alt

সারাদেশ

সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে নিহত দুইজন: পুলিশের তদন্ত শুরু

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে নিহত জামায়াতে ইসলামী কর্মী দুইজন কেন সেখানে গিয়েছিলেন এবং ঘটনার পেছনের কারণ কী, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ।

তবে দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

সাতকানিয়া থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

"হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি স্পর্শকাতর। সঠিক বিষয়টি জানতে আমরা তদন্ত করছি,"—বলেন তিনি।

জামায়াত নেতা জায়েদ হোসেনের অভিযোগ, "সালিশী বিচারের নামে ফাঁদে ফেলে পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে।"

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, "একটি ঘটনার পেছনে আরও অনেক কারণ থাকতে পারে, তাই সব দিক থেকেই আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।

সোমবার রাতে এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা চূড়ামনি গ্রামে ডাকাত সন্দেহে দুইজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহতরা হলেন পাশের কাঞ্চনা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. নেজাম উদ্দিন ও আবু সালেক।

জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে, তারা সংগঠনের কর্মী ছিলেন এবং এই হত্যাকাণ্ড "পরিকল্পিত"।

কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি জায়েদ হোসেন বলেন, "নিহত দুইজন ওই এলাকার পরিচিত ব্যক্তি। না চিনেই গণপিটুনি দেওয়ার প্রশ্ন আসে না।"

তার অভিযোগ, "ফ্যাসিস্টদের চক্রান্তে পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। সড়কে গাছ ফেলে রেখে পথ অবরুদ্ধ করা হয়। মারধর শেষে মৃত্যু নিশ্চিত করে মসজিদের মাইকে ডাকাত হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।"

স্থানীয়রা জানান, নিহত নেজাম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন এবং ৫ আগস্ট ক্ষমতার পরিবর্তনের পর দেশে ফিরে ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

এওচিয়ার এক সাবেক চেয়ারম্যানের মাছের খামার ও ইটভাটা লুটের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তাদের ভাষ্য, সোমবার রাতে কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে নেজাম ও সালেক দলবলসহ ছনখোলা গ্রামে যান।

তারা আরও জানান, সেসময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়, এরপর মসজিদের মাইকে ডাকাতের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঘটনার পর সাতকানিয়া থানার ওসি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা, একটি পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলির খোসা জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, "উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি কোন ইউনিটের অস্ত্র, তা যাচাই করতে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।"

পুলিশ জানায়, নিহত আবু সালেকের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা সহ পাঁচটি মামলা ছিল।

নিহতদের পরিবার ও জামায়াতে ইসলামী দ্রুত এই ঘটনার বিচার দাবি করলেও পুলিশ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মামলা দায়ের করেনি।

ওসি জাহেদুল ইসলাম বলেন, "আমরা সবকিছু যাচাই-বাছাই করছি। বিষয়টি সংবেদনশীল, তাই দ্রুত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়।"

এদিকে, জামায়াতে ইসলামী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, "সরকারের মদদপুষ্ট কিছু ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।"

তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত ঘটনা কী, তা নিয়ে এখনো সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

ছবি

বরিশালে আগুনে পুড়লো গ্রিন লাইনের বাস, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন যাত্রীরা

ছবি

ছয় ট্রলারসহ ৫৬ বাংলাদেশিকে নিয়ে গেল মায়ানমার বাহিনী

ছবি

ত্বকী হত্যা: ১২ বছর পরও ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় পরিবার

ছবি

এবার এক দিনেই লালন স্মরণোৎসব, থাকছে না মেলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন

আগৈলঝাড়ায় চোরের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে শিশুর মৃত্যু

ছবি

সিলেটের এমসি কলেজের টিলায় হঠাৎ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস

ছবি

টেকনাফে অপহৃত একই পরিবারের ১১ সদস্য উদ্ধার

তারাগঞ্জে অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

ছবি

বন্ধুত্বের ফাঁদে অপহরণ, মুক্তিপণের টাকাসহ গ্রেপ্তার ৩

রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

নির্মাণাধীন বিমান ঘাঁটিতে ‘হামলা’ ও সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের মামলা

৬শ পরিবার পেল ইফতারসামগ্রী

দশমিনায় সয়াবিন ফসলের ওপর প্রশিক্ষণ

বটিয়াঘাটায় ভুয়া জেলে কার্ডের ছড়াছড়ি

বালুর ট্রাকে মিলল ভারতীয় চিনি-ব্লেড

সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় পণ্য আটক

নন্দীগ্রামে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান

সেনবাগে ভেজাল বিরোধী অভিযান

বাঁশখালীতে ৭ ব্যবসায়ী ও চালককে জরিমানা

বালুবাহী বলগেটের ধাক্কায় মাছ ধরার ট্রলার ডুবে আহত ২

আটককৃত চোরকে ছিনিয়ে নিতে হামলা, আহত ৪

পবিপ্রবির গাছ কাটার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

৩ জেলায় অগ্নিকাণ্ডে ৩৪ দোকান ও খড়ের গাদা পুড়ে ছাই

দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ প্রবাসী তরুণসহ নিহত ৩

ছবি

সিলেটে গাছের সুরক্ষায় পেরেক অপসারণ শুরু

টমটম ছিনতাই করতে চালককে হত্যা, নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার

জমি বিরোধে সংঘর্ষে সেলুনের কারিগর নিহত

প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় প্রাণ দিল কিশোরী

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে ২ বিদেশি জাহাজের সংঘর্ষ

জামালপুরে গণপরিবহন বন্ধ দুর্ভোগে সাধারণ যাত্রীরা

বরিশালে ওএমএস ও টিসিবি কার্যক্রম সম্প্রসারণের তাগিদ

রায়গঞ্জে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে যৌথ অভিযান

জেলেকে অপহরণের মধ্য দিয়ে নতুন দস্যু বাহিনীর আত্মপ্রকাশ

ছবি

ভৈরব-মেন্দিপুর সড়ক বেহাল, সংস্কার দাবি

তিন বছর ধরে কার্যক্রম বন্ধ, ঘরে বসে বেতন নেন কর্মচারীরা

মির্জাগঞ্জে শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

tab

সারাদেশ

সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে নিহত দুইজন: পুলিশের তদন্ত শুরু

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে নিহত জামায়াতে ইসলামী কর্মী দুইজন কেন সেখানে গিয়েছিলেন এবং ঘটনার পেছনের কারণ কী, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ।

তবে দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

সাতকানিয়া থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

"হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি স্পর্শকাতর। সঠিক বিষয়টি জানতে আমরা তদন্ত করছি,"—বলেন তিনি।

জামায়াত নেতা জায়েদ হোসেনের অভিযোগ, "সালিশী বিচারের নামে ফাঁদে ফেলে পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে।"

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, "একটি ঘটনার পেছনে আরও অনেক কারণ থাকতে পারে, তাই সব দিক থেকেই আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।

সোমবার রাতে এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা চূড়ামনি গ্রামে ডাকাত সন্দেহে দুইজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহতরা হলেন পাশের কাঞ্চনা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. নেজাম উদ্দিন ও আবু সালেক।

জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে, তারা সংগঠনের কর্মী ছিলেন এবং এই হত্যাকাণ্ড "পরিকল্পিত"।

কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি জায়েদ হোসেন বলেন, "নিহত দুইজন ওই এলাকার পরিচিত ব্যক্তি। না চিনেই গণপিটুনি দেওয়ার প্রশ্ন আসে না।"

তার অভিযোগ, "ফ্যাসিস্টদের চক্রান্তে পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। সড়কে গাছ ফেলে রেখে পথ অবরুদ্ধ করা হয়। মারধর শেষে মৃত্যু নিশ্চিত করে মসজিদের মাইকে ডাকাত হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।"

স্থানীয়রা জানান, নিহত নেজাম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন এবং ৫ আগস্ট ক্ষমতার পরিবর্তনের পর দেশে ফিরে ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

এওচিয়ার এক সাবেক চেয়ারম্যানের মাছের খামার ও ইটভাটা লুটের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তাদের ভাষ্য, সোমবার রাতে কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে নেজাম ও সালেক দলবলসহ ছনখোলা গ্রামে যান।

তারা আরও জানান, সেসময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়, এরপর মসজিদের মাইকে ডাকাতের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঘটনার পর সাতকানিয়া থানার ওসি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা, একটি পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলির খোসা জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, "উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি কোন ইউনিটের অস্ত্র, তা যাচাই করতে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।"

পুলিশ জানায়, নিহত আবু সালেকের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা সহ পাঁচটি মামলা ছিল।

নিহতদের পরিবার ও জামায়াতে ইসলামী দ্রুত এই ঘটনার বিচার দাবি করলেও পুলিশ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মামলা দায়ের করেনি।

ওসি জাহেদুল ইসলাম বলেন, "আমরা সবকিছু যাচাই-বাছাই করছি। বিষয়টি সংবেদনশীল, তাই দ্রুত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়।"

এদিকে, জামায়াতে ইসলামী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, "সরকারের মদদপুষ্ট কিছু ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।"

তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত ঘটনা কী, তা নিয়ে এখনো সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

back to top