শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর টাঙ্গাইলে অন্যান্য সমন্বয়কদের থেকে নিজেকে আলাদা করে নিজের অনুসারীদের নিয়ে সক্রিয় হন মারইয়াম মুকাদ্দাস (মিষ্টি)। তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন সভায় সমন্বয়ক পরিচয়ে অংশ নিতেন এবং কথায় কথায় আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার হুমকি দিতেন। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায়ও তাঁর নেতৃত্বের অভিযোগ রয়েছে।
সর্বশেষ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়ি দখল করে ‘পাগলের আশ্রম’ চালুর ঘটনায় মারইয়াম মুকাদ্দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে সদর থানার একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খানের করা মামলায় সোমবার (১০ মার্চ) আদালত তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
মারইয়াম মুকাদ্দাসের বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার যশিহাটী গ্রামে। নিজেকে তিনি আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক বলে পরিচয় দেন। তবে বর্তমানে তিনি সংগঠনটির কোনো কমিটিতে নেই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, গত জুলাই মাসে কোটা বাতিলের আন্দোলনে মারইয়াম যুক্ত হন। তবে শুরু থেকেই তাঁর আচরণ ছিল সন্দেহজনক। তিনি কখনো নিজেকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, কখনো সরকারি এম এম আলী কলেজের, আবার কখনো ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিতেন।
সরকার পতনের পর উগ্র বক্তব্য দেওয়ায় তিনি নজরে আসেন। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকায় আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তবে সমন্বয়ক পরিচয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের বিভিন্ন সভায় তাঁকে অংশ নিতে দেখা গেছে। তিনি এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মারইয়াম তাঁর অনুসারীদের নিয়ে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত সভাপতি ফজলুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এবং সাবেক পৌর মেয়র জামিলুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর করেন। সেসময় এসব বাড়ির মালামাল লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িও ভাঙচুরের ঘোষণা দেন মারইয়াম মুকাদ্দাস।
গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন, যেখানে উল্লেখ করেন—জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বাসা ‘পাগলের আশ্রম’, প্রয়াত সভাপতি ফজলুর রহমান খানের বাসা ‘প্রতিবন্ধীদের আশ্রম’, সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বাসা ‘অ্যানিমেল শেল্টার’, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামানের বাসা ‘বৃদ্ধ আশ্রম’, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের বাসা ‘এতিমখানা’ এবং আওয়ামী লীগ অফিসকে ‘পাবলিক টয়লেট’ বানানোর পরিকল্পনার কথা।
এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (৯ মার্চ) তিনি টাঙ্গাইল শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়িতে ১৮ জন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী-পুরুষকে নিয়ে ওঠেন এবং ‘পাগলের আশ্রম’ চালুর ঘোষণা দেন।
এ ঘটনায় জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খানের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, শনিবার বেলা ১১টার দিকে মারইয়াম ও তাঁর অনুসারীরা কলাপসিবল ফটকের ছয়টি তালা ভেঙে পাঁচতলা ভবনে প্রবেশ করেন। তারা নগদ পাঁচ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যান এবং আসবাব ভাঙচুর করে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁরা ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিন্নমূল মানুষকে ভবনের কক্ষে প্রবেশ করিয়ে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রওশন আরা খান বাসায় গেলে মারইয়াম ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, “এই বাড়িতে থাকতে হলে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় সাত দিনের মধ্যে বাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হবে।”
পরে রাতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাড়িটি খালি করে দেয়।
বাড়ি ভাঙচুর ও দখলের হুমকির ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মামলা দায়েরের চিন্তাভাবনা করছেন, তবে সরকারের পতনের পর থেকে পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তার কারণে আত্মগোপনে থাকায় দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
তাঁরা অভিযোগ করেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি কয়েক ঘণ্টা ধরে মারইয়াম আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। কিন্তু প্রশাসন তখন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে আরও সাহস পেয়ে তিনি পরে বাড়ি দখলেও এগিয়ে যান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইল শাখার সদস্যসচিব আবু আহমেদ শেরশাহ স্পষ্টভাবে বলেছেন, মারইয়ামের কর্মকাণ্ডের দায় তারা নেবেন না।
তিনি বলেন, “ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ যদি অপরাধ করে, চাঁদাবাজি বা দখলদারিতে যুক্ত হয়, তাহলে তার দায় সংগঠনের নয়। এই দায়ভার সম্পূর্ণ তার নিজের।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকেই জুলাই–আগস্টের আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে মারইয়াম মুকাদ্দাসও ছিলেন। তবে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো কমিটির সদস্য নন।”
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মদ জানান, কী উদ্দেশ্যে মারইয়াম বাড়ি দখল ও ভাঙচুর করেছেন, তা জানতে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
তদন্তকারীরা দেখছেন, এই ঘটনার পেছনে কারও ইন্ধন ছিল কি না। পাশাপাশি, আরও কোনো ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় দলীয় নেতাদের পক্ষ থেকে আরও মামলা দায়ের হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকার কারণে মারইয়াম এতদূর যেতে পেরেছেন। তারা চান, এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর টাঙ্গাইলে অন্যান্য সমন্বয়কদের থেকে নিজেকে আলাদা করে নিজের অনুসারীদের নিয়ে সক্রিয় হন মারইয়াম মুকাদ্দাস (মিষ্টি)। তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন সভায় সমন্বয়ক পরিচয়ে অংশ নিতেন এবং কথায় কথায় আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার হুমকি দিতেন। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায়ও তাঁর নেতৃত্বের অভিযোগ রয়েছে।
সর্বশেষ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়ি দখল করে ‘পাগলের আশ্রম’ চালুর ঘটনায় মারইয়াম মুকাদ্দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে সদর থানার একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খানের করা মামলায় সোমবার (১০ মার্চ) আদালত তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
মারইয়াম মুকাদ্দাসের বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার যশিহাটী গ্রামে। নিজেকে তিনি আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক বলে পরিচয় দেন। তবে বর্তমানে তিনি সংগঠনটির কোনো কমিটিতে নেই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, গত জুলাই মাসে কোটা বাতিলের আন্দোলনে মারইয়াম যুক্ত হন। তবে শুরু থেকেই তাঁর আচরণ ছিল সন্দেহজনক। তিনি কখনো নিজেকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, কখনো সরকারি এম এম আলী কলেজের, আবার কখনো ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিতেন।
সরকার পতনের পর উগ্র বক্তব্য দেওয়ায় তিনি নজরে আসেন। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকায় আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তবে সমন্বয়ক পরিচয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের বিভিন্ন সভায় তাঁকে অংশ নিতে দেখা গেছে। তিনি এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মারইয়াম তাঁর অনুসারীদের নিয়ে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত সভাপতি ফজলুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এবং সাবেক পৌর মেয়র জামিলুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর করেন। সেসময় এসব বাড়ির মালামাল লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িও ভাঙচুরের ঘোষণা দেন মারইয়াম মুকাদ্দাস।
গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন, যেখানে উল্লেখ করেন—জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বাসা ‘পাগলের আশ্রম’, প্রয়াত সভাপতি ফজলুর রহমান খানের বাসা ‘প্রতিবন্ধীদের আশ্রম’, সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বাসা ‘অ্যানিমেল শেল্টার’, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামানের বাসা ‘বৃদ্ধ আশ্রম’, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের বাসা ‘এতিমখানা’ এবং আওয়ামী লীগ অফিসকে ‘পাবলিক টয়লেট’ বানানোর পরিকল্পনার কথা।
এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (৯ মার্চ) তিনি টাঙ্গাইল শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়িতে ১৮ জন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী-পুরুষকে নিয়ে ওঠেন এবং ‘পাগলের আশ্রম’ চালুর ঘোষণা দেন।
এ ঘটনায় জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খানের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, শনিবার বেলা ১১টার দিকে মারইয়াম ও তাঁর অনুসারীরা কলাপসিবল ফটকের ছয়টি তালা ভেঙে পাঁচতলা ভবনে প্রবেশ করেন। তারা নগদ পাঁচ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যান এবং আসবাব ভাঙচুর করে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁরা ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিন্নমূল মানুষকে ভবনের কক্ষে প্রবেশ করিয়ে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রওশন আরা খান বাসায় গেলে মারইয়াম ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, “এই বাড়িতে থাকতে হলে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় সাত দিনের মধ্যে বাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হবে।”
পরে রাতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাড়িটি খালি করে দেয়।
বাড়ি ভাঙচুর ও দখলের হুমকির ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মামলা দায়েরের চিন্তাভাবনা করছেন, তবে সরকারের পতনের পর থেকে পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তার কারণে আত্মগোপনে থাকায় দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
তাঁরা অভিযোগ করেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি কয়েক ঘণ্টা ধরে মারইয়াম আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। কিন্তু প্রশাসন তখন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে আরও সাহস পেয়ে তিনি পরে বাড়ি দখলেও এগিয়ে যান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইল শাখার সদস্যসচিব আবু আহমেদ শেরশাহ স্পষ্টভাবে বলেছেন, মারইয়ামের কর্মকাণ্ডের দায় তারা নেবেন না।
তিনি বলেন, “ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ যদি অপরাধ করে, চাঁদাবাজি বা দখলদারিতে যুক্ত হয়, তাহলে তার দায় সংগঠনের নয়। এই দায়ভার সম্পূর্ণ তার নিজের।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকেই জুলাই–আগস্টের আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে মারইয়াম মুকাদ্দাসও ছিলেন। তবে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো কমিটির সদস্য নন।”
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মদ জানান, কী উদ্দেশ্যে মারইয়াম বাড়ি দখল ও ভাঙচুর করেছেন, তা জানতে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
তদন্তকারীরা দেখছেন, এই ঘটনার পেছনে কারও ইন্ধন ছিল কি না। পাশাপাশি, আরও কোনো ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় দলীয় নেতাদের পক্ষ থেকে আরও মামলা দায়ের হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকার কারণে মারইয়াম এতদূর যেতে পেরেছেন। তারা চান, এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।