ভিত্তিতেই এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু উপস্থাপনার কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। ফলে সভা স্থগিত করতে বাধ্য হই।”
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আজই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া নেসকোর প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর প্রিপেইড মিটার প্রকল্প নিয়ে রংপুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে দাবি করছেন, এই প্রকল্পে নাগরিকদের মতামত উপেক্ষা করা হচ্ছে।
মুজিব বর্ষের লোগো ব্যবহারের অভিযোগে তীব্র প্রতিবাদ, সাময়িকভাবে স্থগিত প্রিপেইড মিটার প্রকল্প
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
রংপুরে প্রিপেইড মিটার স্থাপন নিয়ে জেলা প্রশাসনের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মুজিব বর্ষের লোগো ব্যবহারের ঘটনায় তীব্র হট্টগোল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সভাটি পণ্ড হয়ে যায়। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, প্রিপেইড মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য জেলা প্রশাসন এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। উপস্থিত ছিলেন রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব পলাশ কান্তি নাগ, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে।
সভার শুরুতেই নেসকোর পক্ষ থেকে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের উপযোগিতা নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। প্রেজেন্টেশনটি উপস্থাপন করেন রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের স্মার্ট প্রিপেমেন্ট মিটার প্রকল্প বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সাইয়্যিদুল মুরসালীন। এ সময় নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম মণ্ডলসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রেজেন্টেশনের সময় মুজিব বর্ষের লোগো দেখা গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ অন্য অংশগ্রহণকারীরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায় এবং প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনকারী কর্মকর্তা তোপের মুখে সম্মেলনকক্ষ ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব পলাশ কান্তি নাগ বলেন, “মুজিব বর্ষের লোগো কেন উপস্থাপনায় দেখানো হলো, তা নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলি। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ অন্যরা প্রতিবাদ শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।”
ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য জানতে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সাইয়্যিদুল মুরসালীনকে ফোন করা হলে তাঁর নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম মণ্ডল এই ঘটনাকে “অনাকাঙ্ক্ষিত” বলে মন্তব্য করেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল জানান, “নেসকোর উপস্থাপনায় মুজিব বর্ষের লোগো আসা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এটি সভাটিকে বিতর্কিত করতে ইচ্ছাকৃতভাবে করা হতে পারে বলে ধারণা করছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “নেসকোর প্রিপেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের অসন্তোষ ও অভিযোগের ভিত্তিতেই এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু উপস্থাপনার কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। ফলে সভা স্থগিত করতে বাধ্য হই।”
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আজই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া নেসকোর প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর প্রিপেইড মিটার প্রকল্প নিয়ে রংপুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে দাবি করছেন, এই প্রকল্পে নাগরিকদের মতামত উপেক্ষা করা হচ্ছে।