alt

সারাদেশ

হালদার চরের ভাণ্ডারী মুলার খ্যাতি দেশজুড়ে প্রতিটি মুলার ওজন ৫ থেকে ১৫ কেজি

প্রতিনিধি, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) : বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

চট্রগ্রামের ফটিকছড়ির হালদার চরের উৎপাদিত ভাণ্ডারী মুলা হাতে কৃষক। -সংবাদ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হালদার চরে চাষ হওয়া মুলার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।

এই মুলার সর্বোচ্চ ওজন ১৫ কেজি। প্রতি বছর মাইজভাণ্ডারী দরবার শরিফের ১০ মাঘ সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী বার্ষিক ওরশ ঘিরে এই মুলা বিক্রি হওয়ার কারণে ভক্তদের কাছে এটি ‘ভাণ্ডারী মুলা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রতি বছরের দরবারে আসা ভক্তদের কাছে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এই জাপানি মুলার।

আর এই ওরশকে কেন্দ্র করে এ মুলা বিক্রি করেন স্থানীয় কৃষকরা।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার হালদা নদীর চরের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ হচ্ছে বড় এ জাপানি মুলা। বিশাল আকৃতির এ মুলা দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন স্বাদ। হালদা নদীর কূলঘেঁষেই বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে মুলা চাষ হয়ে আসছে কয়েক দশক ধরে।

একেকটির মুলার ওজন ৫ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়। একটি মুলা ৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। উপজেলার হালদা নদী, ধুরুং খালের দুই পাড়ে মুলা চাষে বাম্পার ফলন হয়। এছাড়া নাজিরহাট চরগাওপাড়া, কুম্বারপাড়া, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি, রোসাংগিরি, সমিতিরহাট, খিরামসহ বিভিন্ন এলাকায় এ মুলার ফলন হয়। এ মুলা চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। নাইচ্ছার ঘাটের কৃষক নাজিম উদ্দিন জানান, ভাণ্ডারী মুলা একেকটির ওজন ৫ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। বড় আকারের এই মুলা দামে সস্তা ও স্বাদ ভালো হওয়ার কারণে বাজারে চাহিদাও বেড়েছে। বিশেষ করে মাইজভাণ্ডারী দরবার শরিফের ওরশের দিন এ মুলার ব্যাপক চাহিদা থাকে। চাষি আনিসুর রহমান জানান, ১০ মাঘ ওরশ উপলক্ষে সারাদেশ থেকে মাইজভাণ্ডারী ভক্তরা আসেন।

ওরশ শেষে সঙ্গে এ মুলা বাড়িতে নিয়ে যান তারা। যার কারণে প্রতি বছর এ মুলার চাহিদা ব্যাপক বাড়ছে। এছাড়া মুলা চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছি, যার কারণে চাষাবাদেও আগ্রহ বাড়ছে সবার। মুলা ক্রয়কারী নোমান হোসেন বলেন, প্রতি বছর ওরশ শরীফে আসলে মুলা নিয়ে যাই। মুলাগুলো খেতে অনেক ভালো।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, অন্যান্য এলাকার চেয়ে হালদার চরের মাটির গুণাগুণ অনেক বেশি ভালো। নদীর পলিমাটির উর্বরতা ও হাইব্রিড জাতের বৈশিষ্ট্যের কারণে মুলার আকৃতি বড় হয়। ফটিকছড়িতে এবার ৫৬০ হেক্টর জমিতে মুলা চাষ হয়েছে। যেখানে প্রায় সাড়ে ১৮ টন মুলা উৎপাদিত হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছেন এবং কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন।

ছবি

ভালো নেই ভাড়ার দহ বিলের অতিথি পাখিরা

ফটিকছড়িতে বনের ৫২ শতক জায়গা উদ্ধার

ছবি

আমতলী আদালতে বিচারক নেই ভোগান্তিতে ১৫ হাজার মানুষ

ভোলায় নৌকা ডুবে জেলে নিখোঁজ

ছবি

বান্দরবানে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নির্বিচারে চলছে পাহাড় কাটা

সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

নাটোরে মাছের ওষুধ ও খাবারের কারখানায় অভিযান

মেঘনায় ২ বাল্কহেডসহ ৮ জন আটক

কবর থেকে ট্রাক চালকের মরদেহ উত্তোলন

ঘোড়াঘাটে অগ্নিকাণ্ডে ২ বসতঘর ভস্মীভূত

দশমিনায় চোখ হারানো সাইদুল পেলেন সহায়ত

ছবি

জলাবদ্ধতায় ৩ বছর ধরে অনাবাদি আড়াই শতাধিক বিঘা জমি

যৌতুক না পেয়ে শ্যালকের বউ নিয়ে উধাও ভগ্নিপতি

নীলফামারীতে শীতবস্ত্র বিতরণ

চাটখিলে ফসলি জমির মাটি কাটায় জরিমানা

ছবি

বিনা মূল্যে বিতরণের ৯ হাজার বই পাচারের সময় শেরপুরে জব্দ

ছবি

কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ১২৬ বিডিআর সদস্য

ছবি

শীতে কাঁপছে দিনাজপুরের মানুষ, দেখা নেই সূর্যের

ছবি

বেক্সিমকোর কারখানা খোলার দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহনে আগুন

ছবি

জামালপুরে জমি দখল,হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

ছবি

লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ সমাবেশ

ছবি

জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিতেই প্রধান মনোযোগ নির্বাচন কমিশনের: ইসি মাছউদ

তিন জেলায় অগ্নিকান্ডে দোকান ও মন্দির পুড়ে ছাই

খালের পাড় কেটে জমি ভরাট ও মাটি বিক্রির অপরাধে জরিমানা

ছবি

গাজীপুরে বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের অবরোধ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রশাসনের অভিযান

পাকুন্দিয়ায় গাছ কাটা নিয়ে একজন খুন

সুন্দরগঞ্জে বিষপানে কৃষকের আত্মহত্যা

ভালুকায় ডায়িং ফ্যাক্টরির বর্জ্যে খীরুর পানি বিষাক্ত, বিপন্ন জীববৈচিত্র্য

ডুমুরিয়ায় কাজে আসছে না ছয় কোটি টাকার সেতু

বড়াল নদী এখন আবাদি মাঠ

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে জনবল সংকট, স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

ছবি

লামাকাজী সেতুর টোল আদায়ের ইজারা: কম দামে ‘সমঝোতার’ অভিযোগ

ছবি

মাদারীপুরের রাজৈরে চাঁদাবাজি মামলার সাক্ষী খুন, ৫ আসামির যাবজ্জীবন

খুলনা পাউবোর যান্ত্রিক ওয়ার্কশপে ৩৩ লাখ টাকার প্রকল্পে ২৬ লাখেরই কাজ হয়নি

সিদ্ধিরগঞ্জে ভোটার তথ্য সংগ্রহকারীকে মারধর, থানায় অভিযোগ

tab

সারাদেশ

হালদার চরের ভাণ্ডারী মুলার খ্যাতি দেশজুড়ে প্রতিটি মুলার ওজন ৫ থেকে ১৫ কেজি

প্রতিনিধি, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম)

চট্রগ্রামের ফটিকছড়ির হালদার চরের উৎপাদিত ভাণ্ডারী মুলা হাতে কৃষক। -সংবাদ

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হালদার চরে চাষ হওয়া মুলার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।

এই মুলার সর্বোচ্চ ওজন ১৫ কেজি। প্রতি বছর মাইজভাণ্ডারী দরবার শরিফের ১০ মাঘ সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী বার্ষিক ওরশ ঘিরে এই মুলা বিক্রি হওয়ার কারণে ভক্তদের কাছে এটি ‘ভাণ্ডারী মুলা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রতি বছরের দরবারে আসা ভক্তদের কাছে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এই জাপানি মুলার।

আর এই ওরশকে কেন্দ্র করে এ মুলা বিক্রি করেন স্থানীয় কৃষকরা।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার হালদা নদীর চরের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ হচ্ছে বড় এ জাপানি মুলা। বিশাল আকৃতির এ মুলা দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন স্বাদ। হালদা নদীর কূলঘেঁষেই বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে মুলা চাষ হয়ে আসছে কয়েক দশক ধরে।

একেকটির মুলার ওজন ৫ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়। একটি মুলা ৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। উপজেলার হালদা নদী, ধুরুং খালের দুই পাড়ে মুলা চাষে বাম্পার ফলন হয়। এছাড়া নাজিরহাট চরগাওপাড়া, কুম্বারপাড়া, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি, রোসাংগিরি, সমিতিরহাট, খিরামসহ বিভিন্ন এলাকায় এ মুলার ফলন হয়। এ মুলা চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। নাইচ্ছার ঘাটের কৃষক নাজিম উদ্দিন জানান, ভাণ্ডারী মুলা একেকটির ওজন ৫ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। বড় আকারের এই মুলা দামে সস্তা ও স্বাদ ভালো হওয়ার কারণে বাজারে চাহিদাও বেড়েছে। বিশেষ করে মাইজভাণ্ডারী দরবার শরিফের ওরশের দিন এ মুলার ব্যাপক চাহিদা থাকে। চাষি আনিসুর রহমান জানান, ১০ মাঘ ওরশ উপলক্ষে সারাদেশ থেকে মাইজভাণ্ডারী ভক্তরা আসেন।

ওরশ শেষে সঙ্গে এ মুলা বাড়িতে নিয়ে যান তারা। যার কারণে প্রতি বছর এ মুলার চাহিদা ব্যাপক বাড়ছে। এছাড়া মুলা চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছি, যার কারণে চাষাবাদেও আগ্রহ বাড়ছে সবার। মুলা ক্রয়কারী নোমান হোসেন বলেন, প্রতি বছর ওরশ শরীফে আসলে মুলা নিয়ে যাই। মুলাগুলো খেতে অনেক ভালো।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, অন্যান্য এলাকার চেয়ে হালদার চরের মাটির গুণাগুণ অনেক বেশি ভালো। নদীর পলিমাটির উর্বরতা ও হাইব্রিড জাতের বৈশিষ্ট্যের কারণে মুলার আকৃতি বড় হয়। ফটিকছড়িতে এবার ৫৬০ হেক্টর জমিতে মুলা চাষ হয়েছে। যেখানে প্রায় সাড়ে ১৮ টন মুলা উৎপাদিত হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছেন এবং কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন।

back to top