জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ২৩টি সমবায় সমিতির ৩০ হাজার সদস্যদের প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মাদারগঞ্জ টাকা উদ্ধারে ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও করেছেন সমবায় সমিতির গ্রাহকেরা।
জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ কেউ বাসা বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন, কেউ বা ভ্যানচালক। কেউ প্রবাসে কাজ করেন, কেউ ব্যবসায়ী। তাঁদের মধ্যে গৃহিণী, কৃষক থেকে শুরু করে শিক্ষক,সরকারি কর্মকর্তা-
কর্মচারীরাসহ রয়েছে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মানুষ কষ্টার্জিত অর্থ লাভের আশায় সমবায় সমিতি নামের ২৩টি প্রতিষ্ঠানে জমা করেছিলেন। কেউ এককালীন, কেউ মাসে মাসে টাকা জমা দিয়ে লাভের টাকা নিচ্ছিলেন। তবে এখন লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকা ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মাদারগঞ্জ উপজেলা সমবায় সমিতিরগুলোর মালিকেরা প্রায় দুই বছর ধরে আত্মগোপনে। মাদারগঞ্জ সমবায় সমিতির গ্রাহকদের অভিযোগ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় কয়েক গুণ বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা ৭ টি ইউনিয়নসহ আশেপাশের উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৩০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে এক থেকে দেড় হাজার কোটি নিয়ে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। মাদারগঞ্জ উপজেলায় শত শত মানুষ আমানতের টাকা ফিরে পেতে।
জানা যায়,৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে প্রথমে মাদারগঞ্জ উপজেলা শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হন কয়েক হাজার গ্রাহক। সেখানে সমাবেশের পর তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নাদির শাহ’র কার্যালয় ঘেরাও করে মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনওর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন। ‘মাদারগঞ্জে বিভিন্ন সমবায় সমিতিতে আমানতকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য সহায়ক কমিটি’ ব্যানারে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
মাদারগঞ্জ উপজেলার ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সমবায় সমিতির মালিকেরা আত্মগোপনে যাওয়ার পর তাঁরা মাদারগঞ্জ থানা ও জামালপুরের আদালতে একাধিক মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক, জেলা সমবায় কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু আমানতের টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ন্যূনতম কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। মাদার গঞ্জ সমবায় সমিতিতে জমা আমানতের অর্থ উদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক শিবলুল বারী বলেন, বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে সমিতির নামে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন মুনাফা তো দূরের কথা, আসল টাকা দিতে টালবাহানা করছেন সমিতির উদ্যোক্তারা। টাকা উদ্ধারে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন, স্মারকলিপি, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি করে করে আসছেন গ্রাহকেরা।
এ বিষয়ে একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, মাদারগঞ্জে ১৬৩টি সমিতির নিবন্ধন আছে। ২০২২ সাল থেকে বিভিন্ন কারণে ৭৪টি সমিতির কার্যক্রম বন্ধের পথে। উদ্যোক্তারা প্রায় কার্যক্রম বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে গেছেন। এসব সমিতির মধ্যে ২৩টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা সমবায় কার্যালয়। ২৩টি সমিতির উদ্যোক্তাদের কাছে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের ৭৩০ কোটি টাকা থাকার কথা বলা হয়েছে।
মাদার গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ইউএনও তার কার্যালয়ে না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অর্থ উদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক শিবলুল বারী রাজু বলেন, টানা ৫ ঘন্টা প্রতারিত আমানতকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
শিবলুল বারী রাজু বক্তব্যে বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি সমিতির মালিকপক্ষকে গ্রেপ্তার এবং গ্রাহকদের মুখোমুখি করার দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদির শাহ্ বলেন, এটার দায়িত্ব সমবায় অফিসের, তারা বিষয়টি দেখবেন। তিনি অফিসিয়াল প্রোগ্রামে জামালপুরে ছিলেন। এজন্য উপস্থিত হতে পারেননি।
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ২৩টি সমবায় সমিতির ৩০ হাজার সদস্যদের প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মাদারগঞ্জ টাকা উদ্ধারে ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও করেছেন সমবায় সমিতির গ্রাহকেরা।
জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ কেউ বাসা বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন, কেউ বা ভ্যানচালক। কেউ প্রবাসে কাজ করেন, কেউ ব্যবসায়ী। তাঁদের মধ্যে গৃহিণী, কৃষক থেকে শুরু করে শিক্ষক,সরকারি কর্মকর্তা-
কর্মচারীরাসহ রয়েছে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মানুষ কষ্টার্জিত অর্থ লাভের আশায় সমবায় সমিতি নামের ২৩টি প্রতিষ্ঠানে জমা করেছিলেন। কেউ এককালীন, কেউ মাসে মাসে টাকা জমা দিয়ে লাভের টাকা নিচ্ছিলেন। তবে এখন লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকা ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মাদারগঞ্জ উপজেলা সমবায় সমিতিরগুলোর মালিকেরা প্রায় দুই বছর ধরে আত্মগোপনে। মাদারগঞ্জ সমবায় সমিতির গ্রাহকদের অভিযোগ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় কয়েক গুণ বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা ৭ টি ইউনিয়নসহ আশেপাশের উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৩০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে এক থেকে দেড় হাজার কোটি নিয়ে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। মাদারগঞ্জ উপজেলায় শত শত মানুষ আমানতের টাকা ফিরে পেতে।
জানা যায়,৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে প্রথমে মাদারগঞ্জ উপজেলা শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হন কয়েক হাজার গ্রাহক। সেখানে সমাবেশের পর তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নাদির শাহ’র কার্যালয় ঘেরাও করে মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনওর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন। ‘মাদারগঞ্জে বিভিন্ন সমবায় সমিতিতে আমানতকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য সহায়ক কমিটি’ ব্যানারে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
মাদারগঞ্জ উপজেলার ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সমবায় সমিতির মালিকেরা আত্মগোপনে যাওয়ার পর তাঁরা মাদারগঞ্জ থানা ও জামালপুরের আদালতে একাধিক মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক, জেলা সমবায় কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু আমানতের টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ন্যূনতম কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। মাদার গঞ্জ সমবায় সমিতিতে জমা আমানতের অর্থ উদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক শিবলুল বারী বলেন, বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে সমিতির নামে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন মুনাফা তো দূরের কথা, আসল টাকা দিতে টালবাহানা করছেন সমিতির উদ্যোক্তারা। টাকা উদ্ধারে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন, স্মারকলিপি, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি করে করে আসছেন গ্রাহকেরা।
এ বিষয়ে একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, মাদারগঞ্জে ১৬৩টি সমিতির নিবন্ধন আছে। ২০২২ সাল থেকে বিভিন্ন কারণে ৭৪টি সমিতির কার্যক্রম বন্ধের পথে। উদ্যোক্তারা প্রায় কার্যক্রম বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে গেছেন। এসব সমিতির মধ্যে ২৩টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা সমবায় কার্যালয়। ২৩টি সমিতির উদ্যোক্তাদের কাছে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের ৭৩০ কোটি টাকা থাকার কথা বলা হয়েছে।
মাদার গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ইউএনও তার কার্যালয়ে না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অর্থ উদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক শিবলুল বারী রাজু বলেন, টানা ৫ ঘন্টা প্রতারিত আমানতকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
শিবলুল বারী রাজু বক্তব্যে বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি সমিতির মালিকপক্ষকে গ্রেপ্তার এবং গ্রাহকদের মুখোমুখি করার দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদির শাহ্ বলেন, এটার দায়িত্ব সমবায় অফিসের, তারা বিষয়টি দেখবেন। তিনি অফিসিয়াল প্রোগ্রামে জামালপুরে ছিলেন। এজন্য উপস্থিত হতে পারেননি।