alt

সারাদেশ

ফারুক হত্যা মামলায় খান পরিবারের চার ভাইসহ ১০ জন খালাস

যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে দুইজনের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় খান পরিবারের চার ভাইসহ ১০ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত, তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন দুইজন। রোববার টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল হাসান আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সহিদুর রহমান খান মুক্তি উপস্থিত ছিলেন। তিনি অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় পুলিশ তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন—কবির হোসেন ও মোহাম্মদ আলী।

খান পরিবারের যাদের খালাস দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন—আমানুর রহমান খান রানা, সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও সানিয়াত খান বাপ্পা। এছাড়া মাসুদুর রহমান, ফরিদ হোসেন, নাসির উদ্দিন নুরু, আলমগীর হোসেন চাঁন, ছানোয়ার হোসেন ও দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙা বাবুও খালাস পেয়েছেন।

এর আগে, বিচার চলাকালে দুই আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা ও সমির মিয়া মারা যান।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরে নিজ বাসার সামনে গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ। তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় প্রভাবশালী খান পরিবারের চার ভাই ফারুক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

তদন্ত চলাকালে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, যেখানে রানাদের চার ভাইকে হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়।

২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়, যেখানে রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা থেকে সরে যেতে রাজি না হওয়ায় সাংসদ রানার নির্দেশে তার সহযোগী কবির হোসেন ফারুককে গুলি করেন। এরপর লাশ ফারুকের বাসার সামনে ফেলে আসা হয়।

২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে দুই আসামি মারা যান। গত ২৬ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শেষে রোববার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আমানুর রহমান খান রানা আত্মগোপনে চলে যান, আর তার দুই ভাই ২০১৪ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। রানার আরেক ভাই, সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, বর্তমানে অন্য একটি মামলায় কারাগারে আছেন।

রানার বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যা মামলাসহ প্রায় ৫০টি মামলা রয়েছে, সহিদুর রহমান খান মুক্তির বিরুদ্ধেও পাঁচটি হত্যা মামলাসহ ৪০টির বেশি মামলা রয়েছে। জাহিদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা এবং সানিয়াত খান বাপ্পার বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ প্রায় ১২টি মামলা রয়েছে।

অতীতে বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার হয়েছে কিংবা বাদীপক্ষ চাপে পড়ে মামলা তুলে নিয়েছেন। এই চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ থাকলেও, এবারই প্রথম তাদের কোনো মামলার রায় হলো এবং তারা সবাই খালাস পেলেন।

ছবি

পটুয়াখালীতে ২৪২টি আয়রন ব্রিজ জরাজীর্ণ, জনদুর্ভোগ চরমে

বেলাবোতে পিঠা উৎসব

ছবি

সোনারগাঁয়ে ছুটির দিনে কারুশিল্প মেলা জমজমাট

ছবি

কৃত্রিম পায়ে হাঁটছেন পুলিশের গুলিতে পা হারানো ইনামুল

যশোরে ব্রাদার টিটোস হোমে বাহারি শিল্পকর্মে রকমারি পিঠা উৎসব

ছবি

ঘোড়াঘাটে লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে ভুট্টা ও রবি ফসলের চাষ

ছবি

দিনভর অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলার ৪ স্কুলের ৯১-এর এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জে নিখোঁজ ২ স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ঘন কুয়াশায় ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে যাত্রী পারাপার ২ ট্রলারসহ আটক ৩

ভোলায় জলদস্যুদের গুলিতে নিহত ১, আহত ২

মঠবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় এসআই ক্লোজড

শেরপুরে চোরাই অটোরিকশা, ব্যাটারি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

ছবি

রাজশাহীতে মহাসড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ, হিমাগারের ভাড়া কমানোর দাবি

ঝালকাঠির ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি

লালপুরে ভ্যানচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জে বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের অভিযানে গুলি বিনিময়

ছবি

সিরাজগঞ্জে তিন’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী দই মেলা শুরু

ছবি

সান্তাহারে রেলওয়ের ১০৬ বিঘা জমি অবৈধ দখলে, গড়ে উঠেছে বস্তি ও বিভিন্ন স্থাপনা

ছবি

রায়পুরে পানি সংকটে বোরো আবাদ ব্যাহত

ছবি

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথ : প্রথম দিনে আয় ৪ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৮ টাকা

ছবি

ময়মনসিংহ মেডিকেলে ফুল দিয়ে বরণকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল-শিবিরের হাতাহাতি

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে কাজ না করেই অর্থ লোপাট

মাদারীপুরকে ‘দরিদ্র জেলা’ মানতে পারছেন না বাসিন্দারা, নতুন করে জরিপের দাবি

সীমান্তে মদসহ অবৈধ পণ্য জব্দ

আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাত সর্দার আটক

সিলেটের আবাসিক হোটেল থেকে নারীসহ গ্রেপ্তার ৪

চোরাইপথে সিলেটে এলো ভারতীয় মাংস

বদরগঞ্জে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুচিরহাট মার্কেট কোন কাজেই আসছে না

বরগুনায় থেমে নেই নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার

পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ক্লাস, শিক্ষকসহ কর্মচারী সংকট চরমে

ছবি

যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে তিন গ্রামবাসীর মানববন্ধন

ছবি

উদ্বোধনের অপেক্ষায় ঘিওর উপজেলা কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক ভবন

ছবি

ওসমানীনগরে ট্রাক-প্রাইভেট কার সংঘর্ষে ৪ জন নিহত

ছবি

শেফিল্ডে অভিষেকেই ম্যাচসেরা বাংলাদেশি হামজা

ছবি

ইজতেমা: আখেরী মোনাজাত চলাকালে ড্রোন আতঙ্কে শতাধিক আহত

ছবি

নাটোরে মসজিদের সিঁড়িতে ব্যবসায়ীকে গুলি, অস্ত্র উদ্ধার

tab

সারাদেশ

ফারুক হত্যা মামলায় খান পরিবারের চার ভাইসহ ১০ জন খালাস

যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে দুইজনের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় খান পরিবারের চার ভাইসহ ১০ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত, তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন দুইজন। রোববার টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল হাসান আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সহিদুর রহমান খান মুক্তি উপস্থিত ছিলেন। তিনি অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় পুলিশ তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন—কবির হোসেন ও মোহাম্মদ আলী।

খান পরিবারের যাদের খালাস দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন—আমানুর রহমান খান রানা, সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও সানিয়াত খান বাপ্পা। এছাড়া মাসুদুর রহমান, ফরিদ হোসেন, নাসির উদ্দিন নুরু, আলমগীর হোসেন চাঁন, ছানোয়ার হোসেন ও দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙা বাবুও খালাস পেয়েছেন।

এর আগে, বিচার চলাকালে দুই আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা ও সমির মিয়া মারা যান।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরে নিজ বাসার সামনে গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ। তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় প্রভাবশালী খান পরিবারের চার ভাই ফারুক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

তদন্ত চলাকালে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, যেখানে রানাদের চার ভাইকে হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়।

২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়, যেখানে রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা থেকে সরে যেতে রাজি না হওয়ায় সাংসদ রানার নির্দেশে তার সহযোগী কবির হোসেন ফারুককে গুলি করেন। এরপর লাশ ফারুকের বাসার সামনে ফেলে আসা হয়।

২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে দুই আসামি মারা যান। গত ২৬ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শেষে রোববার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আমানুর রহমান খান রানা আত্মগোপনে চলে যান, আর তার দুই ভাই ২০১৪ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। রানার আরেক ভাই, সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, বর্তমানে অন্য একটি মামলায় কারাগারে আছেন।

রানার বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যা মামলাসহ প্রায় ৫০টি মামলা রয়েছে, সহিদুর রহমান খান মুক্তির বিরুদ্ধেও পাঁচটি হত্যা মামলাসহ ৪০টির বেশি মামলা রয়েছে। জাহিদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা এবং সানিয়াত খান বাপ্পার বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ প্রায় ১২টি মামলা রয়েছে।

অতীতে বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার হয়েছে কিংবা বাদীপক্ষ চাপে পড়ে মামলা তুলে নিয়েছেন। এই চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ থাকলেও, এবারই প্রথম তাদের কোনো মামলার রায় হলো এবং তারা সবাই খালাস পেলেন।

back to top