alt

রাজনীতি

বিএনপির মহাসচিবের কথায় আরেকটি এক-এগারোর ইঙ্গিত : নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটি এক-এগারো সরকার গঠনের ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, বিএনপি কয়েক দিন আগে ‘মাইনাস টুর’ আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি এক-এগারো সরকারের প্রস্তাব করছে। এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নেবে না। এটা বিএনপির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এর আগে গত মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি অন্তর্র্বতী সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলেই তারা নির্বাচন কন্ডাক্ট (পরিচালনা) করা পর্যন্ত থাকবে। তা না হলে তো নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।’

বিএনপির মহাসচিবের ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফেইসবুকে স্ট্যাটাসে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘ছাত্র এবং অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে মাইনাস করার পরিকল্পনা ৫ আগস্ট থেকেই শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট যখন ছাত্র-জনতা রাজপথে লড়াই করছে, পুলিশের গুলি অব্যাহত রয়েছে, তখন আমাদের আপসকামী অনেক জাতীয় নেতা ক্যান্টনমেন্টে জনগণকে বাদ দিয়ে নতুন সরকার করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন (অনেকে ছাত্রদের কথাও বলেছেন সেখানে)। আমরা ৩ আগস্ট থেকে বলে আসছি, আমরা কোনো প্রকারের সেনাশাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেব না। আমাদেরকে বারবার ক্যান্টনমেন্টে যেতে বলা হলেও আমরা যেতে অস্বীকার করি। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিংয়ের (দর–কষাকষি) মাধ্যমে অধ্যাপক ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্র্বতী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।’

নাহিদ লেখেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটা জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকার হলে ছাত্রদের হয়তো সরকারে আসার প্রয়োজন হতো না। জাতীয় সরকার অনেক দিন স্থায়ী হবে—এই বিবেচনায় বিএনপি জাতীয় সরকারে রাজি হয়নি। কিন্তু অভ্যুত্থানের পরেই দেশে জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি ছিল। অথচ বিএনপি জাতীয় সরকারের কথা বলছে সামনের নির্বাচনের পরে। ছাত্ররাই এই সরকার এবং বিদ্যমান বাস্তবতার একমাত্র ফ্যাক্টর, যেটা এক-এগারোর সরকার থেকে বর্তমান সরকারকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে। বিএনপি কয়েক দিন আগে ‘‘মাইনাস টুর’’ আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি এক-এগারো সরকারের প্রস্তাবনা করছে। এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নেবে না। আমি মনে করি, এটা বিএনপির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।’

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘অন্তর্র্বতী সরকার জাতীয় সরকার না হলেও সরকারে আন্দোলনের সব পক্ষেরই অংশীদারত্ব রয়েছে এবং সব পক্ষই নানা সুবিধা ভোগ করছে। সরকার গঠনের আগেই ৬ আগস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পুলিশের আগের মহাপরিদর্শক নিয়োগ হয়েছিল, যাঁরা মূলত বিএনপির লোক। এ রকমভাবে সরকারের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত নানা স্তরে বিএনপিপন্থী লোকজন রয়েছে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতার কথা বললে এই বাস্তবতাও মাথায় রাখতে হবে। রাষ্ট্রপতির পরিবর্তন, সংস্কার, নতুন সংবিধান, জুলাই ঘোষণা—সব ইস্যুতেই বিএনপি বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অথচ এগুলোর কোনোটাই ছাত্রদের দলীয় কোনো দাবি ছিল না। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতা, বৃহত্তর স্বার্থ এবং জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য ছাত্ররা বারবার তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে গণতন্ত্রবিরোধী ও অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী কোনো পরিকল্পনা হলে সেখানে আমরা বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেব।’

নাহিদ ইসলাম আরও লেখেন, ‘আওয়ামী লীগ বিষয়ে ভারতের প্রধান দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সম্ভব হয়েছে, অথচ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিষয়ে আমরা ঐক্য করতে পারিনি এত হত্যা এবং অপরাধের পরেও। হায় এই “জাতীয় ঐক্য” লইয়া আমরা কী রাষ্ট্র বানাব! বাংলাদেশকে দুর্বল করা সহজ, কারণ বাংলাদেশকে সহজেই বিভাজিত করা যায়। এ দেশের বড় বড় লোকেরা অল্প মূল্যে বিক্রি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। আমি মনে করি না, সমগ্র বিএনপি এই অবস্থান (মির্জা ফখরুলের বক্তব্য) গ্রহণ করে। বরং বিএনপির কর্মী–সমর্থকদের বড় অংশই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন চায়। বিএনপির দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী নেতৃত্বকে আহবান করব, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে না গিয়ে ছাত্র-জনতার সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির পথ বেছে নিন।’

ছবি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হামলার তথ্য বিএনপির কাছে নেই: হাফিজ উদ্দিন

ছবি

শেখ মুজিবের ভাঙা বাড়ি থেকে যে যা পারছেন নিয়ে যাচ্ছেন

ছবি

ধানমন্ডি ৩২ এসে বলেছিলেন আপার বাড়ি, এরপর যা ঘটলো

ছবি

এক্সক্যাভেটর দিয়ে ভাঙা হচ্ছে দুই ভবন, উৎসুক জনতার ভিড়

ছবি

‘গড়ার তাকত আছে আমাদের?’ ধানমন্ডি ৩২ ও বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরের প্রতিক্রিয়ায় উপদেষ্টা মাহফুজ

ছবি

সার্বিক পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনা দায়ী

ছবি

সংস্কারের নামে ‘সময়ক্ষেপণের কৌশল’ জাতি মানবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ

ছবি

কারাগারে নাসির উদ্দিন পিন্টুর মৃত্যু: ১০ বছর পর শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

কুষ্টিয়া বিএনপিতে বিভক্তি, পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ

ছবি

সংস্কার দীর্ঘায়িত হলে সংকট বাড়বে: তারেক রহমান

ছবি

সংস্কারের ধীরগতিতে অসন্তোষ, দ্রুত নির্বাচনের দাবি বিএনপির

ছবি

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ, সারা দেশে জনমত জরিপ শুরু

ছবি

হাসিনার পতন ঘটলেও চূড়ান্ত বিজয় এখনও আসেনি : হাসনাত আবদুল্লাহ

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা: রিজভী

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের কর্মসূচীর লিফলেট বিতরণ, গ্রেপ্তার ৪

ছবি

বাংলাদেশে সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ার রূপরেখা ঘোষণা করলো বিএনপি

সমালোচনা সহ্য করতে না পারলে উপদেষ্টা পদ ছেড়ে দিন: রিজভী

ছবি

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের পোস্টার বিতরণকালে এক কর্মী আটক

চাঁদাবাজি আগের মতোই চলছে, সরকারের প্রতি আস্থা কমছে: সারজিস আলম

ফের আন্দোলনে শাবির শিক্ষার্থীরা

ছবি

গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন

ছবি

ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আটক

ছবি

গোপনে বাংলাদেশে ব্রিটিশ দল, নিয়ে গেছে টিউলিপ সিদ্দিকের তথ্য

ছবি

ঢাকায় আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ

ছবি

রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি, নতুন সংবিধান ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর আলোচনা

বিএনপির উঠান বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতার উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক

ছবি

সৌদি যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে দুবাই হাসপাতালে বাবর

ছবি

সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান ৫ দিনের রিমান্ডে

ছবি

ছাত্রশিবিরের ‘ছাত্র সংবাদ’প্রকাশনা থেকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত প্রবন্ধ প্রত্যাহার

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের

তারেক রহমান: সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা হবে

ছবি

নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইনে সংশোধন প্রস্তাব দেবে ইসি

ছবি

ভোটার তালিকা, সীমানা নির্ধারণ, এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালার পর্যালোচনা

ছবি

সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

ব্যক্তি স্বার্থে দলের স্বার্থ নষ্ট করলে ছাড় নয় : তারেক রহমান

নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের ইঙ্গিত দিলেন বিএনপির সালাউদ্দিন আহমেদ

tab

রাজনীতি

বিএনপির মহাসচিবের কথায় আরেকটি এক-এগারোর ইঙ্গিত : নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটি এক-এগারো সরকার গঠনের ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, বিএনপি কয়েক দিন আগে ‘মাইনাস টুর’ আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি এক-এগারো সরকারের প্রস্তাব করছে। এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নেবে না। এটা বিএনপির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এর আগে গত মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি অন্তর্র্বতী সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলেই তারা নির্বাচন কন্ডাক্ট (পরিচালনা) করা পর্যন্ত থাকবে। তা না হলে তো নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।’

বিএনপির মহাসচিবের ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফেইসবুকে স্ট্যাটাসে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘ছাত্র এবং অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে মাইনাস করার পরিকল্পনা ৫ আগস্ট থেকেই শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট যখন ছাত্র-জনতা রাজপথে লড়াই করছে, পুলিশের গুলি অব্যাহত রয়েছে, তখন আমাদের আপসকামী অনেক জাতীয় নেতা ক্যান্টনমেন্টে জনগণকে বাদ দিয়ে নতুন সরকার করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন (অনেকে ছাত্রদের কথাও বলেছেন সেখানে)। আমরা ৩ আগস্ট থেকে বলে আসছি, আমরা কোনো প্রকারের সেনাশাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেব না। আমাদেরকে বারবার ক্যান্টনমেন্টে যেতে বলা হলেও আমরা যেতে অস্বীকার করি। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিংয়ের (দর–কষাকষি) মাধ্যমে অধ্যাপক ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্র্বতী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।’

নাহিদ লেখেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটা জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকার হলে ছাত্রদের হয়তো সরকারে আসার প্রয়োজন হতো না। জাতীয় সরকার অনেক দিন স্থায়ী হবে—এই বিবেচনায় বিএনপি জাতীয় সরকারে রাজি হয়নি। কিন্তু অভ্যুত্থানের পরেই দেশে জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি ছিল। অথচ বিএনপি জাতীয় সরকারের কথা বলছে সামনের নির্বাচনের পরে। ছাত্ররাই এই সরকার এবং বিদ্যমান বাস্তবতার একমাত্র ফ্যাক্টর, যেটা এক-এগারোর সরকার থেকে বর্তমান সরকারকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে। বিএনপি কয়েক দিন আগে ‘‘মাইনাস টুর’’ আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি এক-এগারো সরকারের প্রস্তাবনা করছে। এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নেবে না। আমি মনে করি, এটা বিএনপির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।’

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘অন্তর্র্বতী সরকার জাতীয় সরকার না হলেও সরকারে আন্দোলনের সব পক্ষেরই অংশীদারত্ব রয়েছে এবং সব পক্ষই নানা সুবিধা ভোগ করছে। সরকার গঠনের আগেই ৬ আগস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পুলিশের আগের মহাপরিদর্শক নিয়োগ হয়েছিল, যাঁরা মূলত বিএনপির লোক। এ রকমভাবে সরকারের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত নানা স্তরে বিএনপিপন্থী লোকজন রয়েছে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতার কথা বললে এই বাস্তবতাও মাথায় রাখতে হবে। রাষ্ট্রপতির পরিবর্তন, সংস্কার, নতুন সংবিধান, জুলাই ঘোষণা—সব ইস্যুতেই বিএনপি বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অথচ এগুলোর কোনোটাই ছাত্রদের দলীয় কোনো দাবি ছিল না। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতা, বৃহত্তর স্বার্থ এবং জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য ছাত্ররা বারবার তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে গণতন্ত্রবিরোধী ও অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী কোনো পরিকল্পনা হলে সেখানে আমরা বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেব।’

নাহিদ ইসলাম আরও লেখেন, ‘আওয়ামী লীগ বিষয়ে ভারতের প্রধান দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সম্ভব হয়েছে, অথচ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিষয়ে আমরা ঐক্য করতে পারিনি এত হত্যা এবং অপরাধের পরেও। হায় এই “জাতীয় ঐক্য” লইয়া আমরা কী রাষ্ট্র বানাব! বাংলাদেশকে দুর্বল করা সহজ, কারণ বাংলাদেশকে সহজেই বিভাজিত করা যায়। এ দেশের বড় বড় লোকেরা অল্প মূল্যে বিক্রি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। আমি মনে করি না, সমগ্র বিএনপি এই অবস্থান (মির্জা ফখরুলের বক্তব্য) গ্রহণ করে। বরং বিএনপির কর্মী–সমর্থকদের বড় অংশই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন চায়। বিএনপির দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী নেতৃত্বকে আহবান করব, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে না গিয়ে ছাত্র-জনতার সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির পথ বেছে নিন।’

back to top