মহাদেবপুর (নওগাঁ) : মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্বরে মাটি ভরাট প্রকল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে ছাই -সংবাদ
নওগাঁর মহাদেবপুরে এবার সরকারি প্রকল্পে মাটির পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে বয়লারের ছাঁই, ড্রেন পরিষ্কার করা ময়লা আবর্জনা আর মজা পুকুরের পঁচা গলা কাদামাটি। খোদ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্বরে এসব ব্যবহার করায় উপজেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, কৃষি অফিসের ডরমেটোরির সামনের অংশ ভরাট করা হচ্ছে।
এখানে মাটির পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে বয়লারের ছাঁই ও ড্রেন পরিষ্কার করা ময়লা আবর্জনা।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের চারদিক ভরাট করা হচ্ছে মজা পুকুরের পঁচা গলা কালো কাদামাটি দিয়ে। এছাড়া এই ক্যাম্পাসে নবনির্মিত ভবনের সামনের অংশও ভরাট করা হচ্ছে এসব কাদামাটি দিয়ে।
বিষয়টি জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে এই কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী জানান, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্ব¡রের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে কাজের বিনিময়ে টাকা কাবিটা প্রকল্পের আওতায় দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের একজন মেম্বার প্রকল্পের সভাপতি রয়েছেন। বয়লারের ছাঁই, ড্রেনের ময়লা আর কাদামাটির বিষয়ে তিনি জানান, দোঁয়াস মাটি ব্যবহার করলে ভালো হতো।
জানতে চাইলে মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাস্টার রাইহান আলম জানান, তিনি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বার ফেরদৌসী বেগম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন। তিনি স্বীকার করেন যে, কয়েক দিন আগে উপজেলা সদরের ড্রেনগুলো পরিষ্কার করে যে ময়লা আবর্জনা উঠে আসে সেগুলো প্রকল্পে ব্যবহার করেছেন। এর ওপর মাটি দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
স্থানীয়রা জানান, মহাদেবপুর উপজেলা সদরের ড্রেনগুলোর নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই ভরাট হয়ে যায়। তখন ড্রেনে জমে থাকা দুর্গন্ধযুক্ত টয়লেট, গৃহস্থালী আবর্জনা প্রভৃতি তুলে রাস্তার উপরে স্তূপ করে রাখা হয়। সেগুলো শুকিয়ে গেলে অন্যত্র ফেলে দেয়া হয়। কিন্তু এবার এই অস্বাস্থ্যকর টয়লেটের স্তূপ সরকারি প্রকল্পে এবং খোদ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্বরে ফেলা হলো। এছাড়া চোখ ও শ^াসযন্ত্রসহ শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বয়লারের ছাঁই ট্রাক্টরে করে পরিবহন করে এনে এই ক্যাম্পাসে কীভাবে ফেলা হলো তা নিয়েও বিরুপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। উপজেলার সর্বত্র যেখানে মজাপুকুরের পঁচাগলা কাদামাটি পরিবহন করার ফলে পাকা রাস্তাগুলো মাটিতে সয়লাব হয়ে আছে। একটু পানি পড়লেই রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে অসংখ্য সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হয়।
এসব বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। উপজেলা পরিষদের পক্ষে এরকম অপরাধে কয়েকটি স্থানে ইতোপূর্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে, সেখানে খোদ উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে এসব কাদামাটি কিভাবে আনা হলো তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বিষয়টি জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামানের মোবাইলফোনে রিং দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
মহাদেবপুর (নওগাঁ) : মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্বরে মাটি ভরাট প্রকল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে ছাই -সংবাদ
বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫
নওগাঁর মহাদেবপুরে এবার সরকারি প্রকল্পে মাটির পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে বয়লারের ছাঁই, ড্রেন পরিষ্কার করা ময়লা আবর্জনা আর মজা পুকুরের পঁচা গলা কাদামাটি। খোদ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্বরে এসব ব্যবহার করায় উপজেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, কৃষি অফিসের ডরমেটোরির সামনের অংশ ভরাট করা হচ্ছে।
এখানে মাটির পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে বয়লারের ছাঁই ও ড্রেন পরিষ্কার করা ময়লা আবর্জনা।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের চারদিক ভরাট করা হচ্ছে মজা পুকুরের পঁচা গলা কালো কাদামাটি দিয়ে। এছাড়া এই ক্যাম্পাসে নবনির্মিত ভবনের সামনের অংশও ভরাট করা হচ্ছে এসব কাদামাটি দিয়ে।
বিষয়টি জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে এই কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী জানান, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্ব¡রের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে কাজের বিনিময়ে টাকা কাবিটা প্রকল্পের আওতায় দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের একজন মেম্বার প্রকল্পের সভাপতি রয়েছেন। বয়লারের ছাঁই, ড্রেনের ময়লা আর কাদামাটির বিষয়ে তিনি জানান, দোঁয়াস মাটি ব্যবহার করলে ভালো হতো।
জানতে চাইলে মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাস্টার রাইহান আলম জানান, তিনি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বার ফেরদৌসী বেগম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন। তিনি স্বীকার করেন যে, কয়েক দিন আগে উপজেলা সদরের ড্রেনগুলো পরিষ্কার করে যে ময়লা আবর্জনা উঠে আসে সেগুলো প্রকল্পে ব্যবহার করেছেন। এর ওপর মাটি দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
স্থানীয়রা জানান, মহাদেবপুর উপজেলা সদরের ড্রেনগুলোর নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই ভরাট হয়ে যায়। তখন ড্রেনে জমে থাকা দুর্গন্ধযুক্ত টয়লেট, গৃহস্থালী আবর্জনা প্রভৃতি তুলে রাস্তার উপরে স্তূপ করে রাখা হয়। সেগুলো শুকিয়ে গেলে অন্যত্র ফেলে দেয়া হয়। কিন্তু এবার এই অস্বাস্থ্যকর টয়লেটের স্তূপ সরকারি প্রকল্পে এবং খোদ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্বরে ফেলা হলো। এছাড়া চোখ ও শ^াসযন্ত্রসহ শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বয়লারের ছাঁই ট্রাক্টরে করে পরিবহন করে এনে এই ক্যাম্পাসে কীভাবে ফেলা হলো তা নিয়েও বিরুপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। উপজেলার সর্বত্র যেখানে মজাপুকুরের পঁচাগলা কাদামাটি পরিবহন করার ফলে পাকা রাস্তাগুলো মাটিতে সয়লাব হয়ে আছে। একটু পানি পড়লেই রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে অসংখ্য সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হয়।
এসব বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। উপজেলা পরিষদের পক্ষে এরকম অপরাধে কয়েকটি স্থানে ইতোপূর্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে, সেখানে খোদ উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে এসব কাদামাটি কিভাবে আনা হলো তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বিষয়টি জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামানের মোবাইলফোনে রিং দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।