নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরি ভবনের হল রুমে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মাসব্যাপী এই মেলার কথা জানানো হয়। আগামী ১৮ জানুয়ারি বিকেল থেকে শুরু হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলবে মাসব্যাপী এই লোককারুশিল্প ও মেলা লোকজ উৎসব।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, এবার মাসব্যাপী মেলা ও উৎসবের উদ্বোধন করবেন সংষ্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লুপ্তপ্রায় লোকজ ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা, প্রদর্শন এবং পুনরুজ্জীবন দান করাই মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। মেলার পাশাপাশি এই লোকজ উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালি গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুন্দ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি হয়ে থাকে। এবারের মেলায় সোনারগাঁয়ের জামদানি, ঝিনাইদাহ ও মাগুরার শেলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ী ও মৃৎ শিল্প, চট্টগ্রামের তালপাতার হাতপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁয়ের কাঠের পুতুল, কাঠের কারুশিল্প ও নকশী কাঁথা, সিলেটের শীতল পাটি, ধামরাইয়ের তামা কাঁসা ও পিতলের কারুশিল্প, কক্সবাজারের ঝিনুকশিল্প, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা পুতুল, কুমিল্লার খাদিশিল্প, বান্দরবান ও রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির কারু পন্য ও টাঙ্গাইলের বাঁশের কারুশিল্পসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য প্রদর্শণের জন্য সাধারণ ও কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনীর ৩২টি স্টলসহ ১০০ টি স্টল স্থান পাচ্ছে। এছাড়াও এবার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ভৌগলিক নির্দেশক হিসেবে লোককারুশিল্পের ৫টি মাধ্যমের বিশেষ প্রদর্শনী, কারুশিল্পীদের অবস্থানগত অঞ্চল ভিত্তিক স্থানিক পরিচিতি প্রদর্শণ, মেলায় আগত শিশুদের জন্য লোককারুশিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়ার অনুশীলন চত্বর, কর্মরত কারুশিল্পীদের অংশ নেয়া ৬৪ জন শিল্পীকে সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদানসহ ইত্যাদি ইত্যাদি। মেলা উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এ কে আজাদ সরকার, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ রহমান, ট্যুরিষ্ট পুলিশের ওসিদেলোয়ার হোসেন, সোনারগাঁ থানার তদন্ত ওসি রাশেদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ‘সোনারগাঁ’র ডিজি এম কামাল হোসেন, সোনারগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সভাপতি শাজাহান মিয়া, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের গাইড লেকচারার এ কে এম মুজাম্মেল হক মাসুদ, সিকিউরিটি অফিসার শাখাওয়াত হোসেন প্রমূখ। মেলা চলাকালীন সময়ে দেশী বিদেশী পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে ফাউন্ডেশন এলাকা। আগামী ১৮ জানুয়ারি বিকেলে শুরু হয়ে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী শেষ হবে মাসব্যাপী এই মেলা ও উৎসব। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা প্রাঙ্গন।
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরি ভবনের হল রুমে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মাসব্যাপী এই মেলার কথা জানানো হয়। আগামী ১৮ জানুয়ারি বিকেল থেকে শুরু হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলবে মাসব্যাপী এই লোককারুশিল্প ও মেলা লোকজ উৎসব।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, এবার মাসব্যাপী মেলা ও উৎসবের উদ্বোধন করবেন সংষ্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লুপ্তপ্রায় লোকজ ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা, প্রদর্শন এবং পুনরুজ্জীবন দান করাই মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। মেলার পাশাপাশি এই লোকজ উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালি গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুন্দ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি হয়ে থাকে। এবারের মেলায় সোনারগাঁয়ের জামদানি, ঝিনাইদাহ ও মাগুরার শেলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ী ও মৃৎ শিল্প, চট্টগ্রামের তালপাতার হাতপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁয়ের কাঠের পুতুল, কাঠের কারুশিল্প ও নকশী কাঁথা, সিলেটের শীতল পাটি, ধামরাইয়ের তামা কাঁসা ও পিতলের কারুশিল্প, কক্সবাজারের ঝিনুকশিল্প, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা পুতুল, কুমিল্লার খাদিশিল্প, বান্দরবান ও রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির কারু পন্য ও টাঙ্গাইলের বাঁশের কারুশিল্পসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য প্রদর্শণের জন্য সাধারণ ও কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনীর ৩২টি স্টলসহ ১০০ টি স্টল স্থান পাচ্ছে। এছাড়াও এবার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ভৌগলিক নির্দেশক হিসেবে লোককারুশিল্পের ৫টি মাধ্যমের বিশেষ প্রদর্শনী, কারুশিল্পীদের অবস্থানগত অঞ্চল ভিত্তিক স্থানিক পরিচিতি প্রদর্শণ, মেলায় আগত শিশুদের জন্য লোককারুশিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়ার অনুশীলন চত্বর, কর্মরত কারুশিল্পীদের অংশ নেয়া ৬৪ জন শিল্পীকে সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদানসহ ইত্যাদি ইত্যাদি। মেলা উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এ কে আজাদ সরকার, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ রহমান, ট্যুরিষ্ট পুলিশের ওসিদেলোয়ার হোসেন, সোনারগাঁ থানার তদন্ত ওসি রাশেদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ‘সোনারগাঁ’র ডিজি এম কামাল হোসেন, সোনারগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সভাপতি শাজাহান মিয়া, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের গাইড লেকচারার এ কে এম মুজাম্মেল হক মাসুদ, সিকিউরিটি অফিসার শাখাওয়াত হোসেন প্রমূখ। মেলা চলাকালীন সময়ে দেশী বিদেশী পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে ফাউন্ডেশন এলাকা। আগামী ১৮ জানুয়ারি বিকেলে শুরু হয়ে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী শেষ হবে মাসব্যাপী এই মেলা ও উৎসব। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা প্রাঙ্গন।