সিলেটের জাফলং এবং কোম্পানীগঞ্জে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন এবং দখলবাজিকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার রাতে পৃথক এই দুই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, রোববার রাত ৮টায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং সাইট দখলকে কেন্দ্র করে জাফলং ইসিএভুক্ত এলাকার জিরো পয়েন্টে দুই দখলবাজ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় কামাল হোসেন মেম্বার ও লাখের পার গ্রামের আব্দুল হেকিম দুগ্রুপের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়। উপজেলার ২নং পশ্চিম জাফলং ইউপির ৪নং ওয়ার্ড সদস্য কামাল হোসেন বলেন, লাখের পার গ্রামের হেকিম মিয়া ও মোহাম্মদপুরের সুমন শিকদারসহ অর্ধশত লোকজন দিন-রাত জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে ট্রাক ভর্তি করে বালু-পাথর নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে বারবার প্রতিবাদ করে আসছি। রাতে লোকজন নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে হেকিম ও সুমন শিকদারের লোকেরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের পক্ষের ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সুস্থ হয়ে থানায় মামলা করবেন বলে জানান তিনি। গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকারি জায়গা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং বালুর সাইট দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ চলাকালে পাথরের আঘাতে একজনের মাথা ফেটে গেছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে, একই দিন কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলার মাজার সংলগ্ন কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ২ পক্ষের প্রায় ৬ জন ও সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ১ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হুশিয়ার আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল করিম, মাসুক মিয়া, আবুল হোসেন, আব্দুর রহিম, রমজান আলী। তাদের মারামারি থামাতে গিয়ে আহত হোন বাবুলনগর গ্রামের জুয়েল আহমদ। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে শাহ আরেফিন টিলার মাজার মাঠ মসজিদ ও কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন চলছে। এসব জায়গা থেকে পাথর উত্তোলনকে কেন্দ্র করে জালিয়ারপাড় ও শাহ আরেফিন বাজার এলাকায় বেশ কয়েকবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রোববার সকালে শাহ আরেফিন টিলার কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন করতে শুরু করেন আওয়ামিলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হুশিয়ার আলী ও বশর মিয়া গ্রুপ। এর আগে তারা মাজার মসজিদ মাঠ ও কবরস্থানের বেশিরভাগ জায়গায় থেকে পাথর উত্তোলন করে বিলীন করে দিয়েছেন। কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলনে জালিয়ারপাড়ের মাসুক মিয়ার মাধ্যমে বাধা দেওয়ান আওয়ামিলীগ নেতা আব্দুল করিম সহ জালিয়ারপাড় গ্রামের মুরব্বিরা। এতে হুশিয়ার আলী ও বশর মিয়া গ্রুপ ক্ষিপ্ত হয়। এদিন সন্ধ্যার পর মাসুক মিয়া শাহ আরেফিন বাজারে গেলে তার উপর চড়াও হয় হুশিয়ার-বশর গ্রুপ। এর কিছুক্ষণ পর আব্দুল করিম সহ অন্যরা বাজারে গেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হোন।
তাদের মধ্যে আব্দুল করিম, আবুল হোসেন, হুশিয়ার আলী, ও জুয়েল আহমদকে সিলেটে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সংঘর্ষের সময় বশর মিয়া পেলুডার দিয়ে বাজারের কয়েকটি দোকান ভাংচুর করেন। পরে স্থানীয় মুরব্বি ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মারামারি বন্ধ করতে সক্ষম হয়। এ বিষয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ঐ এলাকায় কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ টহল দিচ্ছে।
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
সিলেটের জাফলং এবং কোম্পানীগঞ্জে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন এবং দখলবাজিকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার রাতে পৃথক এই দুই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, রোববার রাত ৮টায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং সাইট দখলকে কেন্দ্র করে জাফলং ইসিএভুক্ত এলাকার জিরো পয়েন্টে দুই দখলবাজ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় কামাল হোসেন মেম্বার ও লাখের পার গ্রামের আব্দুল হেকিম দুগ্রুপের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়। উপজেলার ২নং পশ্চিম জাফলং ইউপির ৪নং ওয়ার্ড সদস্য কামাল হোসেন বলেন, লাখের পার গ্রামের হেকিম মিয়া ও মোহাম্মদপুরের সুমন শিকদারসহ অর্ধশত লোকজন দিন-রাত জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে ট্রাক ভর্তি করে বালু-পাথর নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে বারবার প্রতিবাদ করে আসছি। রাতে লোকজন নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে হেকিম ও সুমন শিকদারের লোকেরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের পক্ষের ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সুস্থ হয়ে থানায় মামলা করবেন বলে জানান তিনি। গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকারি জায়গা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং বালুর সাইট দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ চলাকালে পাথরের আঘাতে একজনের মাথা ফেটে গেছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে, একই দিন কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলার মাজার সংলগ্ন কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ২ পক্ষের প্রায় ৬ জন ও সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ১ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হুশিয়ার আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল করিম, মাসুক মিয়া, আবুল হোসেন, আব্দুর রহিম, রমজান আলী। তাদের মারামারি থামাতে গিয়ে আহত হোন বাবুলনগর গ্রামের জুয়েল আহমদ। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে শাহ আরেফিন টিলার মাজার মাঠ মসজিদ ও কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন চলছে। এসব জায়গা থেকে পাথর উত্তোলনকে কেন্দ্র করে জালিয়ারপাড় ও শাহ আরেফিন বাজার এলাকায় বেশ কয়েকবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রোববার সকালে শাহ আরেফিন টিলার কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন করতে শুরু করেন আওয়ামিলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হুশিয়ার আলী ও বশর মিয়া গ্রুপ। এর আগে তারা মাজার মসজিদ মাঠ ও কবরস্থানের বেশিরভাগ জায়গায় থেকে পাথর উত্তোলন করে বিলীন করে দিয়েছেন। কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলনে জালিয়ারপাড়ের মাসুক মিয়ার মাধ্যমে বাধা দেওয়ান আওয়ামিলীগ নেতা আব্দুল করিম সহ জালিয়ারপাড় গ্রামের মুরব্বিরা। এতে হুশিয়ার আলী ও বশর মিয়া গ্রুপ ক্ষিপ্ত হয়। এদিন সন্ধ্যার পর মাসুক মিয়া শাহ আরেফিন বাজারে গেলে তার উপর চড়াও হয় হুশিয়ার-বশর গ্রুপ। এর কিছুক্ষণ পর আব্দুল করিম সহ অন্যরা বাজারে গেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হোন।
তাদের মধ্যে আব্দুল করিম, আবুল হোসেন, হুশিয়ার আলী, ও জুয়েল আহমদকে সিলেটে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সংঘর্ষের সময় বশর মিয়া পেলুডার দিয়ে বাজারের কয়েকটি দোকান ভাংচুর করেন। পরে স্থানীয় মুরব্বি ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মারামারি বন্ধ করতে সক্ষম হয়। এ বিষয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ঐ এলাকায় কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ টহল দিচ্ছে।