রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুর প্রায় এক দশক পর তার ভাই আদালতে হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে। এছাড়া মামলায় আরও ২৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করেন পিন্টুর ভাই নাসিম আহমেদ রিন্টু। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল মালেক রানা।
মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আসাদুজ্জামান কামাল, আনিসুল হক, হাজী মো. সেলিম, সোলায়মান সেলিম, ইরফান সেলিম, মনির হোসেন ওরফে কোম্পানি মনির ওরফে স্প্রিট মনির এবং এ এস শরিফ উদ্দিন ওরফে ব্ল্যাক শরিফের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া মামলায় তৎকালীন আইজিপি, আইজি প্রিজন, ঢাকা ও রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ জেল সুপার শফিকুল ইসলাম, জেলার শাহাদত হোসেন, কারা চিকিৎসক আবু সায়েম, কয়েদি রাব্বানী এবং বিডিআর বিদ্রোহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু কাহার আকন্দকেও আসামি করা হয়েছে।
২০০১ সালে ঢাকার লালবাগ-কামরাঙ্গীরচর আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন নাসির উদ্দিন পিন্টু। পরে তিনি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হন। পিলখানা হত্যা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অস্ত্র লুটের মামলায় তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, তবে আদালতের সাজা থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।
২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল পিন্টুকে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। কয়েকদিন পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৬ এপ্রিল তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে আবার কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। পরবর্তীতে আবারও অসুস্থ হলে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কারাগারে চিকিৎসক ডাকা হয়। চিঠি পেয়ে একজন চিকিৎসক গেলেও তাকে কারাগারে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ২০১৫ সালের ৩ মে দুপুরে কারাগার থেকে পিন্টুকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাসির উদ্দিন পিন্টুর ভাই নাসিম আহমেদ রিন্টু আদালতে মামলার আবেদন করে অভিযোগ করেন যে, তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, তার ভাইয়ের জনপ্রিয়তা ও বিএনপির প্রতি অবদানকে ভয় পেয়ে তৎকালীন সরকার তাকে পরিকল্পিতভাবে পিলখানা মামলায় ফাঁসিয়ে সাজা দেয়। এরপর তাকে কারাগারে নিয়ে হত্যা করা হয়।
মামলার আবেদনের সময় আদালতে বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহীর সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইটসহ আরও অনেকে ছিলেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর মামলার পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।
আইনজীবী আবদুল মালেক রানা বলেন, “দুপুরে আদালতে মামলার আবেদন করা হলে বিচারক আমাদের বক্তব্য শোনেন। তবে তাৎক্ষণিক কোনো আদেশ দেননি। পরে বিকালে অভিযোগটি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।”
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুর প্রায় এক দশক পর তার ভাই আদালতে হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে। এছাড়া মামলায় আরও ২৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করেন পিন্টুর ভাই নাসিম আহমেদ রিন্টু। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল মালেক রানা।
মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আসাদুজ্জামান কামাল, আনিসুল হক, হাজী মো. সেলিম, সোলায়মান সেলিম, ইরফান সেলিম, মনির হোসেন ওরফে কোম্পানি মনির ওরফে স্প্রিট মনির এবং এ এস শরিফ উদ্দিন ওরফে ব্ল্যাক শরিফের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া মামলায় তৎকালীন আইজিপি, আইজি প্রিজন, ঢাকা ও রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ জেল সুপার শফিকুল ইসলাম, জেলার শাহাদত হোসেন, কারা চিকিৎসক আবু সায়েম, কয়েদি রাব্বানী এবং বিডিআর বিদ্রোহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু কাহার আকন্দকেও আসামি করা হয়েছে।
২০০১ সালে ঢাকার লালবাগ-কামরাঙ্গীরচর আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন নাসির উদ্দিন পিন্টু। পরে তিনি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হন। পিলখানা হত্যা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অস্ত্র লুটের মামলায় তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, তবে আদালতের সাজা থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।
২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল পিন্টুকে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। কয়েকদিন পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৬ এপ্রিল তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে আবার কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। পরবর্তীতে আবারও অসুস্থ হলে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কারাগারে চিকিৎসক ডাকা হয়। চিঠি পেয়ে একজন চিকিৎসক গেলেও তাকে কারাগারে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ২০১৫ সালের ৩ মে দুপুরে কারাগার থেকে পিন্টুকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাসির উদ্দিন পিন্টুর ভাই নাসিম আহমেদ রিন্টু আদালতে মামলার আবেদন করে অভিযোগ করেন যে, তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, তার ভাইয়ের জনপ্রিয়তা ও বিএনপির প্রতি অবদানকে ভয় পেয়ে তৎকালীন সরকার তাকে পরিকল্পিতভাবে পিলখানা মামলায় ফাঁসিয়ে সাজা দেয়। এরপর তাকে কারাগারে নিয়ে হত্যা করা হয়।
মামলার আবেদনের সময় আদালতে বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহীর সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইটসহ আরও অনেকে ছিলেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর মামলার পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।
আইনজীবী আবদুল মালেক রানা বলেন, “দুপুরে আদালতে মামলার আবেদন করা হলে বিচারক আমাদের বক্তব্য শোনেন। তবে তাৎক্ষণিক কোনো আদেশ দেননি। পরে বিকালে অভিযোগটি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।”