ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়ার হাফেজিয়া এলাকায় কভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় একটি পিকআপ উল্টে ছয় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও নয়জন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ।
নিহত ও আহতদের পরিচয়
এ পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন—
১. নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জোবায়ের (৩৫)।
২. বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার বলই বুনিয়া ইউনিয়নের চোলম বাড়িয়া এলাকার নাজমুল শেখ (১৭), পিতা: সাবুল শেখ।
৩. ভোলার মনপুরা উপজেলার হাজীরহাট এলাকার মো. ফারুকের ছেলে মো. আরিফ (২২)।
৪. একই উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের চর ফয়জুদ্দিন গ্রামের নুর আলমের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৫)।
৫. বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজপুর গ্রামের মো. সোবাহান ফরাজীর ছেলে সাদ্দাম ফরাজী।
আহতদের মধ্যে পাঁচজন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন—
১. ফেনী শহরের সহদেবপুর এলাকার নূর হোসেনের ছেলে মনির (৪০)। ২. নূরনবীর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩০)। ৩. বশির উল্লার ছেলে সবুজ (২৫)। ৪. ধনী হাওলাদারের ছেলে নাগর (৩৫)। ৫. গনি হাওলাদারের ছেলে নাগর মাঝি (৩৫)।
মহিপাল হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট সাইমুন ইসলাম জানান, ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়ায় নির্মাণ কাজ শেষে ১৮ জন শ্রমিক একটি পিকআপে করে শহরে ফিরছিলেন। পথে পেছন থেকে একটি কভার্ড ভ্যান পিকআপটিকে ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে যায়।
এ সময় পিকআপে থাকা শ্রমিকরা সড়কে ছিটকে পড়েন। তখন পেছন থেকে আসা আরেকটি কভার্ড ভ্যান তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ চালায়। এ সময় ঢাকাগামী সড়কে যান চলাচল কিছুক্ষণ বন্ধ থাকলেও দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন সরানোর পর তা স্বাভাবিক হয়।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, গুরুতর আহত সবুজ ও মনিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে নাগর মাঝি বলেন, “প্রতিদিনের মতো ভবনের ঢালাই শেষে মেশিন নিয়ে ১৮ জন শ্রমিক পিকআপে ফিরছিলাম। পথে দুর্ঘটনার শিকার হই।”
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনজুর আহসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন সুলতানা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজিব তালুকদার ঘটনাস্থল এবং হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইসমাঈল হোসেন জানান, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে লাশের পরিবহন ও দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসার জন্যও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।
ওসি হারুনুর রশিদ জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ফেনীতে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যেন মহাসড়কে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়ার হাফেজিয়া এলাকায় কভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় একটি পিকআপ উল্টে ছয় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও নয়জন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ।
নিহত ও আহতদের পরিচয়
এ পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন—
১. নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জোবায়ের (৩৫)।
২. বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার বলই বুনিয়া ইউনিয়নের চোলম বাড়িয়া এলাকার নাজমুল শেখ (১৭), পিতা: সাবুল শেখ।
৩. ভোলার মনপুরা উপজেলার হাজীরহাট এলাকার মো. ফারুকের ছেলে মো. আরিফ (২২)।
৪. একই উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের চর ফয়জুদ্দিন গ্রামের নুর আলমের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৫)।
৫. বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজপুর গ্রামের মো. সোবাহান ফরাজীর ছেলে সাদ্দাম ফরাজী।
আহতদের মধ্যে পাঁচজন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন—
১. ফেনী শহরের সহদেবপুর এলাকার নূর হোসেনের ছেলে মনির (৪০)। ২. নূরনবীর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩০)। ৩. বশির উল্লার ছেলে সবুজ (২৫)। ৪. ধনী হাওলাদারের ছেলে নাগর (৩৫)। ৫. গনি হাওলাদারের ছেলে নাগর মাঝি (৩৫)।
মহিপাল হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট সাইমুন ইসলাম জানান, ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়ায় নির্মাণ কাজ শেষে ১৮ জন শ্রমিক একটি পিকআপে করে শহরে ফিরছিলেন। পথে পেছন থেকে একটি কভার্ড ভ্যান পিকআপটিকে ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে যায়।
এ সময় পিকআপে থাকা শ্রমিকরা সড়কে ছিটকে পড়েন। তখন পেছন থেকে আসা আরেকটি কভার্ড ভ্যান তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ চালায়। এ সময় ঢাকাগামী সড়কে যান চলাচল কিছুক্ষণ বন্ধ থাকলেও দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন সরানোর পর তা স্বাভাবিক হয়।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, গুরুতর আহত সবুজ ও মনিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে নাগর মাঝি বলেন, “প্রতিদিনের মতো ভবনের ঢালাই শেষে মেশিন নিয়ে ১৮ জন শ্রমিক পিকআপে ফিরছিলাম। পথে দুর্ঘটনার শিকার হই।”
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনজুর আহসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন সুলতানা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজিব তালুকদার ঘটনাস্থল এবং হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইসমাঈল হোসেন জানান, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে লাশের পরিবহন ও দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসার জন্যও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।
ওসি হারুনুর রশিদ জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ফেনীতে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যেন মহাসড়কে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।