রংপুরের পীরগাছায় কাগজে-কলমে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেও বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব নেই! বরাদ্দকৃত অর্থের পুরোটা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে তারা এসব উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পীরগাছা উপজেলা পরিষদের রেজুলেশনে পারুল ইউনিয়নের দক্ষিণ দেউতি নুরির বাড়ির সামনে কালীমন্দির মোড়ে, সুন্দর পাকা রাস্তা সংলগ্ন শামসুল মেকারের বাড়ির সামনের মোড়ে ও পশ্চিম মনুচ্ছড়ায় সেকেন্দারের দোকানের সামনের মোড়ে জনসাধারণের ব্যাবহারের জন্য তিনটি স্থানে গণশৌচাগার নির্মাণের জন্য ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭০০ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে এসব শৌচাগারের কোনো অস্তিত্ব নেই!
ইটাকুমারি ইউনিয়ন পরিষদের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য ১ লাখ ৬৪ হাজার ১০০ টাকা ব্যয়ে আইপিএস, মনিটর ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে শুধু ছয়টি ক্যামেরা এসেছে, যা এখনো কার্টনবন্দি অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা এগুলো যে কোনো সময় বিক্রি হয়ে যেতে পারে।
কল্যাণী ইউনিয়ন পরিষদের সামনের পুকুর কেন্দ্রিক একাধিক প্রকল্প দেখানো হলেও বাস্তবায়ন নেই।
এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকারি প্রকল্পের নামে শুধু টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। আমরা জনগণ কিছুই পাইনি!’
স্থানীয়রা জানান, প্রকল্পের টাকায় জনগণের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন না করে কিছু ব্যক্তি ও রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের জন্য ‘প্রেস্টিজ’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
মহিষমুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ১০০ মিটার কাঁচা রাস্তা রেখে ছাত্রলীগ নেতা আল নাহিয়ান অভির বাড়ির উঠান পর্যন্ত পাকা রাস্তা করা হয়। অথচ দুই পাশের রাস্তা কাঁচা রয়ে গেছে।
ছাওলা ইউনিয়নের আদম গ্রামের সবুজ পাড়ায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও পাঠাগারের সভাপতির বাড়িতে যাওয়ার জন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির ওপর দিয়ে ১৫০ ফুট রাস্তা পাকা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন দুর্নীতির খবর যাতে বাইরে না যায়, সে জন্যই এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
কল্যাণী ইউনিয়নের তরোণির ভিটা কবরস্থান ও তৈয়ব মৌজার বালাচাটা হাফিজিয়া মাদ্রাসার নামে প্রকল্প বরাদ্দ দেখানো হলেও, বাস্তবে এমন কোনো প্রতিষ্ঠানই নেই। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুমন মির্জা বলেন, আমাদের এলাকায় বালাচাটা হাফিজিয়া মাদ্রাসা বলে কিছু নেই।
অবিলম্বে দুর্নীতির তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, ‘সরকার কি এসব দেখেও নীরব থাকবে? জনগণের টাকা লুটকারীদের কি বিচার হবে না। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন এর সাথে সাক্ষাতে গণশৌচাগারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর নিকট হতে তথ্য নিতে বলেন। অন্য কোন বিষয়ে কথা বলতে রাজী হননি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সানোয়ার মোরশেদ বলেন, ওই গণশৌচাগার আমার দপ্তরের কাজ না। নির্বাহী অফিসার কেন আমার কথা বলেছেন সেটা তিনি ভালো জানেন।
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
রংপুরের পীরগাছায় কাগজে-কলমে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেও বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব নেই! বরাদ্দকৃত অর্থের পুরোটা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে তারা এসব উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পীরগাছা উপজেলা পরিষদের রেজুলেশনে পারুল ইউনিয়নের দক্ষিণ দেউতি নুরির বাড়ির সামনে কালীমন্দির মোড়ে, সুন্দর পাকা রাস্তা সংলগ্ন শামসুল মেকারের বাড়ির সামনের মোড়ে ও পশ্চিম মনুচ্ছড়ায় সেকেন্দারের দোকানের সামনের মোড়ে জনসাধারণের ব্যাবহারের জন্য তিনটি স্থানে গণশৌচাগার নির্মাণের জন্য ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭০০ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে এসব শৌচাগারের কোনো অস্তিত্ব নেই!
ইটাকুমারি ইউনিয়ন পরিষদের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য ১ লাখ ৬৪ হাজার ১০০ টাকা ব্যয়ে আইপিএস, মনিটর ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে শুধু ছয়টি ক্যামেরা এসেছে, যা এখনো কার্টনবন্দি অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা এগুলো যে কোনো সময় বিক্রি হয়ে যেতে পারে।
কল্যাণী ইউনিয়ন পরিষদের সামনের পুকুর কেন্দ্রিক একাধিক প্রকল্প দেখানো হলেও বাস্তবায়ন নেই।
এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকারি প্রকল্পের নামে শুধু টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। আমরা জনগণ কিছুই পাইনি!’
স্থানীয়রা জানান, প্রকল্পের টাকায় জনগণের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন না করে কিছু ব্যক্তি ও রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের জন্য ‘প্রেস্টিজ’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
মহিষমুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ১০০ মিটার কাঁচা রাস্তা রেখে ছাত্রলীগ নেতা আল নাহিয়ান অভির বাড়ির উঠান পর্যন্ত পাকা রাস্তা করা হয়। অথচ দুই পাশের রাস্তা কাঁচা রয়ে গেছে।
ছাওলা ইউনিয়নের আদম গ্রামের সবুজ পাড়ায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও পাঠাগারের সভাপতির বাড়িতে যাওয়ার জন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির ওপর দিয়ে ১৫০ ফুট রাস্তা পাকা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন দুর্নীতির খবর যাতে বাইরে না যায়, সে জন্যই এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
কল্যাণী ইউনিয়নের তরোণির ভিটা কবরস্থান ও তৈয়ব মৌজার বালাচাটা হাফিজিয়া মাদ্রাসার নামে প্রকল্প বরাদ্দ দেখানো হলেও, বাস্তবে এমন কোনো প্রতিষ্ঠানই নেই। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুমন মির্জা বলেন, আমাদের এলাকায় বালাচাটা হাফিজিয়া মাদ্রাসা বলে কিছু নেই।
অবিলম্বে দুর্নীতির তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, ‘সরকার কি এসব দেখেও নীরব থাকবে? জনগণের টাকা লুটকারীদের কি বিচার হবে না। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন এর সাথে সাক্ষাতে গণশৌচাগারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর নিকট হতে তথ্য নিতে বলেন। অন্য কোন বিষয়ে কথা বলতে রাজী হননি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সানোয়ার মোরশেদ বলেন, ওই গণশৌচাগার আমার দপ্তরের কাজ না। নির্বাহী অফিসার কেন আমার কথা বলেছেন সেটা তিনি ভালো জানেন।