কাগজে কলমে প্রকল্প আছে বাস্তবে নেই
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপজেলা ভিত্তিক সাধারণ প্রকল্পের অনুকূলে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারসহ প্রকল্পের কাজের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একই মাসের একই তারিখে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় কাবিখা/কাবিটা কর্মসূচির আওতায় ১৭২টি প্রকল্পের প্রায় ২,৬৪,০১,৫৭৮.২৪ টাকা ও ১০৪.৩৪০৯ মে. টন গম এবং ১০৪.৩৪০৯ মে. টন চাল কাগজে-কলমে দেখিয়ে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান এবং সাবেক বদলি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলী এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির বিরুদ্ধে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানা গেছে, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়নে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ কাবিখা, কাবিটা কর্মসূচির আওতায় (৩য় পর্যায়) নির্বাচনী এলাকা উপজেলা ভিত্তিক সাধারণ প্রকল্পের অনুকুলে এবং নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্যের অনুকূলে ১৭২টি প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ২,৬৪,০১৫৭৮.২৪ টাকা ও ১০৪.৩৪০৯ মেঃ টন গম এবং ১০৪.৩৪০৯ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সচেতনমহল জানান, প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি নতুন নয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও এ ধরনের অনেক অভিযোগ উঠেছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০২২-২০২৩ অর্থবছর এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন সময়ে নানারকম অনিয়ম সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়া, পত্র-পত্রিকায় যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা এক কথায় ভয়াবহ। এসব অনিয়মের ঘটনা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মনিটরিং করা উচিত। অতীতে দেখা গেছে, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ সেক্টরে অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পরও দুর্নীতিবাজরা শাস্তির সম্মুখীন হননি, বরং নানাভাবে ম্যানেজ করে তা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। এরকম চলতে থাকলে এ প্রতিষ্ঠান থেকে অনিয়ম দূর করা সম্ভব নয় বলে মনে করি আমরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলীর নিকট এসব প্রকল্পের সভাপতি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও কাজের ঠিকাদারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান অফিসের কাগজপত্র পুড়ে গেছে, চুরি হয়ে গেছে, হারিয়ে গেছে কিছু কিছু কাগজপত্র। এসব কথাবলে তিনি আরও বলেন আমার কাছে জানার কোন কিছু নেই, আমি যার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য সে হলো আমার কর্তৃপক্ষ, তার কাছে জবাব দিবো বলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলী অফিস থেকে বের হয়ে চলে যান।
গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, যেখানে প্রকল্পর কাজ হয় নাই সেখানে থেকে অভিযোগ দিতে বলেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই লাপাত্তা, আত্মগোপনে রয়েছেন ৩২ গাইবান্ধা ৪ গোবিন্দগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান । আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
কাগজে কলমে প্রকল্প আছে বাস্তবে নেই
রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপজেলা ভিত্তিক সাধারণ প্রকল্পের অনুকূলে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারসহ প্রকল্পের কাজের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একই মাসের একই তারিখে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় কাবিখা/কাবিটা কর্মসূচির আওতায় ১৭২টি প্রকল্পের প্রায় ২,৬৪,০১,৫৭৮.২৪ টাকা ও ১০৪.৩৪০৯ মে. টন গম এবং ১০৪.৩৪০৯ মে. টন চাল কাগজে-কলমে দেখিয়ে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান এবং সাবেক বদলি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলী এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির বিরুদ্ধে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানা গেছে, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়নে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ কাবিখা, কাবিটা কর্মসূচির আওতায় (৩য় পর্যায়) নির্বাচনী এলাকা উপজেলা ভিত্তিক সাধারণ প্রকল্পের অনুকুলে এবং নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্যের অনুকূলে ১৭২টি প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ২,৬৪,০১৫৭৮.২৪ টাকা ও ১০৪.৩৪০৯ মেঃ টন গম এবং ১০৪.৩৪০৯ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সচেতনমহল জানান, প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি নতুন নয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও এ ধরনের অনেক অভিযোগ উঠেছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২০২২-২০২৩ অর্থবছর এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন সময়ে নানারকম অনিয়ম সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়া, পত্র-পত্রিকায় যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা এক কথায় ভয়াবহ। এসব অনিয়মের ঘটনা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মনিটরিং করা উচিত। অতীতে দেখা গেছে, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ সেক্টরে অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পরও দুর্নীতিবাজরা শাস্তির সম্মুখীন হননি, বরং নানাভাবে ম্যানেজ করে তা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। এরকম চলতে থাকলে এ প্রতিষ্ঠান থেকে অনিয়ম দূর করা সম্ভব নয় বলে মনে করি আমরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলীর নিকট এসব প্রকল্পের সভাপতি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও কাজের ঠিকাদারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান অফিসের কাগজপত্র পুড়ে গেছে, চুরি হয়ে গেছে, হারিয়ে গেছে কিছু কিছু কাগজপত্র। এসব কথাবলে তিনি আরও বলেন আমার কাছে জানার কোন কিছু নেই, আমি যার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য সে হলো আমার কর্তৃপক্ষ, তার কাছে জবাব দিবো বলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলী অফিস থেকে বের হয়ে চলে যান।
গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, যেখানে প্রকল্পর কাজ হয় নাই সেখানে থেকে অভিযোগ দিতে বলেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই লাপাত্তা, আত্মগোপনে রয়েছেন ৩২ গাইবান্ধা ৪ গোবিন্দগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান । আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।