৩ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি থাকার শঙ্কা
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বোরো রোপন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। খালে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ না থাকার কারণে এ অবস্থায় সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলায় এখনও ৩ হাজার ২১৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করা যায়নি। এ কারণে কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, বোরো মৌসুমে জেলার কৃষকরা মেঘনা নদীর পানির ওপর ভরসা করে আবাদ করেন। এবার মৌসুমের শুরুতে রায়পুর উপজেলার হাজীমারা এলাকার স্লুইস গেইট খুলে না দেওয়া পানি সংকট দেখা দেয়। অপর দিকে সংযোগ খালগুলোতে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। অনেক এলাকায় খাল দখলের কারণে সংকোচিত হয়ে গেছে। খালে পর্যপ্ত পানি আসছে না। এজন্য রোপন করা যাচ্ছে না ধানের চারা।
রায়পুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, উপজেলায় ৭ হাজার ৪১৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়। জানুয়ারী থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। জানুয়ারির শুরু থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবাদের উপযুক্ত সময়।
গত শুক্রবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রায়পুর উপজেলার বামনী, কেরোয়া ও চরমোহনা ইউনিয়নের অধিকাংশ জমি এখন আবাদ হয়নি। জমিগুলো হাল দিয়ে শুকিয়ে রাখা হয়। এখন পানির অপেক্ষা। কিন্তু গ্রামের খালগুলোতে পানি কম থাকায় সেচ দেওয়া শুরু করতে পারেননি কৃষক।
বামনী গ্রামের কৃষক মো. হোসেন জানান, জানুয়ারি মাসে ধানের চারা রোপন করার জন্য খেত প্রস্তুত করে রাখেন তিনি। কিন্তু ওই গ্রামের খালে পানি কম থাকায় এখনও চারা রোপণ করতে পারেননি।
রায়পুর উপজেরার চর মোহনা গ্রামের কৃষক দেলোয়ার জানান, বোরো মৌসুমের শুরুতে খেতে ধানের চারা রোপণ করতে পারলে গাছ শক্তিশালী হয়। এতে ধানের ফলন ভালো হয়। আর শেষে রোপণ করলে গাছগুলো কিছুটা দুর্বল থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন বলেন, খালগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। এছাড়াও সংযোগ খালগুলোর বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ও দখলের কারণে পানি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আর খাল খননের জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। তবে এখনও বোরো আবাদের সময় আছে। শেষ পর্যন্ত সবাই আবাদ করতে পারবেন বলে আমরা আশাবাদী।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
৩ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি থাকার শঙ্কা
রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বোরো রোপন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। খালে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ না থাকার কারণে এ অবস্থায় সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলায় এখনও ৩ হাজার ২১৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করা যায়নি। এ কারণে কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, বোরো মৌসুমে জেলার কৃষকরা মেঘনা নদীর পানির ওপর ভরসা করে আবাদ করেন। এবার মৌসুমের শুরুতে রায়পুর উপজেলার হাজীমারা এলাকার স্লুইস গেইট খুলে না দেওয়া পানি সংকট দেখা দেয়। অপর দিকে সংযোগ খালগুলোতে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। অনেক এলাকায় খাল দখলের কারণে সংকোচিত হয়ে গেছে। খালে পর্যপ্ত পানি আসছে না। এজন্য রোপন করা যাচ্ছে না ধানের চারা।
রায়পুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, উপজেলায় ৭ হাজার ৪১৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়। জানুয়ারী থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। জানুয়ারির শুরু থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবাদের উপযুক্ত সময়।
গত শুক্রবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রায়পুর উপজেলার বামনী, কেরোয়া ও চরমোহনা ইউনিয়নের অধিকাংশ জমি এখন আবাদ হয়নি। জমিগুলো হাল দিয়ে শুকিয়ে রাখা হয়। এখন পানির অপেক্ষা। কিন্তু গ্রামের খালগুলোতে পানি কম থাকায় সেচ দেওয়া শুরু করতে পারেননি কৃষক।
বামনী গ্রামের কৃষক মো. হোসেন জানান, জানুয়ারি মাসে ধানের চারা রোপন করার জন্য খেত প্রস্তুত করে রাখেন তিনি। কিন্তু ওই গ্রামের খালে পানি কম থাকায় এখনও চারা রোপণ করতে পারেননি।
রায়পুর উপজেরার চর মোহনা গ্রামের কৃষক দেলোয়ার জানান, বোরো মৌসুমের শুরুতে খেতে ধানের চারা রোপণ করতে পারলে গাছ শক্তিশালী হয়। এতে ধানের ফলন ভালো হয়। আর শেষে রোপণ করলে গাছগুলো কিছুটা দুর্বল থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন বলেন, খালগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। এছাড়াও সংযোগ খালগুলোর বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ও দখলের কারণে পানি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আর খাল খননের জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। তবে এখনও বোরো আবাদের সময় আছে। শেষ পর্যন্ত সবাই আবাদ করতে পারবেন বলে আমরা আশাবাদী।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।