চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে নিহত জামায়াতে ইসলামী কর্মী দুইজন কেন সেখানে গিয়েছিলেন এবং ঘটনার পেছনের কারণ কী, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ।
তবে দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
সাতকানিয়া থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
"হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি স্পর্শকাতর। সঠিক বিষয়টি জানতে আমরা তদন্ত করছি,"—বলেন তিনি।
জামায়াত নেতা জায়েদ হোসেনের অভিযোগ, "সালিশী বিচারের নামে ফাঁদে ফেলে পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, "একটি ঘটনার পেছনে আরও অনেক কারণ থাকতে পারে, তাই সব দিক থেকেই আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।
সোমবার রাতে এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা চূড়ামনি গ্রামে ডাকাত সন্দেহে দুইজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহতরা হলেন পাশের কাঞ্চনা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. নেজাম উদ্দিন ও আবু সালেক।
জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে, তারা সংগঠনের কর্মী ছিলেন এবং এই হত্যাকাণ্ড "পরিকল্পিত"।
কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি জায়েদ হোসেন বলেন, "নিহত দুইজন ওই এলাকার পরিচিত ব্যক্তি। না চিনেই গণপিটুনি দেওয়ার প্রশ্ন আসে না।"
তার অভিযোগ, "ফ্যাসিস্টদের চক্রান্তে পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। সড়কে গাছ ফেলে রেখে পথ অবরুদ্ধ করা হয়। মারধর শেষে মৃত্যু নিশ্চিত করে মসজিদের মাইকে ডাকাত হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।"
স্থানীয়রা জানান, নিহত নেজাম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন এবং ৫ আগস্ট ক্ষমতার পরিবর্তনের পর দেশে ফিরে ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
এওচিয়ার এক সাবেক চেয়ারম্যানের মাছের খামার ও ইটভাটা লুটের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তাদের ভাষ্য, সোমবার রাতে কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে নেজাম ও সালেক দলবলসহ ছনখোলা গ্রামে যান।
তারা আরও জানান, সেসময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়, এরপর মসজিদের মাইকে ডাকাতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘটনার পর সাতকানিয়া থানার ওসি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা, একটি পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলির খোসা জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, "উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি কোন ইউনিটের অস্ত্র, তা যাচাই করতে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।"
পুলিশ জানায়, নিহত আবু সালেকের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা সহ পাঁচটি মামলা ছিল।
নিহতদের পরিবার ও জামায়াতে ইসলামী দ্রুত এই ঘটনার বিচার দাবি করলেও পুলিশ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মামলা দায়ের করেনি।
ওসি জাহেদুল ইসলাম বলেন, "আমরা সবকিছু যাচাই-বাছাই করছি। বিষয়টি সংবেদনশীল, তাই দ্রুত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়।"
এদিকে, জামায়াতে ইসলামী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, "সরকারের মদদপুষ্ট কিছু ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।"
তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত ঘটনা কী, তা নিয়ে এখনো সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে নিহত জামায়াতে ইসলামী কর্মী দুইজন কেন সেখানে গিয়েছিলেন এবং ঘটনার পেছনের কারণ কী, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ।
তবে দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
সাতকানিয়া থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
"হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি স্পর্শকাতর। সঠিক বিষয়টি জানতে আমরা তদন্ত করছি,"—বলেন তিনি।
জামায়াত নেতা জায়েদ হোসেনের অভিযোগ, "সালিশী বিচারের নামে ফাঁদে ফেলে পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, "একটি ঘটনার পেছনে আরও অনেক কারণ থাকতে পারে, তাই সব দিক থেকেই আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।
সোমবার রাতে এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা চূড়ামনি গ্রামে ডাকাত সন্দেহে দুইজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহতরা হলেন পাশের কাঞ্চনা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. নেজাম উদ্দিন ও আবু সালেক।
জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে, তারা সংগঠনের কর্মী ছিলেন এবং এই হত্যাকাণ্ড "পরিকল্পিত"।
কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি জায়েদ হোসেন বলেন, "নিহত দুইজন ওই এলাকার পরিচিত ব্যক্তি। না চিনেই গণপিটুনি দেওয়ার প্রশ্ন আসে না।"
তার অভিযোগ, "ফ্যাসিস্টদের চক্রান্তে পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। সড়কে গাছ ফেলে রেখে পথ অবরুদ্ধ করা হয়। মারধর শেষে মৃত্যু নিশ্চিত করে মসজিদের মাইকে ডাকাত হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।"
স্থানীয়রা জানান, নিহত নেজাম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন এবং ৫ আগস্ট ক্ষমতার পরিবর্তনের পর দেশে ফিরে ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
এওচিয়ার এক সাবেক চেয়ারম্যানের মাছের খামার ও ইটভাটা লুটের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তাদের ভাষ্য, সোমবার রাতে কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে নেজাম ও সালেক দলবলসহ ছনখোলা গ্রামে যান।
তারা আরও জানান, সেসময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়, এরপর মসজিদের মাইকে ডাকাতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘটনার পর সাতকানিয়া থানার ওসি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা, একটি পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলির খোসা জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, "উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি কোন ইউনিটের অস্ত্র, তা যাচাই করতে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।"
পুলিশ জানায়, নিহত আবু সালেকের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা সহ পাঁচটি মামলা ছিল।
নিহতদের পরিবার ও জামায়াতে ইসলামী দ্রুত এই ঘটনার বিচার দাবি করলেও পুলিশ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মামলা দায়ের করেনি।
ওসি জাহেদুল ইসলাম বলেন, "আমরা সবকিছু যাচাই-বাছাই করছি। বিষয়টি সংবেদনশীল, তাই দ্রুত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়।"
এদিকে, জামায়াতে ইসলামী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, "সরকারের মদদপুষ্ট কিছু ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।"
তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত ঘটনা কী, তা নিয়ে এখনো সংশয় থেকেই যাচ্ছে।