বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বিভিন্নভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রায় ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া ও দিনের পর দিন নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ তুলে স্বামী আলামিন শেখের বিরুদ্ধে রোববার ২ফেব্রুয়ারি বিকেলে শেরপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তোভোগী গৃহবধূ ইসমত আরা (২৭)।
ভুক্তোভোগী গৃহবধূ খানপুর ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামের মৃত এশারত আলীর মেয়ে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,৫ জুন ২০২২ সালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সেকাড়া গ্রামের হানিফ উদ্দিনের ছেলে আলামিন শেখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহিত জীবনে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ছেলের ভবিষ্যৎ এর কথা বলে বিভিন্ন সয়ম ব্যবসার নামে গহনা বন্ধক রেখে টাকা, বসতবাড়ি ব্যাংকে বন্ধক রেখে টাকা উত্তোলন, টিমএসএস ও গাক এবং গ্রামীণ শক্তি এনজিও থেকে মোট ২৮ লাখ টাকা নিয়ে নিখোঁজ হয় এবং আমাকে তালাক দেয়।
পরবর্তীতে আমি তার খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমি আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে সে আবারও ছেলের ভবিষতের কথা বলে পুনরায় ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে বিয়ে করে আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। দ্বিতীয়বার বিয়ের পর আমাকে ফাঁসাতে স্বামী-স্ত্রীর বিশেষ মুহূর্তের ভিডিও এবং ছবি দিয়ে এডিট করে ফেইসবুকে ছেড়ে দিয়ে আমাকে ব্লাকমেইল করে। আমি বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি আমার স্বামী বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে বিয়ের নামে প্রতারণা করে আসছে এবং আমাকে বিয়ে করার আগেও তার ২টি স্ত্রী ছিল।
সে বিষয়ও আমাদের পরিবারের কাছে গোপন রেখে আমাকে বিয়ে করে। নতুন করে সংসার জীবন শুরু করার কিছুদিন পরে আবার টাকা চায়। কিন্তু আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। আমি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমার বাবার বাড়িতে চলে আসি। এরপর জানতে পারি দ্বিতীয়বার বিয়ে করার ১২ দিন পর গোপনে আমার স্বামী আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
সেই সময় আমি তার বাড়িতেই বসবাস করছিলাম। তার সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। বর্তমানে এসব বিষয় নিয়ে দুটি পরিবারের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে আমি আইনের আশ্রয় নেই। আইনের আশ্রয় নেয়ার পর আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে আসছে। আমি জীবন শঙ্কায় ভুগছি। আমি প্রশাসনসহ সবার কাছে তদন্ত করে ন্যায্য বিচারের দাবি করছি।
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বিভিন্নভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রায় ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া ও দিনের পর দিন নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ তুলে স্বামী আলামিন শেখের বিরুদ্ধে রোববার ২ফেব্রুয়ারি বিকেলে শেরপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তোভোগী গৃহবধূ ইসমত আরা (২৭)।
ভুক্তোভোগী গৃহবধূ খানপুর ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামের মৃত এশারত আলীর মেয়ে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,৫ জুন ২০২২ সালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সেকাড়া গ্রামের হানিফ উদ্দিনের ছেলে আলামিন শেখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহিত জীবনে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ছেলের ভবিষ্যৎ এর কথা বলে বিভিন্ন সয়ম ব্যবসার নামে গহনা বন্ধক রেখে টাকা, বসতবাড়ি ব্যাংকে বন্ধক রেখে টাকা উত্তোলন, টিমএসএস ও গাক এবং গ্রামীণ শক্তি এনজিও থেকে মোট ২৮ লাখ টাকা নিয়ে নিখোঁজ হয় এবং আমাকে তালাক দেয়।
পরবর্তীতে আমি তার খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমি আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে সে আবারও ছেলের ভবিষতের কথা বলে পুনরায় ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে বিয়ে করে আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। দ্বিতীয়বার বিয়ের পর আমাকে ফাঁসাতে স্বামী-স্ত্রীর বিশেষ মুহূর্তের ভিডিও এবং ছবি দিয়ে এডিট করে ফেইসবুকে ছেড়ে দিয়ে আমাকে ব্লাকমেইল করে। আমি বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি আমার স্বামী বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে বিয়ের নামে প্রতারণা করে আসছে এবং আমাকে বিয়ে করার আগেও তার ২টি স্ত্রী ছিল।
সে বিষয়ও আমাদের পরিবারের কাছে গোপন রেখে আমাকে বিয়ে করে। নতুন করে সংসার জীবন শুরু করার কিছুদিন পরে আবার টাকা চায়। কিন্তু আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। আমি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমার বাবার বাড়িতে চলে আসি। এরপর জানতে পারি দ্বিতীয়বার বিয়ে করার ১২ দিন পর গোপনে আমার স্বামী আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
সেই সময় আমি তার বাড়িতেই বসবাস করছিলাম। তার সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। বর্তমানে এসব বিষয় নিয়ে দুটি পরিবারের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে আমি আইনের আশ্রয় নেই। আইনের আশ্রয় নেয়ার পর আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে আসছে। আমি জীবন শঙ্কায় ভুগছি। আমি প্রশাসনসহ সবার কাছে তদন্ত করে ন্যায্য বিচারের দাবি করছি।