সৈয়দপুর (নীলফামারী) : চাকরি ফিরে পেতে অস্থায়ী রেল শ্রমিকদের ধর্মঘট -সংবাদ
দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় অস্থায়ী ভিত্তিতে (টিএলআর) কর্মরত দক্ষ ৩১৩ শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। এতে এ কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থা থমকে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ছাঁটাইকৃতরা। প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরে নানা আন্দোলন কর্মসূচী পালন করছে ওই শ্রমিকরা। সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার বেলা ১২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা। তাদের অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে তাদের মতো দক্ষ শ্রমিকদের ছাটাই করে নতুনদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে সূত্র জানায়, রেলওয়েতে দীর্ঘদিন যাবত নিয়োগ বন্ধ থাকায় ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে শ্রমিক। বর্তমানে কারখানাটিতে কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীর মঞ্জুরী পদ রয়েছে ২ হাজার ৮৫৯টি। এর মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৭১৬ জন কর্মরত। অর্থাৎ ২ হাজার ১৪৩ পদ শূন্য রয়েছে। এই জনবল-সংকটের কারণে কারখানায় ক্যারেজ (কোচ) মেরামতের দৈনিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। দৈনিক তিনটি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও হচ্ছে দুটি কোচ। ২৯টি শপে ৭৪০টি যন্ত্র পরিচালনায় নেই প্রয়োজনীয় দক্ষ শ্রমিক। কারখানার উৎপাদন সচল রাখতে ২০১৪ সালে ‘কাজ আছে, মজুরি আছে’ ভিত্তিতে অস্থায়ী ২শ শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। এতেও সংকুলান না হওয়ায় ২০২২ সালে আবারও একই নিয়মে ৩শ শ্রমিক নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৫ ফেব্রুয়ারি ৩১৩ জনকে ছাঁটাই করে ২১০ জন অদক্ষ নতুন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সিএইচআর সপের মো. নুর শামীম, রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ সপের মো. নাসির উদ্দীন, ইয়ার্ড সপের এসএম তুষারুল আলম, পেইন্ট সপের আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান নামের অস্থায়ী শ্রমিকরা বলেন, প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতার সাথে প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর ধরে কাজ করেছি। এখন চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হলো। আবার কখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ডাকবে? আর বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও ছোট দুই ছেলেমেয়েদের ভরণ-পোষণ কিভাবে জোগাড় করব? ভেবে পাচ্ছি না। চাকরি হারিয়ে সব ছাঁটাই শ্রমিক পরিবার নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় নিপতিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মোস্তফা জাকির হাসান বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) : চাকরি ফিরে পেতে অস্থায়ী রেল শ্রমিকদের ধর্মঘট -সংবাদ
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় অস্থায়ী ভিত্তিতে (টিএলআর) কর্মরত দক্ষ ৩১৩ শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। এতে এ কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থা থমকে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ছাঁটাইকৃতরা। প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরে নানা আন্দোলন কর্মসূচী পালন করছে ওই শ্রমিকরা। সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার বেলা ১২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা। তাদের অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে তাদের মতো দক্ষ শ্রমিকদের ছাটাই করে নতুনদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে সূত্র জানায়, রেলওয়েতে দীর্ঘদিন যাবত নিয়োগ বন্ধ থাকায় ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে শ্রমিক। বর্তমানে কারখানাটিতে কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীর মঞ্জুরী পদ রয়েছে ২ হাজার ৮৫৯টি। এর মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৭১৬ জন কর্মরত। অর্থাৎ ২ হাজার ১৪৩ পদ শূন্য রয়েছে। এই জনবল-সংকটের কারণে কারখানায় ক্যারেজ (কোচ) মেরামতের দৈনিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। দৈনিক তিনটি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও হচ্ছে দুটি কোচ। ২৯টি শপে ৭৪০টি যন্ত্র পরিচালনায় নেই প্রয়োজনীয় দক্ষ শ্রমিক। কারখানার উৎপাদন সচল রাখতে ২০১৪ সালে ‘কাজ আছে, মজুরি আছে’ ভিত্তিতে অস্থায়ী ২শ শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। এতেও সংকুলান না হওয়ায় ২০২২ সালে আবারও একই নিয়মে ৩শ শ্রমিক নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৫ ফেব্রুয়ারি ৩১৩ জনকে ছাঁটাই করে ২১০ জন অদক্ষ নতুন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সিএইচআর সপের মো. নুর শামীম, রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ সপের মো. নাসির উদ্দীন, ইয়ার্ড সপের এসএম তুষারুল আলম, পেইন্ট সপের আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান নামের অস্থায়ী শ্রমিকরা বলেন, প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতার সাথে প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর ধরে কাজ করেছি। এখন চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হলো। আবার কখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ডাকবে? আর বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও ছোট দুই ছেলেমেয়েদের ভরণ-পোষণ কিভাবে জোগাড় করব? ভেবে পাচ্ছি না। চাকরি হারিয়ে সব ছাঁটাই শ্রমিক পরিবার নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় নিপতিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মোস্তফা জাকির হাসান বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।