সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) : লাশের মাথা চুরির ঘটনায় স্বজনরা কবরস্থানে জড়ো হয় -সংবাদ
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে কবরস্থান থেকে ৫ টি লাশের মাথা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ খবরে এলাকায় মৃত ব্যক্তির স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শান্তিপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রণজিৎ সাহা ।
শনিবার ভোরে উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের হাতনি কবরস্থান থেকে লাশ চুরির খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দাফনকৃত লাশের স্বজনরা ছুটে এসে কবরস্থানে জড়ো হয়। এর আগে শুক্রবার দিবাগত গভীররাতে লাশের মাথার খুলি চুরির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কবরস্থানে গিয়ে ৫-৬টি কবর খোড়া অবস্থায় দেখতে পান তারা । এর মধ্যে হাতনি গ্রামের আওলাদ হোসেনের মেয়ের লাশের হাড়গোড় কবরে থাকলেও মাথার খুলি পাওয়া যায়নি। একাধিক কবরগুলো খুড়ে আবার মাটি দিয়ে ঢেকে রেখে গেছে। এক কবরে প্রায় ৪-৫ টি কাফনের কাপড় ও হাড়গোড় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছ, ওই লাশগুলো চুরি হয়েছে।
আওলাদ হোসেন জানান, তার মেয়ে ২ মাস আগে মারা যান। মাত্র ১২ বছর বয়সের মেয়ে কারো ক্ষতি করেনি। ভোরে খবর পাই কবরস্থান থেকে তার লাশ চুরি হয়েছে।ছুটে গিয়ে দেখতে পাই মেয়ের কবর খোঁড়া। ভেতরেই মাথাবিহীন কাফনের কাপড় ও শরীরের অংশ পড়ে আছে।
অপরদিকে, মো. নবিনুর ইসলাম বলেন, আমার বাবা ৭ মাস আগে মারা গেছেন । সকালে লাশ চুরির খবর পেয়ে এখানে এসে দেখি আমার বাবার কবরের বাশ ওপরে রেখে মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। কবরের ভেতরে তার বাবার লাশ নেই বলে আশংকা করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে হাতনী কবরস্থান কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ বলেন, আমি প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়ে কবর জিয়ারত ও দেখাশুনা করতে আসি। সকালে কবরস্থানে ঢুকতেই আশপাশে তাকিয়ে দেখি একে একে কয়েকটি কবরের মাটি, বাঁশ এলোমেলো। তখনই আমি এলাকাবাসীকে খবর দেই। এতে লাশ চুরির বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দারা কবর গুলো পুনরায় সংস্কার করছেন বলে জানা গেছে। কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোনো তথ্য মেলেনি
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি মো: জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, লাশ চুরির খবরে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) : লাশের মাথা চুরির ঘটনায় স্বজনরা কবরস্থানে জড়ো হয় -সংবাদ
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে কবরস্থান থেকে ৫ টি লাশের মাথা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ খবরে এলাকায় মৃত ব্যক্তির স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শান্তিপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রণজিৎ সাহা ।
শনিবার ভোরে উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের হাতনি কবরস্থান থেকে লাশ চুরির খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দাফনকৃত লাশের স্বজনরা ছুটে এসে কবরস্থানে জড়ো হয়। এর আগে শুক্রবার দিবাগত গভীররাতে লাশের মাথার খুলি চুরির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কবরস্থানে গিয়ে ৫-৬টি কবর খোড়া অবস্থায় দেখতে পান তারা । এর মধ্যে হাতনি গ্রামের আওলাদ হোসেনের মেয়ের লাশের হাড়গোড় কবরে থাকলেও মাথার খুলি পাওয়া যায়নি। একাধিক কবরগুলো খুড়ে আবার মাটি দিয়ে ঢেকে রেখে গেছে। এক কবরে প্রায় ৪-৫ টি কাফনের কাপড় ও হাড়গোড় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছ, ওই লাশগুলো চুরি হয়েছে।
আওলাদ হোসেন জানান, তার মেয়ে ২ মাস আগে মারা যান। মাত্র ১২ বছর বয়সের মেয়ে কারো ক্ষতি করেনি। ভোরে খবর পাই কবরস্থান থেকে তার লাশ চুরি হয়েছে।ছুটে গিয়ে দেখতে পাই মেয়ের কবর খোঁড়া। ভেতরেই মাথাবিহীন কাফনের কাপড় ও শরীরের অংশ পড়ে আছে।
অপরদিকে, মো. নবিনুর ইসলাম বলেন, আমার বাবা ৭ মাস আগে মারা গেছেন । সকালে লাশ চুরির খবর পেয়ে এখানে এসে দেখি আমার বাবার কবরের বাশ ওপরে রেখে মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। কবরের ভেতরে তার বাবার লাশ নেই বলে আশংকা করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে হাতনী কবরস্থান কমিটির সভাপতি আবু সাঈদ বলেন, আমি প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়ে কবর জিয়ারত ও দেখাশুনা করতে আসি। সকালে কবরস্থানে ঢুকতেই আশপাশে তাকিয়ে দেখি একে একে কয়েকটি কবরের মাটি, বাঁশ এলোমেলো। তখনই আমি এলাকাবাসীকে খবর দেই। এতে লাশ চুরির বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দারা কবর গুলো পুনরায় সংস্কার করছেন বলে জানা গেছে। কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোনো তথ্য মেলেনি
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি মো: জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, লাশ চুরির খবরে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।