বরিশালে খোলাবাজারে খাদ্যসামগ্রী বিক্রীর আওতায় প্রতিদিন ৪৫ হাজার মানুষের মধ্যে আটা এবং চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র আওতায় ৪ লক্ষাধিক পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে মার্চ ও এপ্রিল এই ২ মাস ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের পাশাপাশি টিসিবির ফ্যমিলি কার্ডের মাধ্যমেও ৪ লাখ পরিবারের মধ্যে একই দামে চাল বিক্রী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এসব কর্মসূচির কারণে চালের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে বলে খাদ্য বিভাগের দাবি। রমজান মাসের শুরুতেই ওএমএস কর্মসূচির আওতায় বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে একজন করে ডিলার প্রতিদিন ১ টন করে চাল এবং সমপরিমাণ আটা বিক্রীর কার্যক্রম শুরু করেছে। এই কর্মসূচির আওতায় প্রতিদিন বরিশাল নগরীর মোট ৯টি পয়েন্টে ট্রাকে করে ডিলাররা সমপরিমাণ চাল এবং আটা বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি আটা ২৪ টাকা দরে যে কেউ মাথাপিছু ৫ কেজি করে কিনতে পারছেন। ওএমএস কর্মসূচির আওতায় মহানগরীর ৩০ জন ডিলারের বাইরে জেলা সদরে ৬ জন এবং উপজেলা সদরে ২ জন করে ডিলার প্রতিদিন ১ টন করে চাল এবং আটা বিক্রি করছেন। সব মিলিয়ে বরিশালে প্রতিদিন ১৬৪ টন চাল এবং ৫৬ টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে বলে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে এই কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় বরিশাল খাদ্য অঞ্চলে ৪ লক্ষাধিক পরিবারকে মার্চ এবং এপ্রিল মাসে ১৫ টাকা দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ কর্মসূচিও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ২ মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ২৫ হাজার টন চাল বিতরণ করা হবে বলে খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। একই সঙ্গে বরিশালে টিসিবির ফ্যমিলি কার্ডধারী প্রায় ৬ লাখ পরিবারও ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। এর ফলে প্রতি মাসে আরও ৩ হাজার টন চাল খোলা বাজারে আসছে। এত বিপুল পরিমাণ চাল খোলা বাজারে আসায় চালের বাজার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে খাদ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র আশা করছে।
তবে বাজার পর্যবেক্ষকদের মতে, ওএমএস পদ্ধতিতে বরিশাল মহানগরীসহ জেলা এবং উপজেলা সদরে চাল এবং আটা বিক্রির কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণের পাশাপাশি বরাদ্দ বৃদ্ধি করে সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি করা জরুরি। একই সঙ্গে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি করা যেতে পারে। অনুরূপভাবে টিসিবির কার্ডধারীদের জন্য মাসে মাত্র ৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ করার বিষয়টি হাস্যকর বলে মন্তব্য করে তা নূন্যতম ২৫ কেজিতে উন্নীত করার দাবি সাধারণ ভোক্তাসহ বাজার পর্যবেক্ষকদের। বাজার পর্যবেক্ষকদের মতে, সারাদেশের মতো বরিশালেও চালের বাজার মিল মালিক এবং তাদের আড়তদারদের নিয়ন্ত্রনে থাকছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে চাইলে ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারে সরকারি চালের বিক্রি আরও বৃদ্ধি করার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেছেন বাজার পর্যবেক্ষকরা। নতুবা বরিশাল মহানগরীতে ওএমএসর চাল-আটা এবং টিসিবির খাদ্যপণ্য বিক্রির ট্রাকের পেছনে রোজাদারদের নিত্যকার লম্বা লাইন প্রশমনের কোনো সুযোগ সৃষ্টি হবে না বলেও মনে করছে মহলটি।
বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫
বরিশালে খোলাবাজারে খাদ্যসামগ্রী বিক্রীর আওতায় প্রতিদিন ৪৫ হাজার মানুষের মধ্যে আটা এবং চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র আওতায় ৪ লক্ষাধিক পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে মার্চ ও এপ্রিল এই ২ মাস ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের পাশাপাশি টিসিবির ফ্যমিলি কার্ডের মাধ্যমেও ৪ লাখ পরিবারের মধ্যে একই দামে চাল বিক্রী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এসব কর্মসূচির কারণে চালের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে বলে খাদ্য বিভাগের দাবি। রমজান মাসের শুরুতেই ওএমএস কর্মসূচির আওতায় বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে একজন করে ডিলার প্রতিদিন ১ টন করে চাল এবং সমপরিমাণ আটা বিক্রীর কার্যক্রম শুরু করেছে। এই কর্মসূচির আওতায় প্রতিদিন বরিশাল নগরীর মোট ৯টি পয়েন্টে ট্রাকে করে ডিলাররা সমপরিমাণ চাল এবং আটা বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি আটা ২৪ টাকা দরে যে কেউ মাথাপিছু ৫ কেজি করে কিনতে পারছেন। ওএমএস কর্মসূচির আওতায় মহানগরীর ৩০ জন ডিলারের বাইরে জেলা সদরে ৬ জন এবং উপজেলা সদরে ২ জন করে ডিলার প্রতিদিন ১ টন করে চাল এবং আটা বিক্রি করছেন। সব মিলিয়ে বরিশালে প্রতিদিন ১৬৪ টন চাল এবং ৫৬ টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে বলে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে এই কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় বরিশাল খাদ্য অঞ্চলে ৪ লক্ষাধিক পরিবারকে মার্চ এবং এপ্রিল মাসে ১৫ টাকা দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ কর্মসূচিও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ২ মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ২৫ হাজার টন চাল বিতরণ করা হবে বলে খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। একই সঙ্গে বরিশালে টিসিবির ফ্যমিলি কার্ডধারী প্রায় ৬ লাখ পরিবারও ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। এর ফলে প্রতি মাসে আরও ৩ হাজার টন চাল খোলা বাজারে আসছে। এত বিপুল পরিমাণ চাল খোলা বাজারে আসায় চালের বাজার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে খাদ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র আশা করছে।
তবে বাজার পর্যবেক্ষকদের মতে, ওএমএস পদ্ধতিতে বরিশাল মহানগরীসহ জেলা এবং উপজেলা সদরে চাল এবং আটা বিক্রির কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণের পাশাপাশি বরাদ্দ বৃদ্ধি করে সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি করা জরুরি। একই সঙ্গে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি করা যেতে পারে। অনুরূপভাবে টিসিবির কার্ডধারীদের জন্য মাসে মাত্র ৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ করার বিষয়টি হাস্যকর বলে মন্তব্য করে তা নূন্যতম ২৫ কেজিতে উন্নীত করার দাবি সাধারণ ভোক্তাসহ বাজার পর্যবেক্ষকদের। বাজার পর্যবেক্ষকদের মতে, সারাদেশের মতো বরিশালেও চালের বাজার মিল মালিক এবং তাদের আড়তদারদের নিয়ন্ত্রনে থাকছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে চাইলে ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারে সরকারি চালের বিক্রি আরও বৃদ্ধি করার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেছেন বাজার পর্যবেক্ষকরা। নতুবা বরিশাল মহানগরীতে ওএমএসর চাল-আটা এবং টিসিবির খাদ্যপণ্য বিক্রির ট্রাকের পেছনে রোজাদারদের নিত্যকার লম্বা লাইন প্রশমনের কোনো সুযোগ সৃষ্টি হবে না বলেও মনে করছে মহলটি।