চকরিয়া (কক্সবাজার) : ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে দোকানপাট -সংবাদ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের বদরখালী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। খবর পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়। গত সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আবু জাফর বলেন, বদরখালী বাজারস্থ দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভানোর চেষ্ঠা করা হয়। পরে দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, দোকানগুলো আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে অনেক দোকানদার নিঃস্ব হয়ে গেছে। তারা ঈদ উপলক্ষে দোকানে মালামাল তুলেছিল। আগুনে পুড়ে গিয়ে তাদের সহায় সম্বল শেষ হয়ে গেছে।
অপরদিকে সোমবার বিকাল দুইটার দিকে চকরিয়া উপজেলার পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কাসিমআলী সিকদারপাড়া এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরইমধ্যে অগ্নিকাণ্ডে ১৪ বসতবাড়ির মালিকসহ আশপাশের ২৭টি পরিবার কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আগুনে ১৪টি বাড়ি ছাই গেছে। একটি পরিবারও বাড়ি থেকে কোন মালামাল বের করতে পারেনি। এ অবস্থায় পরিবারগুলো সর্বস্বান্ত হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
চকরিয়া উপজেলার পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারহানা আক্তার মুন্না বলেন, তার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কাসিম আলী সিকদারপাড়া এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪টি বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সবাই নিঃস্ব হয়ে গেছে।
গত সোমবার দুপুরে পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। তিনি এসময় তাৎক্ষণিক চকরিয়া উপজেলা
প্রশাসনের পক্ষথেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও কম্বল বিতরণ করেন। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তার আগে ইউএনও মোহাম্মদ আতিকুর রহমান চকরিয়া উপজেলার বদরখালী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে পুড়ে যাওয়া দোকানপাট পরিদর্শন করেন।
চকরিয়া (কক্সবাজার) : ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে দোকানপাট -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের বদরখালী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। খবর পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়। গত সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আবু জাফর বলেন, বদরখালী বাজারস্থ দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভানোর চেষ্ঠা করা হয়। পরে দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, দোকানগুলো আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে অনেক দোকানদার নিঃস্ব হয়ে গেছে। তারা ঈদ উপলক্ষে দোকানে মালামাল তুলেছিল। আগুনে পুড়ে গিয়ে তাদের সহায় সম্বল শেষ হয়ে গেছে।
অপরদিকে সোমবার বিকাল দুইটার দিকে চকরিয়া উপজেলার পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কাসিমআলী সিকদারপাড়া এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরইমধ্যে অগ্নিকাণ্ডে ১৪ বসতবাড়ির মালিকসহ আশপাশের ২৭টি পরিবার কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আগুনে ১৪টি বাড়ি ছাই গেছে। একটি পরিবারও বাড়ি থেকে কোন মালামাল বের করতে পারেনি। এ অবস্থায় পরিবারগুলো সর্বস্বান্ত হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
চকরিয়া উপজেলার পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারহানা আক্তার মুন্না বলেন, তার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কাসিম আলী সিকদারপাড়া এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪টি বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সবাই নিঃস্ব হয়ে গেছে।
গত সোমবার দুপুরে পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। তিনি এসময় তাৎক্ষণিক চকরিয়া উপজেলা
প্রশাসনের পক্ষথেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও কম্বল বিতরণ করেন। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তার আগে ইউএনও মোহাম্মদ আতিকুর রহমান চকরিয়া উপজেলার বদরখালী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে পুড়ে যাওয়া দোকানপাট পরিদর্শন করেন।