ডিমলা (নীলফামারী) : বুড়ি তিস্তা নদীর শৈল্যার ঘাট সেতুর নিচ থেকে দিবালোকে বালু কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে -সংবাদ
নীলফামরীর ডোমার-ডিমলা ও নীলফামারী জেলা সদর সংযোগের একমাত্র পাকা সড়কের বুড়ি তিস্তা নদীর শৈল্যার ঘাট সেতুর নিচ থেকে প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে দিবালোকে অবৈধভাবে বালু কেটে নিয়ে জমজমাট ব্যবসা করছে এক শ্রেণীর অসাধু বালু ব্যবসায়ী চক্র।
তারা মানছেন না কারো বাধা-নিষেধ। সেতুর নিচ থেকে বালু অপসারণের ফলে ব্রিজটি হুমকির মুখে পড়েছে। অপরদিকে বুড়ি তিস্তা নদীর গতি পরিবর্তন হয়ে নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে আবাদি জমি ও চলাচলের পাকা সড়ক। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা থেকে ডোমার উপজেলা এবং নীলফামারী জেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র সংযোগ সড়কের বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতার শৈল্যার ঘাট নামক স্থানে বুড়ি তিস্তা নদীর ওপরে বিগত ২০১৩-২০১৪ ইং অর্থবছরে এলজিইডির অর্থায়নে সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে বুড়ি তিস্তা নদীর ওপরে শৈল্যার ঘাট সেতুটি নির্মাণ করা হয়। প্রতিনিয়ত এই সড়ক দিয়ে ডিমলা-ডোমার উপজেলাসহ নীলফামারী জেলা সদরের সহস্রাধিক লোক ও শত শত পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে।
সম্প্রতি সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শৈল্যার ঘাট সেতুর নিচ থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি ট্রাক্টর/ট্রলি দিয়ে প্রকাশ্যে দিনদুপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধভাবে বালু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেতুর নিচ থেকে বালু-মাটি কেটে ট্রাক্টর, ট্রলিতে করে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন চিহ্নিত একশ্রেণীর অসাধু বালু ব্যবসায়ী চক্র।
চক্রটি এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় প্রকাশ্যে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পান না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে নানাভাবে হয়রানিসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে অভিযোগ করে বলেন, এলাকার প্রভাবশালী চিহ্নিত কতিপয় বালু ব্যবসায়ী সেতুটির নিচ থেকে বালু কেটে নিজস্ব ট্রাক্টর/ট্রলিতে করে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন।
আমরা অনেক চেষ্টা করেও বালু কাটা বন্ধ করতে পারিনিা। উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে বুড়ি তিস্তা নদীর শৈল্যার ঘাট সেতুর নিচ থেকে বালু-মাটি কাটা বন্ধ করা। না হলে সেতুটি আগামী বর্ষা মৌসুমি দেবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ডিমলা উপজেলাবাসীর চলাচলের একমাত্র সড়কের বুড়ি তিস্তা নদীর ওপরে নির্মিত শৈল্যার ঘাট সেতুর নিচ থেকে বালু কাটা দ্রুত বন্ধ করে অসাধু বালু ব্যবসায়ী চক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ডিমলা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী শফিউল ইসলাম বলেন, বুড়ি তিস্তা নদীর শৈল্যার ঘাট সেতুর নিচের মাটি বা বালু অপসারণ করলে সেতুটি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
ভবিষ্যতে নিচে দেবে গিয়ে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনিবার্য।
তিনি আরও বলেন, বালু কাটার কারণে ইতোমধ্যে গত বর্ষা মৌসুম শৈল্যার ঘাট সেতু এলাকায় বুড়ি তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে পাকা সড়কের ২৫০ ফিট ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে।
এর ফলে স্থানীয় লোকজন ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে, জরুরিভাবে বালুর বস্তা দিয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে পাকা সড়কটি সংস্কার করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল মিয়া জানান, বুড়ি তিস্তা নদীর শৈল্যার ঘাট সেতুর নিচ থেকে বালু কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এই বালু কাটার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিমলা (নীলফামারী) : বুড়ি তিস্তা নদীর শৈল্যার ঘাট সেতুর নিচ থেকে দিবালোকে বালু কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
নীলফামরীর ডোমার-ডিমলা ও নীলফামারী জেলা সদর সংযোগের একমাত্র পাকা সড়কের বুড়ি তিস্তা নদীর শৈল্যার ঘাট সেতুর নিচ থেকে প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে দিবালোকে অবৈধভাবে বালু কেটে নিয়ে জমজমাট ব্যবসা করছে এক শ্রেণীর অসাধু বালু ব্যবসায়ী চক্র।
তারা মানছেন না কারো বাধা-নিষেধ। সেতুর নিচ থেকে বালু অপসারণের ফলে ব্রিজটি হুমকির মুখে পড়েছে। অপরদিকে বুড়ি তিস্তা নদীর গতি পরিবর্তন হয়ে নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে আবাদি জমি ও চলাচলের পাকা সড়ক। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা থেকে ডোমার উপজেলা এবং নীলফামারী জেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র সংযোগ সড়কের বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতার শৈল্যার ঘাট নামক স্থানে বুড়ি তিস্তা নদীর ওপরে বিগত ২০১৩-২০১৪ ইং অর্থবছরে এলজিইডির অর্থায়নে সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে বুড়ি তিস্তা নদীর ওপরে শৈল্যার ঘাট সেতুটি নির্মাণ করা হয়। প্রতিনিয়ত এই সড়ক দিয়ে ডিমলা-ডোমার উপজেলাসহ নীলফামারী জেলা সদরের সহস্রাধিক লোক ও শত শত পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে।
সম্প্রতি সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শৈল্যার ঘাট সেতুর নিচ থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি ট্রাক্টর/ট্রলি দিয়ে প্রকাশ্যে দিনদুপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধভাবে বালু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেতুর নিচ থেকে বালু-মাটি কেটে ট্রাক্টর, ট্রলিতে করে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন চিহ্নিত একশ্রেণীর অসাধু বালু ব্যবসায়ী চক্র।
চক্রটি এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় প্রকাশ্যে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পান না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে নানাভাবে হয়রানিসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে অভিযোগ করে বলেন, এলাকার প্রভাবশালী চিহ্নিত কতিপয় বালু ব্যবসায়ী সেতুটির নিচ থেকে বালু কেটে নিজস্ব ট্রাক্টর/ট্রলিতে করে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন।
আমরা অনেক চেষ্টা করেও বালু কাটা বন্ধ করতে পারিনিা। উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে বুড়ি তিস্তা নদীর শৈল্যার ঘাট সেতুর নিচ থেকে বালু-মাটি কাটা বন্ধ করা। না হলে সেতুটি আগামী বর্ষা মৌসুমি দেবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ডিমলা উপজেলাবাসীর চলাচলের একমাত্র সড়কের বুড়ি তিস্তা নদীর ওপরে নির্মিত শৈল্যার ঘাট সেতুর নিচ থেকে বালু কাটা দ্রুত বন্ধ করে অসাধু বালু ব্যবসায়ী চক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ডিমলা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী শফিউল ইসলাম বলেন, বুড়ি তিস্তা নদীর শৈল্যার ঘাট সেতুর নিচের মাটি বা বালু অপসারণ করলে সেতুটি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
ভবিষ্যতে নিচে দেবে গিয়ে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনিবার্য।
তিনি আরও বলেন, বালু কাটার কারণে ইতোমধ্যে গত বর্ষা মৌসুম শৈল্যার ঘাট সেতু এলাকায় বুড়ি তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে পাকা সড়কের ২৫০ ফিট ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে।
এর ফলে স্থানীয় লোকজন ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে, জরুরিভাবে বালুর বস্তা দিয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে পাকা সড়কটি সংস্কার করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল মিয়া জানান, বুড়ি তিস্তা নদীর শৈল্যার ঘাট সেতুর নিচ থেকে বালু কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এই বালু কাটার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।