যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে দুইজনের
টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় খান পরিবারের চার ভাইসহ ১০ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত, তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন দুইজন। রোববার টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল হাসান আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সহিদুর রহমান খান মুক্তি উপস্থিত ছিলেন। তিনি অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় পুলিশ তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন—কবির হোসেন ও মোহাম্মদ আলী।
খান পরিবারের যাদের খালাস দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন—আমানুর রহমান খান রানা, সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও সানিয়াত খান বাপ্পা। এছাড়া মাসুদুর রহমান, ফরিদ হোসেন, নাসির উদ্দিন নুরু, আলমগীর হোসেন চাঁন, ছানোয়ার হোসেন ও দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙা বাবুও খালাস পেয়েছেন।
এর আগে, বিচার চলাকালে দুই আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা ও সমির মিয়া মারা যান।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরে নিজ বাসার সামনে গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ। তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় প্রভাবশালী খান পরিবারের চার ভাই ফারুক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
তদন্ত চলাকালে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, যেখানে রানাদের চার ভাইকে হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়।
২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়, যেখানে রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা থেকে সরে যেতে রাজি না হওয়ায় সাংসদ রানার নির্দেশে তার সহযোগী কবির হোসেন ফারুককে গুলি করেন। এরপর লাশ ফারুকের বাসার সামনে ফেলে আসা হয়।
২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে দুই আসামি মারা যান। গত ২৬ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শেষে রোববার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আমানুর রহমান খান রানা আত্মগোপনে চলে যান, আর তার দুই ভাই ২০১৪ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। রানার আরেক ভাই, সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, বর্তমানে অন্য একটি মামলায় কারাগারে আছেন।
রানার বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যা মামলাসহ প্রায় ৫০টি মামলা রয়েছে, সহিদুর রহমান খান মুক্তির বিরুদ্ধেও পাঁচটি হত্যা মামলাসহ ৪০টির বেশি মামলা রয়েছে। জাহিদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা এবং সানিয়াত খান বাপ্পার বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ প্রায় ১২টি মামলা রয়েছে।
অতীতে বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার হয়েছে কিংবা বাদীপক্ষ চাপে পড়ে মামলা তুলে নিয়েছেন। এই চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ থাকলেও, এবারই প্রথম তাদের কোনো মামলার রায় হলো এবং তারা সবাই খালাস পেলেন।
যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে দুইজনের
রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় খান পরিবারের চার ভাইসহ ১০ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত, তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন দুইজন। রোববার টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল হাসান আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সহিদুর রহমান খান মুক্তি উপস্থিত ছিলেন। তিনি অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় পুলিশ তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন—কবির হোসেন ও মোহাম্মদ আলী।
খান পরিবারের যাদের খালাস দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন—আমানুর রহমান খান রানা, সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও সানিয়াত খান বাপ্পা। এছাড়া মাসুদুর রহমান, ফরিদ হোসেন, নাসির উদ্দিন নুরু, আলমগীর হোসেন চাঁন, ছানোয়ার হোসেন ও দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙা বাবুও খালাস পেয়েছেন।
এর আগে, বিচার চলাকালে দুই আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা ও সমির মিয়া মারা যান।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরে নিজ বাসার সামনে গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ। তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় প্রভাবশালী খান পরিবারের চার ভাই ফারুক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
তদন্ত চলাকালে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, যেখানে রানাদের চার ভাইকে হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়।
২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়, যেখানে রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা থেকে সরে যেতে রাজি না হওয়ায় সাংসদ রানার নির্দেশে তার সহযোগী কবির হোসেন ফারুককে গুলি করেন। এরপর লাশ ফারুকের বাসার সামনে ফেলে আসা হয়।
২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে দুই আসামি মারা যান। গত ২৬ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শেষে রোববার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আমানুর রহমান খান রানা আত্মগোপনে চলে যান, আর তার দুই ভাই ২০১৪ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। রানার আরেক ভাই, সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, বর্তমানে অন্য একটি মামলায় কারাগারে আছেন।
রানার বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যা মামলাসহ প্রায় ৫০টি মামলা রয়েছে, সহিদুর রহমান খান মুক্তির বিরুদ্ধেও পাঁচটি হত্যা মামলাসহ ৪০টির বেশি মামলা রয়েছে। জাহিদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা এবং সানিয়াত খান বাপ্পার বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ প্রায় ১২টি মামলা রয়েছে।
অতীতে বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার হয়েছে কিংবা বাদীপক্ষ চাপে পড়ে মামলা তুলে নিয়েছেন। এই চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ থাকলেও, এবারই প্রথম তাদের কোনো মামলার রায় হলো এবং তারা সবাই খালাস পেলেন।