alt

সারাদেশ

ঘাটাইলে পাহাড়-ফসলি জমি কেটে মাটি বিক্রির মহোৎসব

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল : বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টাঙ্গাইল : ঘাটাইল উপজেলায় পাহাড়ি অঞ্চলে নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে লাল মাটি ও ফসলি জমি -সংবাদ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় রাতের আঁধারে নির্বিচারে লাল মাটি ও ফসলি জমি কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে পাহাড় ও ফসলি জমির পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র। এই কার্যক্রম বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন প্রায়ই অভিযান চালিয়ে অর্থদ- ও কারাদ- দিচ্ছে। তারপরেও থামছে না মাটি কাটা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘাটাইল উপজেলার এক-তৃতীয়াংশ এলাকাজুড়ে রয়েছে বিশাল পাহাড়ি বনাঞ্চল। প্রশাসনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় কয়েকজন অসাধু মাটি ব্যবসায়ী এক্সকাভেটর (ভেকু মেশিন) দিয়ে উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের ফকিরবাড়ি, গিলাবড়ি, ধলাপাড়া বড় মেধা গ্রাম, হরিনাচালা, রসুলপুর ইউনিয়নে ঘোড়ার টেকি, দেওপাড়া ইউনিয়নের, সংগ্রামপুর ইউনিয়নে কাউটেনগর, কামারচার ও বোয়ালীচালাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় প্রতি রাতেই অবৈধভাবে মাটি কাটছে। তাদের ভাষ্য, মাটি ব্যবসায়ীরা ১০ থেকে ১৫ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়ার সময় গ্রামীণ জনপথ এবং পাকা রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। রাস্তার ধুলায় পাশে থাকা ফসলের মধ্যে প্রলেপ পড়ে যায়। শুধু তাই নয়, দোকানপাট ও বসতবাড়ির ভেতরও ধুলায় ঢেকে যাচ্ছে। এর ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন স্থানীয়রা। অনেকেই সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। রাস্তাঘাটে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের।

উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের কৃষক মাইন উদ্দিন বলেন, এই উপজেলার ঝড়কা থেকে টিলার কোল ঘেঁষে প্রায় ১০ কিলোমিটার পাকা সড়ক চলে গেছে দেওপাড়া বাজার পর্যন্ত। এ রাস্তার পাশেই ছিল ৫০ থেকে ৬০ ফুট উঁচু বেশকিছু টিলা। গত ২ থেকে ৩ বছরে দেওপাড়া, চেচুয়াপাড়া, ঘোড়ামারা, সিংহেরচালা, খাগড়াটা, বারইপাড়া, নলমা, কুশারিয়া, চেড়াভাঙ্গা, বগা, কাজলা, শালিয়াবহ, সরাবাড়ী ও বগা এলাকার টিলা কেটে ধ্বংস করা হয়েছে। রসুলপুর গ্রামের রিফাত ইসলাম বলেন, এই উপজেলায় শতাধিক মাটি ব্যবসায়ী রয়েছেন। তারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারাই মূলত ফসলি জমির ও লাল মাটির কেটে বিক্রি করছেন বসতবাড়িসহ স্থানীয় ইটভাটার মালিকদের কাছে। উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের নলমা গ্রামের অটোরিক্সা চালক মুজাফফর আলী বলেন, টিলা এবং জমি থেকে মাটি কাটার ফলে বড় বড় গর্ত সৃষ্ট হয়েছে। ফলে রাস্তায় চলাচলে তৈরি হয়েছে মারাত্মক ঝুঁকি। যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে প্রায়ই।

ইটভাটায় মাটি বিক্রির অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঘাটাইল উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি শাহজাহান আলী বলেন, পাহাড়ের লাল মাটি ও বনের কাঠ ইটভাটায় না নিতে কড়া ভাষায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরেও কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে আমাদের সমিতি সব ধরনের সহযোগিতা করবে। মাটি কাটার ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়িত রয়েছেন কিনা এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঘাটাইল উপজেলা বিএনপি সভাপতি সিরাজুল হক সানা বলেন, রসুলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল লালমাটি কাটার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তারা স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের যোগসাজশে মাটিকাটার ব্যবসা করে আসছেন। এর প্রতিবাদ করায় হুমকির মুখে রয়েছি আমি। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রসুলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, এগুলো সবই বানোয়াট কথা-বার্তা। আমি মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত নই। মাটি কাটতে গিয়ে আমার নাম ব্যবহার করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সংগ্রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আজমত আলী বলেন, ফসলি জমি ও পাহাড়ি লাল মাটি কাটার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমরা তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মর্তুজ আলী বলেন, লাল মাটি ও ফসলি জমি কাটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। পাহাড়ের লাল মাটি ও ফসলি জমির মাটি কাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। আইনে আছে কোনোভাবেই পাহাড়ের লাল মাটি কাটা যাবে না। ঘাটাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিন আক্তার বলেন, কয়েকদিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫টি ভেকু থেকে ১০টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে। অভিযোগ বা তথ্য পেলে অভিযান পরিচালনা করে মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘাটাইল ধলাপাড়া বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ওয়াদুদুর রহমান বলেন, মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। কেউ বন বিভাগের জমি থেকে লাল মাটি কাটলে সঙ্গে সঙ্গেই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

ছবি

লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ-হত্যা: কিশোরের ১০ বছরের কারাদণ্ড, অসন্তোষ

ছবি

খুলনায় বুলডোজার দিয়ে ‘শেখ বাড়ি’ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ছাত্র-জনতা

চান্দিনায় জরিমানা ও ভেকুর মালামাল জব্দ

২ অবৈধ করাতকলে অভিযান, জরিমানা

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ওষুধ এনে দুই ভারতীয় ধরা

মান্দায় ভারতীয় জাল রূপিসহ আটক দুই

কুষ্টিয়ার থানা উদ্বোধনের দাবি?

৩ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ নিহত ৬ জন

সরাইলে জমি বিরোধে সংঘর্ষ, নিহত ২

সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ছাদ থেকে পড়ে নাইট গার্ডের মৃত্যু

পাওনা টাকা চাওয়ায় বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা

পুকুর থেকে নারীর ইট বাঁধা মরদেহ উদ্ধার

পূর্বাচলে চাকরিজীবীর বাড়িতে ডাকাতি

অবৈধ ৩ ইটভাটা ভাঙল প্রশাসন

কাভার্ড ভ্যানসহ সোয়া ১৩ টন পলিথিন জব্দ

ছবি

জমা টাকা ফেরতের দাবিতে সমবায় সমিতির সদস্যদের বিক্ষোভ

মাতৃভাষা ও ভালোবাসা দিবস সামনে রেখে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জের ফুলচাষিরা

ছবি

সাপাহারে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল, পরিচর্যায় ব্যস্ত আমচাষিরা

ছবি

রাজশাহীর একটি প্রকল্পে ভাগ্য বদল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের

ছবি

ওসমানী হাসপাতালে দুদকের অভিযান : কর্মস্থলে না থেকে ১৬ নার্সের বিরুদ্ধে বেতন উত্তোলনের সত্যতা পাওয়া গেছে

ছবি

শ্রীমঙ্গলের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সুনাম দেশ-বিদেশে

কুষ্টিয়ার সেই ইটভাটায় ফের অভিযান

ডিমলায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

মুন্সীগঞ্জে কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ

ধামইরহাটে জমির মাটি বিক্রির দায়ে অর্থদণ্ড

সলঙ্গায় পুলিশের অবহেলায় বেড়েছে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই

ছবি

রাউজানে আধুনিক প্রযুক্তির সমলয় চাষাবাদের উদ্বোধন

ছবি

ফটিকছড়িতে ৮ দোকান পুড়ে অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি

সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ

ঘিওরে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন ১১ আইনজীবী

ঈশ্বরদীতে স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু

অসহায় পাঁচ সন্তানের জননীকে সহায়তা করলেন ইউএনও 

নবীনগরে বিয়ে বাড়িতে গুলি, আহত ৪

ছবি

বালু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য থামছেই না, হুমকিতে বাঁধ

ছবি

ইন্দুরকানীতে সড়কের ওপর ধানের হাট, চলাচলে ভোগান্তি

tab

সারাদেশ

ঘাটাইলে পাহাড়-ফসলি জমি কেটে মাটি বিক্রির মহোৎসব

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইল : ঘাটাইল উপজেলায় পাহাড়ি অঞ্চলে নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে লাল মাটি ও ফসলি জমি -সংবাদ

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় রাতের আঁধারে নির্বিচারে লাল মাটি ও ফসলি জমি কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে পাহাড় ও ফসলি জমির পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র। এই কার্যক্রম বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন প্রায়ই অভিযান চালিয়ে অর্থদ- ও কারাদ- দিচ্ছে। তারপরেও থামছে না মাটি কাটা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘাটাইল উপজেলার এক-তৃতীয়াংশ এলাকাজুড়ে রয়েছে বিশাল পাহাড়ি বনাঞ্চল। প্রশাসনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় কয়েকজন অসাধু মাটি ব্যবসায়ী এক্সকাভেটর (ভেকু মেশিন) দিয়ে উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের ফকিরবাড়ি, গিলাবড়ি, ধলাপাড়া বড় মেধা গ্রাম, হরিনাচালা, রসুলপুর ইউনিয়নে ঘোড়ার টেকি, দেওপাড়া ইউনিয়নের, সংগ্রামপুর ইউনিয়নে কাউটেনগর, কামারচার ও বোয়ালীচালাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় প্রতি রাতেই অবৈধভাবে মাটি কাটছে। তাদের ভাষ্য, মাটি ব্যবসায়ীরা ১০ থেকে ১৫ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়ার সময় গ্রামীণ জনপথ এবং পাকা রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। রাস্তার ধুলায় পাশে থাকা ফসলের মধ্যে প্রলেপ পড়ে যায়। শুধু তাই নয়, দোকানপাট ও বসতবাড়ির ভেতরও ধুলায় ঢেকে যাচ্ছে। এর ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন স্থানীয়রা। অনেকেই সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। রাস্তাঘাটে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের।

উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের কৃষক মাইন উদ্দিন বলেন, এই উপজেলার ঝড়কা থেকে টিলার কোল ঘেঁষে প্রায় ১০ কিলোমিটার পাকা সড়ক চলে গেছে দেওপাড়া বাজার পর্যন্ত। এ রাস্তার পাশেই ছিল ৫০ থেকে ৬০ ফুট উঁচু বেশকিছু টিলা। গত ২ থেকে ৩ বছরে দেওপাড়া, চেচুয়াপাড়া, ঘোড়ামারা, সিংহেরচালা, খাগড়াটা, বারইপাড়া, নলমা, কুশারিয়া, চেড়াভাঙ্গা, বগা, কাজলা, শালিয়াবহ, সরাবাড়ী ও বগা এলাকার টিলা কেটে ধ্বংস করা হয়েছে। রসুলপুর গ্রামের রিফাত ইসলাম বলেন, এই উপজেলায় শতাধিক মাটি ব্যবসায়ী রয়েছেন। তারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারাই মূলত ফসলি জমির ও লাল মাটির কেটে বিক্রি করছেন বসতবাড়িসহ স্থানীয় ইটভাটার মালিকদের কাছে। উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের নলমা গ্রামের অটোরিক্সা চালক মুজাফফর আলী বলেন, টিলা এবং জমি থেকে মাটি কাটার ফলে বড় বড় গর্ত সৃষ্ট হয়েছে। ফলে রাস্তায় চলাচলে তৈরি হয়েছে মারাত্মক ঝুঁকি। যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে প্রায়ই।

ইটভাটায় মাটি বিক্রির অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঘাটাইল উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি শাহজাহান আলী বলেন, পাহাড়ের লাল মাটি ও বনের কাঠ ইটভাটায় না নিতে কড়া ভাষায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরেও কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে আমাদের সমিতি সব ধরনের সহযোগিতা করবে। মাটি কাটার ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়িত রয়েছেন কিনা এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঘাটাইল উপজেলা বিএনপি সভাপতি সিরাজুল হক সানা বলেন, রসুলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল লালমাটি কাটার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তারা স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের যোগসাজশে মাটিকাটার ব্যবসা করে আসছেন। এর প্রতিবাদ করায় হুমকির মুখে রয়েছি আমি। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রসুলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, এগুলো সবই বানোয়াট কথা-বার্তা। আমি মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত নই। মাটি কাটতে গিয়ে আমার নাম ব্যবহার করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সংগ্রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আজমত আলী বলেন, ফসলি জমি ও পাহাড়ি লাল মাটি কাটার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমরা তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মর্তুজ আলী বলেন, লাল মাটি ও ফসলি জমি কাটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। পাহাড়ের লাল মাটি ও ফসলি জমির মাটি কাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। আইনে আছে কোনোভাবেই পাহাড়ের লাল মাটি কাটা যাবে না। ঘাটাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিন আক্তার বলেন, কয়েকদিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫টি ভেকু থেকে ১০টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে। অভিযোগ বা তথ্য পেলে অভিযান পরিচালনা করে মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘাটাইল ধলাপাড়া বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ওয়াদুদুর রহমান বলেন, মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। কেউ বন বিভাগের জমি থেকে লাল মাটি কাটলে সঙ্গে সঙ্গেই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

back to top