চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হালদার চরে চাষ হওয়া মুলার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
এই মুলার সর্বোচ্চ ওজন ১৫ কেজি। প্রতি বছর মাইজভাণ্ডারী দরবার শরিফের ১০ মাঘ সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী বার্ষিক ওরশ ঘিরে এই মুলা বিক্রি হওয়ার কারণে ভক্তদের কাছে এটি ‘ভাণ্ডারী মুলা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রতি বছরের দরবারে আসা ভক্তদের কাছে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এই জাপানি মুলার।
আর এই ওরশকে কেন্দ্র করে এ মুলা বিক্রি করেন স্থানীয় কৃষকরা।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার হালদা নদীর চরের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ হচ্ছে বড় এ জাপানি মুলা। বিশাল আকৃতির এ মুলা দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন স্বাদ। হালদা নদীর কূলঘেঁষেই বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে মুলা চাষ হয়ে আসছে কয়েক দশক ধরে।
একেকটির মুলার ওজন ৫ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়। একটি মুলা ৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। উপজেলার হালদা নদী, ধুরুং খালের দুই পাড়ে মুলা চাষে বাম্পার ফলন হয়। এছাড়া নাজিরহাট চরগাওপাড়া, কুম্বারপাড়া, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি, রোসাংগিরি, সমিতিরহাট, খিরামসহ বিভিন্ন এলাকায় এ মুলার ফলন হয়। এ মুলা চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। নাইচ্ছার ঘাটের কৃষক নাজিম উদ্দিন জানান, ভাণ্ডারী মুলা একেকটির ওজন ৫ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। বড় আকারের এই মুলা দামে সস্তা ও স্বাদ ভালো হওয়ার কারণে বাজারে চাহিদাও বেড়েছে। বিশেষ করে মাইজভাণ্ডারী দরবার শরিফের ওরশের দিন এ মুলার ব্যাপক চাহিদা থাকে। চাষি আনিসুর রহমান জানান, ১০ মাঘ ওরশ উপলক্ষে সারাদেশ থেকে মাইজভাণ্ডারী ভক্তরা আসেন।
ওরশ শেষে সঙ্গে এ মুলা বাড়িতে নিয়ে যান তারা। যার কারণে প্রতি বছর এ মুলার চাহিদা ব্যাপক বাড়ছে। এছাড়া মুলা চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছি, যার কারণে চাষাবাদেও আগ্রহ বাড়ছে সবার। মুলা ক্রয়কারী নোমান হোসেন বলেন, প্রতি বছর ওরশ শরীফে আসলে মুলা নিয়ে যাই। মুলাগুলো খেতে অনেক ভালো।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, অন্যান্য এলাকার চেয়ে হালদার চরের মাটির গুণাগুণ অনেক বেশি ভালো। নদীর পলিমাটির উর্বরতা ও হাইব্রিড জাতের বৈশিষ্ট্যের কারণে মুলার আকৃতি বড় হয়। ফটিকছড়িতে এবার ৫৬০ হেক্টর জমিতে মুলা চাষ হয়েছে। যেখানে প্রায় সাড়ে ১৮ টন মুলা উৎপাদিত হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছেন এবং কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হালদার চরে চাষ হওয়া মুলার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
এই মুলার সর্বোচ্চ ওজন ১৫ কেজি। প্রতি বছর মাইজভাণ্ডারী দরবার শরিফের ১০ মাঘ সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী বার্ষিক ওরশ ঘিরে এই মুলা বিক্রি হওয়ার কারণে ভক্তদের কাছে এটি ‘ভাণ্ডারী মুলা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রতি বছরের দরবারে আসা ভক্তদের কাছে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এই জাপানি মুলার।
আর এই ওরশকে কেন্দ্র করে এ মুলা বিক্রি করেন স্থানীয় কৃষকরা।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার হালদা নদীর চরের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ হচ্ছে বড় এ জাপানি মুলা। বিশাল আকৃতির এ মুলা দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন স্বাদ। হালদা নদীর কূলঘেঁষেই বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে মুলা চাষ হয়ে আসছে কয়েক দশক ধরে।
একেকটির মুলার ওজন ৫ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়। একটি মুলা ৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। উপজেলার হালদা নদী, ধুরুং খালের দুই পাড়ে মুলা চাষে বাম্পার ফলন হয়। এছাড়া নাজিরহাট চরগাওপাড়া, কুম্বারপাড়া, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি, রোসাংগিরি, সমিতিরহাট, খিরামসহ বিভিন্ন এলাকায় এ মুলার ফলন হয়। এ মুলা চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। নাইচ্ছার ঘাটের কৃষক নাজিম উদ্দিন জানান, ভাণ্ডারী মুলা একেকটির ওজন ৫ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। বড় আকারের এই মুলা দামে সস্তা ও স্বাদ ভালো হওয়ার কারণে বাজারে চাহিদাও বেড়েছে। বিশেষ করে মাইজভাণ্ডারী দরবার শরিফের ওরশের দিন এ মুলার ব্যাপক চাহিদা থাকে। চাষি আনিসুর রহমান জানান, ১০ মাঘ ওরশ উপলক্ষে সারাদেশ থেকে মাইজভাণ্ডারী ভক্তরা আসেন।
ওরশ শেষে সঙ্গে এ মুলা বাড়িতে নিয়ে যান তারা। যার কারণে প্রতি বছর এ মুলার চাহিদা ব্যাপক বাড়ছে। এছাড়া মুলা চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছি, যার কারণে চাষাবাদেও আগ্রহ বাড়ছে সবার। মুলা ক্রয়কারী নোমান হোসেন বলেন, প্রতি বছর ওরশ শরীফে আসলে মুলা নিয়ে যাই। মুলাগুলো খেতে অনেক ভালো।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, অন্যান্য এলাকার চেয়ে হালদার চরের মাটির গুণাগুণ অনেক বেশি ভালো। নদীর পলিমাটির উর্বরতা ও হাইব্রিড জাতের বৈশিষ্ট্যের কারণে মুলার আকৃতি বড় হয়। ফটিকছড়িতে এবার ৫৬০ হেক্টর জমিতে মুলা চাষ হয়েছে। যেখানে প্রায় সাড়ে ১৮ টন মুলা উৎপাদিত হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছেন এবং কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন।