পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী পাহাড়ে বিশেষ শাসন ব্যবস্থা এখনো কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।
তিনি বলেছেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমস্যা সমাধানের জন্য ১৯৯৭ সালে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু সেই চুক্তির আলোকে পার্বত্য অঞ্চলে বিশেষ শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে এখানকার অধিবাসীরা নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন।”
মঙ্গলবার বিকেলে রাঙামাটি চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উপলক্ষে ফুটবল ও ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সন্তু লারমা বলেন, “পার্বত্য অঞ্চলের বিশেষ বাস্তবতার কারণে এখানকার ক্রীড়াক্ষেত্র এখনো সীমাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও পার্বত্য এলাকায় সেই সুযোগ-সুবিধা যথাযথভাবে পৌঁছায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ভিত্তিতে পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ক্রীড়াঙ্গনও জেলা পরিষদের অধীনে থাকার কথা ছিল, কিন্তু এখনো সরকার এ দায়িত্ব জেলা পরিষদকে হস্তান্তর করেনি।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকার যথাযথ উদ্যোগ নেবে এবং যার যে দায়িত্ব রয়েছে, তা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) অনুপ কুমার চাকমা, জনসংহতি সমিতির সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চল শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা ও জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালকুদার দীপু।
রোববার রাঙামাটির চিং হ্লা মং চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন দিনব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উদ্বোধন করেন সন্তু লারমা। মঙ্গলবার সমাপনী দিনে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও প্রাইজমানি বিতরণ করা হয়।
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী পাহাড়ে বিশেষ শাসন ব্যবস্থা এখনো কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।
তিনি বলেছেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমস্যা সমাধানের জন্য ১৯৯৭ সালে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু সেই চুক্তির আলোকে পার্বত্য অঞ্চলে বিশেষ শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে এখানকার অধিবাসীরা নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন।”
মঙ্গলবার বিকেলে রাঙামাটি চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উপলক্ষে ফুটবল ও ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সন্তু লারমা বলেন, “পার্বত্য অঞ্চলের বিশেষ বাস্তবতার কারণে এখানকার ক্রীড়াক্ষেত্র এখনো সীমাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও পার্বত্য এলাকায় সেই সুযোগ-সুবিধা যথাযথভাবে পৌঁছায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ভিত্তিতে পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ক্রীড়াঙ্গনও জেলা পরিষদের অধীনে থাকার কথা ছিল, কিন্তু এখনো সরকার এ দায়িত্ব জেলা পরিষদকে হস্তান্তর করেনি।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকার যথাযথ উদ্যোগ নেবে এবং যার যে দায়িত্ব রয়েছে, তা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) অনুপ কুমার চাকমা, জনসংহতি সমিতির সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চল শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা ও জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালকুদার দীপু।
রোববার রাঙামাটির চিং হ্লা মং চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন দিনব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উদ্বোধন করেন সন্তু লারমা। মঙ্গলবার সমাপনী দিনে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও প্রাইজমানি বিতরণ করা হয়।