চায়ের রাজধানীখ্যাত সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। শ্রীমঙ্গলের সুনাম রয়েছে দেশ-বিদেশে। বিদেশি পর্যটকরাও এখানে ভ্রমণ করতে আসেন। পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বিলাসবহুল রিসোর্ট।
সিলেট বিভাগের প্রথম পাঁচ তারকা মানের হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ গড়ে উঠেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের রাধানগর পাহাড়ে এলাকায়। মুভি থিয়েটার, সুইমিং পুল, প্লে গ্রাউন্ডসহ এখানে রয়েছে তিনটি রেস্টুরেন্ট ও দুইটি ক্যাফে। এখানে রয়েছে আট ধরনের মোট ১৩৫টি রুম এবং স্যুট। রুমের ধরন অনুযায়ী দুজনের জন্য এক রাতের ভাড়া ৩১ হাজার ১০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪৪ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া চার জনের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটের ভাড়া এক রাতের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
হার্মিটেজ গেস্ট হাউস : শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে রাধানগর গ্রামে এই রিসোর্টটি অবস্থিত। ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সমাজসেবী সুলতানা ফাইজুন নাহার শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে এসে প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য দেখে ২০০৯ সালে পাহাড়ে এলাকায় মনমুগ্ধকর রিসোর্ট গড়ে তুলেন। রুম ও স্যুটগুলো খুবই উন্নত মানের। সুইমিং পুলসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে এখানে।
নভেম ইকো রিসোর্ট : শ্রীমঙ্গলের রাধানগরে অবস্থিত নভেম ইকো রিসোর্ট চা বাগানের সবুজে ঘেরা অনন্য সুন্দর এক রিসোর্ট। রিসোর্টটির চারপাশ ঘিরে রয়েছে ছোট ছোট টিলা ও চা বাগান। এখান রয়েছে স্পোর্টস রুম, সুইমিং পুল, ব্যাডমিন্টন কোর্ট ইত্যাদি। এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন কাঠের ব্রিজ রয়েছে। এ ছাড়া এই রিসোর্টের সবকিছুতেই রয়েছে প্রকৃতির ছোঁয়া। রুমভেদে ৭ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২৫ হাজার টাকার বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে নভেম ইকো রিসোর্টে।
দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা : শ্রীমঙ্গলের গিয়াসনগরে অবস্থিত অন্যতম বিলাসবহুল একটি রিসোর্ট। বিশাল জায়গাজুড়ে নির্মিত এই রিসোর্টে সুইমিং পুল, স্পা, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, মুভি থিয়েটার, সাইকেল রাইডিং ও জিমসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। চারপাশে গাছগাছালি ও ১ হাজার ফুট লম্বা একটি সুবিশাল লেক রয়েছে। এখানে থাকার জন্য হোটেল রুম ও ভিলা দুই ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। হোটেলে এক রাতের ভাড়া ন্যূনতম ১৬ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ১৮ হাজার টাকা। সাত ধরনের ভিলার ভাড়া ২১ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত।
গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুর : এ রিসোর্টটি শ্রীমঙ্গলের রামনগর মনিপুরী পাড়ায় অবস্থিত। চা বাগানের সবুজের মাঝে এই রিসোর্টটি গড়ে উঠেছে। এখানে থাকার জন্য রুম এবং স্যুট দুই ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। রুমের ভাড়া দুজনের জন্য ৫ হাজার ৫০০ টাকা, চারজনের জন্য ৭ হাজার ৫৪৫ ও পাঁচজনের জন্য স্টুডিও ডিলাক্সের ভাড়া ৯ হাজার ৫২৫ টাকা। এছাড়া ফ্যামিলি স্যুটের ভাড়া ১০ হাজার ২৫০ টাকা। সবুজ চা বাগানের মাঝে একান্ত কিছু সময় কাটাতে চলে যেতে পারেন এখানে।
সুইস ভ্যালি রিসোর্ট : শমসেরনগরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটির পাশে অবস্থিত সবুজের ছায়াঘেরা একটি চমৎকার রিসোর্ট। গ্রামীণ আবহে তৈরি এই রিসোর্টটি গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব সব উপাদান দিয়ে। দুইজনের জন্য নন-এসি রুম ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং এসি রুম ৩ হাজার ৭০০ টাকা। এছাড়া ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে সুইস ভ্যালি রিসোর্টে।
বালিশিরা ইকো রিসোর্ট : এই রিসোর্টটি শ্রীমঙ্গলের রাধানগর পাহাড়ে এলাকায় অবস্থিত। বিশেষত্ব হিসেবে আপনি পাবেন নিজস্ব এয়ারপোর্ট শাটল সার্ভিস এবং প্রাইভেট সুইমিং পুলের ব্যবস্থা। তিন তারকাবিশিষ্ট এই ইকো রিসোর্টটিতে রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির রুম, যেমন ফ্যামিলি রুম উইথ ব্যালকনি, ডিলাক্স ডাবল রুম, প্রাইভেট পুল ভিলা ইত্যাদি। অনেকগুলো রুম থেকে সামনে পাহাড়ের সবুজ দেখা যায়।
টিলাগাঁও ইকো ভিলেজ রিসোর্ট : এ রিসোর্ট কমলগঞ্জ উপজেলার টিলাগাঁও গ্রামে পাহাড়ি টিলার উপর অবস্থিত। প্রায় ৮ একর জায়গায় উপর প্রকৃতিক পরিবেশে এই রিসোর্টটি তৈরি করা হয়েছে। চা বাগান আর নির্জন সবুজের অরণ্যের মাঝে মাটি ও কাটের তৈরি এই রিসোর্ট। গ্রামীণ প্রকৃতির আবহে তৈরি এই রিসোর্টের সবকিছুতেই পাওয়া যাবে মাটির ছোঁয়া। এই রিসোর্টে রয়েছে পাঁচটি মাটির ঘর, চারটি অত্যাধুনিক এসি ভিলা এবং একটি প্রাইভেট পুল ভিলা। এছাড়া আছে একটি কমন সুইমিংপুল এবং একটি লেক ভিউ ওপেন রেস্টুরেন্ট। এখানে মাড হাউজের এক রাতের ভাড়া ৫ হাজার ৫০০ টাকা, এসি ভিলা ৭ হাজার টাকা এবং প্রাইভেট পুল ভিলা ১১ হাজার টাকা।
শান্তিবাড়ি ইকো রিসোর্ট : শ্রীমঙ্গলের রাধানগরে এই রিসোর্টটির অবস্থান। এই রিসোর্টটিতে একটি দ্বিতল কাঠের বাড়ি এবং দুটি বাঁশের কটেজের ব্যবস্থা রয়েছে। কাঠের বাড়িতে কক্ষগুলোর ভাড়া ৩ হাজার টাকা এবং কটেজের রুম ভাড়া ২ হাজার টাকা। রয়েছে দেশি খাবারের সুব্যবস্থা, তবে চাইলে নির্ধারিত মেন্যুর বাইরে নিজের পছন্দমত খাবারও খেতে পারবেন।
নিসর্গ ইকো রিসোর্ট : শ্রীমঙ্গল সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে চা জাদুঘরের কাছে অবস্থিত এই রিসোর্ট। এই রিসোর্টটিতে ইকো কটেজ এবং বিভিন্ন ধরনের এসি রুম দুটিরই সুব্যবস্থা রয়েছে। রিসোর্টটির কম্পাউন্ড লিচিবাড়ি এবং নীরব নামের দুটি অংশে বিভক্ত। এখানে কটেজ বা রেগুলার রুমের বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভাড়া ২ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই রিসোর্টে রয়েছে কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট, দেশি খাবারের সুব্যবস্থা, এবং রাতে বারবিকিউয়ের সুযোগ।
লেমন গার্ডেন রিসোর্ট : শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে লাউয়াছড়ায় অবস্থিত এই রিসোর্টটি পরিবার-পরিজন নিয়ে নিভৃতে ঘুরে আসার জন্য আদর্শ। চারপাশে সবুজ পাহাড়ে ঘেরা এই রিসোর্টে রয়েছে ২৫টি কক্ষ। দুজনের কক্ষগুলোর ভাড়া ৩ হাজার ৬০০ টাকা থেকে শুরু, ফ্যামিলি রুমের ভাড়া ৭ হাজার ২০০ টাকা।
দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশমূল্য ৩০০ টাকা, সঙ্গে থাকবে কমপ্লিমেন্টারি হালকা নাশতা। এছাড়া রিসোর্টটিতে রয়েছে সুইমিং পুল ও স্পা, শিশুদের প্লেগ্রাউন্ড, কনফারেন্স হলের সুবিধা। রিসোর্টটিতে কন্টিনেন্টাল, ভারতীয়, চাইনিজ এবং দেশি এই চার রকমের মেন্যুর খাবার পরিবেশনের সুব্যবস্থা রয়েছে। এই রিসোর্টটির অদূরে লাউয়াছড়া ইকো পার্ক অবস্থিত। এ কারণে দর্শনার্থীদের জন্য সুলভ মূল্যে থাকার জায়গা হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এই রিসোর্টটি।
টি হেভেন রিসোর্ট : দৃষ্টিনন্দন এই রিসোর্ট টির শ্রীমঙ্গলের উত্তরসূর এলাকায় ঢাকা শ্রীমঙ্গল হাইয়ের উপর অবস্থিত। এখানে অপরূপ সবুজ প্রকৃতি, চা-বাগান আর হাইল হাওড়ের শান্ত জলরাশি এই রিসোর্ট থেকে উপভোগ করা যায়। এই রিসোর্টে হামহাম, ছায়াবৃক্ষ এবং ক্যামেলিয়া নামের তিনটি এক্সিকিউটিভ রুম ছাড়াও ফ্যামিলি ডিলাক্স রুম, টুইন শেয়ার রুম এবং কাপল ডিলাক্স রুমের ব্যবস্থা রয়েছে। রুমগুলোর ভাড়া ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে। রিসোর্টটিতে রয়েছে সুদৃশ্য কনফারেন্স রুম, দেশি খাবারের রেস্তোরাঁ, সুইমিং পুল এবং শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য দেখার জন্য রেন্ট এ কারের সুব্যবস্থা।
শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়াম : শ্রীমঙ্গলের নয়নাভিরাম টিলা এবং চা-বাগানে ঘেরা ২৫ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়াম। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের পাশে ভাড়াউড়া চা-বাগানের কাছে রিসোর্টটির অবস্থান। মূলত পুরোনো একটি ব্রিটিশ বাংলোকে এই রিসোর্টে রূপান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় বাণিজ্যিকভাবে এই রিসোর্টটি পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এই রিসোর্টের টি মিউজিয়াম, টেনিস কোর্ট, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, স্যুভেনির শপ, ক্যাফের সাজসজ্জায় রয়েছে এক অভিজাত ছোঁয়া। ছবির মতো সুন্দর এই রিসোর্টটির ইকনোমি রুমগুলো।
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
চায়ের রাজধানীখ্যাত সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। শ্রীমঙ্গলের সুনাম রয়েছে দেশ-বিদেশে। বিদেশি পর্যটকরাও এখানে ভ্রমণ করতে আসেন। পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বিলাসবহুল রিসোর্ট।
সিলেট বিভাগের প্রথম পাঁচ তারকা মানের হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ গড়ে উঠেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের রাধানগর পাহাড়ে এলাকায়। মুভি থিয়েটার, সুইমিং পুল, প্লে গ্রাউন্ডসহ এখানে রয়েছে তিনটি রেস্টুরেন্ট ও দুইটি ক্যাফে। এখানে রয়েছে আট ধরনের মোট ১৩৫টি রুম এবং স্যুট। রুমের ধরন অনুযায়ী দুজনের জন্য এক রাতের ভাড়া ৩১ হাজার ১০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪৪ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া চার জনের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটের ভাড়া এক রাতের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
হার্মিটেজ গেস্ট হাউস : শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে রাধানগর গ্রামে এই রিসোর্টটি অবস্থিত। ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সমাজসেবী সুলতানা ফাইজুন নাহার শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে এসে প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য দেখে ২০০৯ সালে পাহাড়ে এলাকায় মনমুগ্ধকর রিসোর্ট গড়ে তুলেন। রুম ও স্যুটগুলো খুবই উন্নত মানের। সুইমিং পুলসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে এখানে।
নভেম ইকো রিসোর্ট : শ্রীমঙ্গলের রাধানগরে অবস্থিত নভেম ইকো রিসোর্ট চা বাগানের সবুজে ঘেরা অনন্য সুন্দর এক রিসোর্ট। রিসোর্টটির চারপাশ ঘিরে রয়েছে ছোট ছোট টিলা ও চা বাগান। এখান রয়েছে স্পোর্টস রুম, সুইমিং পুল, ব্যাডমিন্টন কোর্ট ইত্যাদি। এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন কাঠের ব্রিজ রয়েছে। এ ছাড়া এই রিসোর্টের সবকিছুতেই রয়েছে প্রকৃতির ছোঁয়া। রুমভেদে ৭ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২৫ হাজার টাকার বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে নভেম ইকো রিসোর্টে।
দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা : শ্রীমঙ্গলের গিয়াসনগরে অবস্থিত অন্যতম বিলাসবহুল একটি রিসোর্ট। বিশাল জায়গাজুড়ে নির্মিত এই রিসোর্টে সুইমিং পুল, স্পা, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, মুভি থিয়েটার, সাইকেল রাইডিং ও জিমসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। চারপাশে গাছগাছালি ও ১ হাজার ফুট লম্বা একটি সুবিশাল লেক রয়েছে। এখানে থাকার জন্য হোটেল রুম ও ভিলা দুই ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। হোটেলে এক রাতের ভাড়া ন্যূনতম ১৬ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ১৮ হাজার টাকা। সাত ধরনের ভিলার ভাড়া ২১ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত।
গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুর : এ রিসোর্টটি শ্রীমঙ্গলের রামনগর মনিপুরী পাড়ায় অবস্থিত। চা বাগানের সবুজের মাঝে এই রিসোর্টটি গড়ে উঠেছে। এখানে থাকার জন্য রুম এবং স্যুট দুই ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। রুমের ভাড়া দুজনের জন্য ৫ হাজার ৫০০ টাকা, চারজনের জন্য ৭ হাজার ৫৪৫ ও পাঁচজনের জন্য স্টুডিও ডিলাক্সের ভাড়া ৯ হাজার ৫২৫ টাকা। এছাড়া ফ্যামিলি স্যুটের ভাড়া ১০ হাজার ২৫০ টাকা। সবুজ চা বাগানের মাঝে একান্ত কিছু সময় কাটাতে চলে যেতে পারেন এখানে।
সুইস ভ্যালি রিসোর্ট : শমসেরনগরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটির পাশে অবস্থিত সবুজের ছায়াঘেরা একটি চমৎকার রিসোর্ট। গ্রামীণ আবহে তৈরি এই রিসোর্টটি গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব সব উপাদান দিয়ে। দুইজনের জন্য নন-এসি রুম ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং এসি রুম ৩ হাজার ৭০০ টাকা। এছাড়া ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে সুইস ভ্যালি রিসোর্টে।
বালিশিরা ইকো রিসোর্ট : এই রিসোর্টটি শ্রীমঙ্গলের রাধানগর পাহাড়ে এলাকায় অবস্থিত। বিশেষত্ব হিসেবে আপনি পাবেন নিজস্ব এয়ারপোর্ট শাটল সার্ভিস এবং প্রাইভেট সুইমিং পুলের ব্যবস্থা। তিন তারকাবিশিষ্ট এই ইকো রিসোর্টটিতে রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির রুম, যেমন ফ্যামিলি রুম উইথ ব্যালকনি, ডিলাক্স ডাবল রুম, প্রাইভেট পুল ভিলা ইত্যাদি। অনেকগুলো রুম থেকে সামনে পাহাড়ের সবুজ দেখা যায়।
টিলাগাঁও ইকো ভিলেজ রিসোর্ট : এ রিসোর্ট কমলগঞ্জ উপজেলার টিলাগাঁও গ্রামে পাহাড়ি টিলার উপর অবস্থিত। প্রায় ৮ একর জায়গায় উপর প্রকৃতিক পরিবেশে এই রিসোর্টটি তৈরি করা হয়েছে। চা বাগান আর নির্জন সবুজের অরণ্যের মাঝে মাটি ও কাটের তৈরি এই রিসোর্ট। গ্রামীণ প্রকৃতির আবহে তৈরি এই রিসোর্টের সবকিছুতেই পাওয়া যাবে মাটির ছোঁয়া। এই রিসোর্টে রয়েছে পাঁচটি মাটির ঘর, চারটি অত্যাধুনিক এসি ভিলা এবং একটি প্রাইভেট পুল ভিলা। এছাড়া আছে একটি কমন সুইমিংপুল এবং একটি লেক ভিউ ওপেন রেস্টুরেন্ট। এখানে মাড হাউজের এক রাতের ভাড়া ৫ হাজার ৫০০ টাকা, এসি ভিলা ৭ হাজার টাকা এবং প্রাইভেট পুল ভিলা ১১ হাজার টাকা।
শান্তিবাড়ি ইকো রিসোর্ট : শ্রীমঙ্গলের রাধানগরে এই রিসোর্টটির অবস্থান। এই রিসোর্টটিতে একটি দ্বিতল কাঠের বাড়ি এবং দুটি বাঁশের কটেজের ব্যবস্থা রয়েছে। কাঠের বাড়িতে কক্ষগুলোর ভাড়া ৩ হাজার টাকা এবং কটেজের রুম ভাড়া ২ হাজার টাকা। রয়েছে দেশি খাবারের সুব্যবস্থা, তবে চাইলে নির্ধারিত মেন্যুর বাইরে নিজের পছন্দমত খাবারও খেতে পারবেন।
নিসর্গ ইকো রিসোর্ট : শ্রীমঙ্গল সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে চা জাদুঘরের কাছে অবস্থিত এই রিসোর্ট। এই রিসোর্টটিতে ইকো কটেজ এবং বিভিন্ন ধরনের এসি রুম দুটিরই সুব্যবস্থা রয়েছে। রিসোর্টটির কম্পাউন্ড লিচিবাড়ি এবং নীরব নামের দুটি অংশে বিভক্ত। এখানে কটেজ বা রেগুলার রুমের বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভাড়া ২ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই রিসোর্টে রয়েছে কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট, দেশি খাবারের সুব্যবস্থা, এবং রাতে বারবিকিউয়ের সুযোগ।
লেমন গার্ডেন রিসোর্ট : শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে লাউয়াছড়ায় অবস্থিত এই রিসোর্টটি পরিবার-পরিজন নিয়ে নিভৃতে ঘুরে আসার জন্য আদর্শ। চারপাশে সবুজ পাহাড়ে ঘেরা এই রিসোর্টে রয়েছে ২৫টি কক্ষ। দুজনের কক্ষগুলোর ভাড়া ৩ হাজার ৬০০ টাকা থেকে শুরু, ফ্যামিলি রুমের ভাড়া ৭ হাজার ২০০ টাকা।
দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশমূল্য ৩০০ টাকা, সঙ্গে থাকবে কমপ্লিমেন্টারি হালকা নাশতা। এছাড়া রিসোর্টটিতে রয়েছে সুইমিং পুল ও স্পা, শিশুদের প্লেগ্রাউন্ড, কনফারেন্স হলের সুবিধা। রিসোর্টটিতে কন্টিনেন্টাল, ভারতীয়, চাইনিজ এবং দেশি এই চার রকমের মেন্যুর খাবার পরিবেশনের সুব্যবস্থা রয়েছে। এই রিসোর্টটির অদূরে লাউয়াছড়া ইকো পার্ক অবস্থিত। এ কারণে দর্শনার্থীদের জন্য সুলভ মূল্যে থাকার জায়গা হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এই রিসোর্টটি।
টি হেভেন রিসোর্ট : দৃষ্টিনন্দন এই রিসোর্ট টির শ্রীমঙ্গলের উত্তরসূর এলাকায় ঢাকা শ্রীমঙ্গল হাইয়ের উপর অবস্থিত। এখানে অপরূপ সবুজ প্রকৃতি, চা-বাগান আর হাইল হাওড়ের শান্ত জলরাশি এই রিসোর্ট থেকে উপভোগ করা যায়। এই রিসোর্টে হামহাম, ছায়াবৃক্ষ এবং ক্যামেলিয়া নামের তিনটি এক্সিকিউটিভ রুম ছাড়াও ফ্যামিলি ডিলাক্স রুম, টুইন শেয়ার রুম এবং কাপল ডিলাক্স রুমের ব্যবস্থা রয়েছে। রুমগুলোর ভাড়া ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে। রিসোর্টটিতে রয়েছে সুদৃশ্য কনফারেন্স রুম, দেশি খাবারের রেস্তোরাঁ, সুইমিং পুল এবং শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য দেখার জন্য রেন্ট এ কারের সুব্যবস্থা।
শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়াম : শ্রীমঙ্গলের নয়নাভিরাম টিলা এবং চা-বাগানে ঘেরা ২৫ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়াম। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের পাশে ভাড়াউড়া চা-বাগানের কাছে রিসোর্টটির অবস্থান। মূলত পুরোনো একটি ব্রিটিশ বাংলোকে এই রিসোর্টে রূপান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় বাণিজ্যিকভাবে এই রিসোর্টটি পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এই রিসোর্টের টি মিউজিয়াম, টেনিস কোর্ট, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, স্যুভেনির শপ, ক্যাফের সাজসজ্জায় রয়েছে এক অভিজাত ছোঁয়া। ছবির মতো সুন্দর এই রিসোর্টটির ইকনোমি রুমগুলো।