জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার মহিষ বাথান ঝাড়কাটা নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে স্থানীয় ১৫টি গ্রামের মানুষদেরকে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই এলাকায় গত ৫৫ বছরে অনেক জনপ্রতিনিধি বদল হলেও, কখনইে এই ঝাড়কাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণের কথা কারো মনে পড়েনি। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পার হলেও এখনও ঝাড়কাটা দুই পারের বাসিন্দাদের ভরসা নদীর দুই ধারে খুটি গেড়ে রসি টেনে নৌকা করে নদী পারাপার। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এই নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণ করার জন্য আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া যায়। টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারও নিয়োগ দেয়া হয় তখন। কাজ শুরুর প্রস্তুতিও নেন ঠিকাদার। কিন্তু স্থানীয় দুই নেতার আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি গ্রামের শত শত মানুষ প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু নদীর ওপরে সেতু না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে বাসের সাঁকো এবং বর্ষা মৌসুমে ৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে উপজেলা সদরে যেতে হয় তাদেকে। কোন কোন সময় নৌকাযোগেও পারাপার হতে হয় তাদের। এ সময় স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিশু-কিশোররা স্কুল-কলেজে যাতায়াতের সময় চরম ভোগান্তির শিকার হয়। এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য সঠিক সময়ে বাজারজাত করাও অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে স্থানীয় কৃষকদের জন্য। গরু-ছাগল পারাপার করতে কৃষকদেরকে হতে হয় বিভিন্ন বিড়ম্বনার শিকার। ডাকাবর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম, মোসলেম উদ্দিন, সোলাইমান, শহিদুল ইসলাম এবং মোতালেব হোসেনসহ গ্রামবাসীরা বলেন, নির্বাচনের সময় সবাই এই নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণ করে দেয়ার নাম করে শুধু আমাদের ভোটই নেয়। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর আমাদের কোন খোঁজ-খবরও নেন না। এই নদীর ওপরে একটি সেতুর অভাবে স্থানীয় ১৫টি গ্রামের মানুষদেরকে প্রতিদিন চলাচলের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় জনগণের এই দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করতে জরুরিভিত্তিতে ঝাড়কাটা নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণ করে দেয়ার দাবি জানান গ্রামবাসী।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কড়ইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, ঝাড়কাটা নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণের দাবি ওঠে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই। এই নদীতে সেতু নির্মাণ করার বিষয়ে বিভিন্ন সময় উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় আবেদন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজও সেই আশ্বাস বাস্তবে র্রপ নেয়নি।
মাদারগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া তমাল বলেন, ঝাড়কাটা নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণ করার বিষয়ে প্রকল্প প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে এই নদীর ওপরে সেতু নির্মাণ করে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার মহিষ বাথান ঝাড়কাটা নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে স্থানীয় ১৫টি গ্রামের মানুষদেরকে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই এলাকায় গত ৫৫ বছরে অনেক জনপ্রতিনিধি বদল হলেও, কখনইে এই ঝাড়কাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণের কথা কারো মনে পড়েনি। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পার হলেও এখনও ঝাড়কাটা দুই পারের বাসিন্দাদের ভরসা নদীর দুই ধারে খুটি গেড়ে রসি টেনে নৌকা করে নদী পারাপার। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এই নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণ করার জন্য আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া যায়। টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারও নিয়োগ দেয়া হয় তখন। কাজ শুরুর প্রস্তুতিও নেন ঠিকাদার। কিন্তু স্থানীয় দুই নেতার আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি গ্রামের শত শত মানুষ প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু নদীর ওপরে সেতু না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে বাসের সাঁকো এবং বর্ষা মৌসুমে ৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে উপজেলা সদরে যেতে হয় তাদেকে। কোন কোন সময় নৌকাযোগেও পারাপার হতে হয় তাদের। এ সময় স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিশু-কিশোররা স্কুল-কলেজে যাতায়াতের সময় চরম ভোগান্তির শিকার হয়। এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য সঠিক সময়ে বাজারজাত করাও অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে স্থানীয় কৃষকদের জন্য। গরু-ছাগল পারাপার করতে কৃষকদেরকে হতে হয় বিভিন্ন বিড়ম্বনার শিকার। ডাকাবর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম, মোসলেম উদ্দিন, সোলাইমান, শহিদুল ইসলাম এবং মোতালেব হোসেনসহ গ্রামবাসীরা বলেন, নির্বাচনের সময় সবাই এই নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণ করে দেয়ার নাম করে শুধু আমাদের ভোটই নেয়। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর আমাদের কোন খোঁজ-খবরও নেন না। এই নদীর ওপরে একটি সেতুর অভাবে স্থানীয় ১৫টি গ্রামের মানুষদেরকে প্রতিদিন চলাচলের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় জনগণের এই দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করতে জরুরিভিত্তিতে ঝাড়কাটা নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণ করে দেয়ার দাবি জানান গ্রামবাসী।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কড়ইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, ঝাড়কাটা নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণের দাবি ওঠে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই। এই নদীতে সেতু নির্মাণ করার বিষয়ে বিভিন্ন সময় উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় আবেদন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজও সেই আশ্বাস বাস্তবে র্রপ নেয়নি।
মাদারগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া তমাল বলেন, ঝাড়কাটা নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণ করার বিষয়ে প্রকল্প প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে এই নদীর ওপরে সেতু নির্মাণ করে দেয়া হবে।