alt

সারাদেশ

পাঠদান ব্যাহত, কাহালুতে বিদ্যালয় মাঠে ধান ও সবজির হাট

বগুড়া প্রতিনিধি : শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

বগুড়ার কাহালু উপজেলার দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে যুগ যুগ ধরে বসছে ধান ও সবজির হাট। হাট উচ্ছেদে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেও মিলছেনা প্রতিকার। অসহায় প্রধান শিক্ষক সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিঘিœত হচ্ছে বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান। হাটের ইজারাদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন।

কাহালু উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম কোণে দুর্গাপুর বাজারে এ হাট অবস্থিত। দুর্গাপুর বাজারের কাছেই ৫৩ শতক জায়গার উপর ১৯৪০ সালে স্থাপিত হয়েছে দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪শ। সপ্তাহের দুই দিন মঙ্গলবার ও শুক্রবার এ হাট বসে। সকালে ধানের হাট, বিকেলে সবজির হাট। যুগ যুগ ধরে এভাবেই চলছে দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দুর্গাপুর হাট। স্থানীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য ধান ও সবজি ভ্যানগাড়ি, ভটভটি করে বিদ্যালয় মাঠে বসানো হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। ধান হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের হৈ চৈ ডাক হাঁকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শ্রেনি কক্ষে মনোযোগ নষ্ট, ধুলাবালু ও ময়লা আবজর্নায় বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হলেও দেখার যেন কেউ নেই।

সপ্তাহের পাঁচ দিন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নের সুযোগ পেলেও বিদ্যালয় মাঠে হাট বসার কারণে সমাবেশ, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা থেকে শিক্ষার্থীরা হচ্ছে বঞ্চিত।

গত ১৪ জানুয়ারি মঙলবার সকালে দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে মাঠে বসেছে ধান ও সবজির হাট। স্থানীয় কৃষকরা ভ্যানগাড়ি ও ভটভটি করে ধান ও সবজি বিক্রি করতে হাটে নিয়ে এসেছেন। হাটুরেদের হৈ চৈ এ সরগরম বিদ্যালয় প্রাঙ্গন ।

এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে হাটের ইজারাদার ও দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন আতœগোপনে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার আরেক পার্টনার শ্রী নিতাই চন্দ্র জানান, হাটের জায়গা প্রায় এক একর। কিছু জায়গায় শেড ও পাকা স্থাপনা রয়েছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় আমার জন্মের আগে থেকে হাটটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বসে আসছে। দীর্ঘ দিন ধরে এ ভাবেই চলে আসছে দূর্গাপুর হাট। এবার ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে এ হাট ইজারা নিয়েছি। হাটের জায়গা সরকারি, বিদ্যালয়ের জায়গাও সরকারি। বিদ্যালয়ের মাঠ ব্যবহারে স্থানীয় লোকজন কোন দিন আপত্তি জানায়নি। বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসলেও শিক্ষার্থীদের কোন ক্ষতি হয়না। এছাড়া বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককের বেতন বাবদ মাসে ১২শ টাকা পরিশোধ করা হয়। হাট ইজারার নেয়ার মেয়াদ বাকি আছে মাত্র ৩ মাস। উচ্চ মূল্যে এ হাটে ইজারা নিয়ে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবকরা জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ বিঘিœত করে বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসাতে প্রধান শিক্ষকের কাছে কয়েক দফা অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। কারণ হাটের ইজারাদার আওয়ামী লীগ নেতা।

অপরদিকে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শ্রেণি শিক্ষকের সাথে কথা বলা হলে তারা জানান, বিদ্যালয় মাঠে হাট বসায় হৈ চৈ এ পাঠদানের সময় শিক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট হয়। সেই সাথে ধুলাবালিতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণ পাশ্বে অবস্থিত শহিদ মিনারের অমর্যাদা হচ্ছে। ইজাররাদার আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ার কারণে কেউ সাহস করে কিছু বলতে পারেনা।

বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জানান, সকালে ধানের হাট, দুপুরে সবজির হাট বসায় বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ায় কঠিন হয়ে পড়ে। খেলাধুলাও করা যায়না। হাটের পরের দিন বিদ্যালয়ের মাঠে নোংরা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। মাঝে মধ্যে ক্রেতা বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা বিদ্যালয়ের শৌচাগারও ব্যবহার করে। বর্ষা মৌসুমে হাটুরে ও ব্যবসায়ীরা বিদ্যালয়ের বারান্দা ও শ্রেনি কক্ষে ঢুকে পড়ে। তখন শ্রেনি কক্ষে টেকাই দায় হয়ে পড়ে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফারুক হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের মাঠ সীমানা প্রাচীর বেষ্টনী করে গেট নির্মাণ করা হয়েছে। তবুও বিদ্যালয় মাঠে হাট বসানো ঠেকানো যাচ্ছেনা। বিদ্যালয়ের জায়গা সরকারি হওয়া স্বত্বেও ইজারদাররা জোরপূর্বক পেশী শক্তির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসিয়ে অবৈধভাবে হাটের ব্যবসা করে আসছেন। ইজারদারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দাখিল করেও আজও কোন প্রতিকার মিলেনি। আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার কারণে কিছু বলা যায় না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মুহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিদ্যালয় মাঠে হাট না বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে একাধিক বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।

বিষয়টি কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কাওছার হাবীব কে অবহিত করা হলে তিনি জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। কেউ অভিযোগ করলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

চাঁদপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

চুনারুঘাটে মেছো বিড়াল উদ্ধার

বাগাতিপাড়ায় অধিকাংশ বিদ্যালয়ের শৌচাগারের বেহাল অবস্থা, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

ফটিকছড়িতে কাবার আদলে স্থাপনা নির্মাণ

ছবি

রাচন্দ্রঘোনায় বসন্তবরণ

বিয়ে বাড়ির আনন্দ রূপ নিল বিষাদে, খুলে ফেলা হলো বউ ভাতের প্যান্ডেল

নগরকান্দায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রির অভিযোগ

সৈয়দপুর পৌরসভা এলাকায় ৫ মন্দিরে নতুন কমিটি গঠিত

ছবি

সরিষার প্রায়োগিক পরীক্ষণ মূল্যায়ন ও চাষাবাদ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস

আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা আকাশ গ্রেপ্তার

ছবি

কাজিপুরে কমেছে মিষ্টি আলুর চাষ

ছবি

পলাশবাড়ীতে ৫ গ্রামের মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোতে চলাচল

৩ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১ শিক্ষার্থী ২ ব্যবসায়ীর মৃত্যু

দেড় মাসেও বই পায়নি অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা

ফুলচাষির স্বপ্ন ভাঙল শত্রুরা

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০ ঘর ভাঙচুর-লুটপাট

ভোটার আইডির ছবি তুলতে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫

নিয়ামতপুরে বৃদ্ধাকে হত্যা

চকরিয়ায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

চট্টগ্রামে গুদাম ও বসতঘরে আগুন

বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করার সময় আটক ১

সীমান্তে ভারতীয় মদসহ আটক ১

ছবি

ভালোবাসা দিবসে অন্যরকম ভালোবাসা পেলেন বয়োবৃদ্ধরা

কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর যেন দুর্নীতির আখড়া

সিংড়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ,

পাউবোর বাঁধের মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি, নীরব প্রশাসন

রাজবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত

ছবি

নরসিংদীতে গৃহবধূ হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

কমছে ফসলি জমি বাড়ছে পুকুর

যমুনা রেলওয়ে সেতু চালু বড় বাধা ১১৪ কিমি সিঙ্গেল লাইন

ডুমুরিয়ায় পানির দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো

ছবি

পাবনায় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর

ছবি

নন্দীগ্রামে বিনা চাষে সরিষা আবাদে ঝুঁকছেন কৃষকরা

রাজবাড়ীতে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই যুবকের মৃত্যু

ছবি

৮ বছরেও শেষ হয়নি একডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ

কাপাসিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রধান শিক্ষক দম্পতির মৃত্যু

tab

সারাদেশ

পাঠদান ব্যাহত, কাহালুতে বিদ্যালয় মাঠে ধান ও সবজির হাট

বগুড়া প্রতিনিধি

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

বগুড়ার কাহালু উপজেলার দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে যুগ যুগ ধরে বসছে ধান ও সবজির হাট। হাট উচ্ছেদে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেও মিলছেনা প্রতিকার। অসহায় প্রধান শিক্ষক সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিঘিœত হচ্ছে বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান। হাটের ইজারাদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন।

কাহালু উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম কোণে দুর্গাপুর বাজারে এ হাট অবস্থিত। দুর্গাপুর বাজারের কাছেই ৫৩ শতক জায়গার উপর ১৯৪০ সালে স্থাপিত হয়েছে দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪শ। সপ্তাহের দুই দিন মঙ্গলবার ও শুক্রবার এ হাট বসে। সকালে ধানের হাট, বিকেলে সবজির হাট। যুগ যুগ ধরে এভাবেই চলছে দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দুর্গাপুর হাট। স্থানীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য ধান ও সবজি ভ্যানগাড়ি, ভটভটি করে বিদ্যালয় মাঠে বসানো হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। ধান হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের হৈ চৈ ডাক হাঁকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শ্রেনি কক্ষে মনোযোগ নষ্ট, ধুলাবালু ও ময়লা আবজর্নায় বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হলেও দেখার যেন কেউ নেই।

সপ্তাহের পাঁচ দিন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নের সুযোগ পেলেও বিদ্যালয় মাঠে হাট বসার কারণে সমাবেশ, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা থেকে শিক্ষার্থীরা হচ্ছে বঞ্চিত।

গত ১৪ জানুয়ারি মঙলবার সকালে দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে মাঠে বসেছে ধান ও সবজির হাট। স্থানীয় কৃষকরা ভ্যানগাড়ি ও ভটভটি করে ধান ও সবজি বিক্রি করতে হাটে নিয়ে এসেছেন। হাটুরেদের হৈ চৈ এ সরগরম বিদ্যালয় প্রাঙ্গন ।

এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে হাটের ইজারাদার ও দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন আতœগোপনে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার আরেক পার্টনার শ্রী নিতাই চন্দ্র জানান, হাটের জায়গা প্রায় এক একর। কিছু জায়গায় শেড ও পাকা স্থাপনা রয়েছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় আমার জন্মের আগে থেকে হাটটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বসে আসছে। দীর্ঘ দিন ধরে এ ভাবেই চলে আসছে দূর্গাপুর হাট। এবার ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে এ হাট ইজারা নিয়েছি। হাটের জায়গা সরকারি, বিদ্যালয়ের জায়গাও সরকারি। বিদ্যালয়ের মাঠ ব্যবহারে স্থানীয় লোকজন কোন দিন আপত্তি জানায়নি। বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসলেও শিক্ষার্থীদের কোন ক্ষতি হয়না। এছাড়া বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককের বেতন বাবদ মাসে ১২শ টাকা পরিশোধ করা হয়। হাট ইজারার নেয়ার মেয়াদ বাকি আছে মাত্র ৩ মাস। উচ্চ মূল্যে এ হাটে ইজারা নিয়ে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবকরা জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ বিঘিœত করে বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসাতে প্রধান শিক্ষকের কাছে কয়েক দফা অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। কারণ হাটের ইজারাদার আওয়ামী লীগ নেতা।

অপরদিকে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শ্রেণি শিক্ষকের সাথে কথা বলা হলে তারা জানান, বিদ্যালয় মাঠে হাট বসায় হৈ চৈ এ পাঠদানের সময় শিক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট হয়। সেই সাথে ধুলাবালিতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণ পাশ্বে অবস্থিত শহিদ মিনারের অমর্যাদা হচ্ছে। ইজাররাদার আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ার কারণে কেউ সাহস করে কিছু বলতে পারেনা।

বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জানান, সকালে ধানের হাট, দুপুরে সবজির হাট বসায় বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ায় কঠিন হয়ে পড়ে। খেলাধুলাও করা যায়না। হাটের পরের দিন বিদ্যালয়ের মাঠে নোংরা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। মাঝে মধ্যে ক্রেতা বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা বিদ্যালয়ের শৌচাগারও ব্যবহার করে। বর্ষা মৌসুমে হাটুরে ও ব্যবসায়ীরা বিদ্যালয়ের বারান্দা ও শ্রেনি কক্ষে ঢুকে পড়ে। তখন শ্রেনি কক্ষে টেকাই দায় হয়ে পড়ে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফারুক হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের মাঠ সীমানা প্রাচীর বেষ্টনী করে গেট নির্মাণ করা হয়েছে। তবুও বিদ্যালয় মাঠে হাট বসানো ঠেকানো যাচ্ছেনা। বিদ্যালয়ের জায়গা সরকারি হওয়া স্বত্বেও ইজারদাররা জোরপূর্বক পেশী শক্তির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসিয়ে অবৈধভাবে হাটের ব্যবসা করে আসছেন। ইজারদারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দাখিল করেও আজও কোন প্রতিকার মিলেনি। আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার কারণে কিছু বলা যায় না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মুহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিদ্যালয় মাঠে হাট না বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে একাধিক বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।

বিষয়টি কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কাওছার হাবীব কে অবহিত করা হলে তিনি জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। কেউ অভিযোগ করলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

back to top