alt

সারাদেশ

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হারিকেন এখন স্মৃতি

সাইফুল বারী ডাবলু, শেরপুর (বগুড়া) : শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হারিকেন শিল্পের স্থান (জায়গা) দখল করে নিয়েছে বিজ্ঞান যুগের বিদ্যুৎ ও সোলার লাইট। ফলে কালের গ্রোতে হারিয়ে যেতে বসেছে এক সময়ের ক্ষুদ্র শিল্প হারিকেন। গ্রাম বাংলার কৃষান-কৃষানি, ছাত্রছাত্রী, শ্রমিক-জনতাসহ সব স্তরের মাঝেই ছিল হারিকেন, সেই আলোকিত বাতি এখন বিলুপ্তির পথে।

প্রতিদিন সন্ধ্যার পর হতেই রাতের অন্ধকার দূর করতে একটা সময় দেশের প্রতিটি গ্রামের মানুষের অন্যতম ভরসা ছিল হারিকেন, দোয়াত ও কুপি বাতি। ৯০ দশকের পূর্বে ও কিছুকাল পর দেশে বিদেশে নানা পেশায় উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত থাকাদের মধ্যে অনেকেই পড়ালেখা করেছেন এই হারিকেনের মৃদু আলোয়। গৃহস্থালি এবং ব্যবসার কাজেও হারিকেনের ছিল ব্যাপক চাহিদা।

বিয়ে জন্মদিন বা পারিবারিক কোন অনুষ্ঠানে লোকের সমাগম বেশি হলে ব্যবহার হতো হ্যাজাক লাইটের পাশাপাশি জমা রাখা হতো এই হারিকেন। যুগের পরিবর্তনের পাশাপাশি হারিকেনের স্থান দখল করেছে নানা ধরনের বৈদ্যুতিক, রিচার্জার বাতি। বৈদু্যুতিক ও চায়না বাতির কারণে গ্রাম ও শহরে হারিকেনের ব্যবহার বন্ধ হয়েছে। সেই আলোর প্রদীপ হারিকেন এখন গ্রাম থেকেও প্রায় বিলুপ্ত হচ্ছে।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, হারিকেন জ্বালিয়েই বাড়ির উঠানে বা বারান্দায় পড়াশোনা করত শিক্ষার্থীরা। রাতের বেলায় পথ চলার জন্য ব্যবহার করা হত হারিকেন, প্রখ্যাত ডাক হরকরা এক হাতে চিঠির বক্স, অন্য হাতে ফলা ও হারিকেন নিয়ে পথ চলা আজ কালের গর্ভে বিলীন হয়েছে। হারিকেনের জ্বালানি হিসেবে কেরোসিন তেল (ডিজেল) আনার জন্য প্রায় বাড়িতেই থাকত কাচের বিশেষ ধরনের বোতল। সেই বোতলে রশি লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হতো বাড়ির নিদিষ্ট স্থানে। গ্রামগঞ্জের হাটের দিনে সেই রশিতে ঝোলানো বোতল হাতে নিয়ে যেতে হতো হাট-বাজারে। এ দৃশ্য বেশি দিন আগের নয়। আধুনিক বিজ্ঞানের ছোঁয়া পল্লী বিদ্যুতায়নের যুগে এখন আর এমন দৃশ্য চোখে পড়ে না। বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্য দোয়াত, কুপি ও হারিকেন এখন শুধুই স্মৃতি হিসেবে অনেকের বাড়িতেই দেখা যায় তবে অনাদর আর অবহেলার পাত্র হিসেবে। দিন দিন প্রযুক্তির উন্নতি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য এখন আর হারিকেন, দোয়াত, কুপি বাতি বা হ্যাজাকের ব্যবহার না করলেও স্মৃতি হিসেবে রেখে দিয়েছেন অনেকেই। কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুরই পরিবর্তন ঘটেছে।

সিলেটে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১০

ফরিদপুরে আলু বোঝাই ট্রাকের চাপায় নিহত ১

ছবি

ইফতার মাহফিলে পদপিষ্ট হয়ে বৃদ্ধ রোহিঙ্গার মৃত্যু, গুরুতর আহত ২

জামালপুরে পুলিশের গাড়ি থেকে আটক ব্যক্তিকে নামিয়ে নিলেন এলাকার লোকজন

চিতলমারীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা গ্রেপ্তার ৩

হিলিতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম

ছবি

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের দাবি

ভোটার হতে গিয়ে রোহিঙ্গা দম্পতি আটক

লক্ষ্মীপুরে হাসপাতাল থেকে ৭ দালাল আটক

ছবি

অবশেষে গোবিন্দগঞ্জবাসী পেল ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি

চুনারুঘাট সীমান্তে আতশবাজি জব্দ

হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

দুই মাদক কারবারির জেল ও জরিমানা

মহেশপুরে জামায়াত ও বিএনপি সংঘর্ষ আহত ৬

দুই জেলায় তরুণ ও কিশোরীর আত্মহত্যা

আমতলীতে ৩ ইটভাটা বন্ধ, ৪ ভাটায় জরিমানা

ছবি

সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া পরিচয়পত্র ও সনদ, প্রতারণার শিকার ১৫০ জন

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনে উপকূলীয় মোরেলগঞ্জে গ্রামীণ জনপদের জীবনযাত্রা

ছবি

বরুড়ায় থাইল্যান্ডের বিটরুট চাষে সফল জাকির

ছবি

মৌলভীবাজারের আম বাগানগুলো মুকুলে মুকুলে ভরে উঠেছে

জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা অন্যত্র স্থানান্তরের পরিকল্পনার প্রতিবাদে গৌরীপুরে মানববন্ধন

পোরশায় মৌমাছির কামড়ে আহত ২০

রংপুরে আ,লীগ নেত্রীকে মামলা থেকে বাদ দিতে পুলিশ কর্মকর্তার নামে ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, পুলিশ কর্মকর্তাকে রাতারাতি বদলী

৩ সন্তান নিয়ে স্বামী বিপাকে তালায় পরকীয়ার জেরে স্বামীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগ

নাজিরপুরে জমি-জমার বিরোধে প্রতিমা ভাঙচুর

ডিমলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

নওগাঁয় ঠিকাদার নিয়োগে আটকে আছে প্রশস্তকরণ কাজ, ঘটছে দুর্ঘটনা

চাটখিলে আ’লীগ নেতার ১০ বছরের জেল

বাগেরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

জিয়া মঞ্চের সভাপতিকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

নারায়ণগঞ্জে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ২ মামলা, গ্রেপ্তার ১

মধুখালীতে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে হেলপার নিহত

ছবি

রায়পুরে শিশুখাদ্যে ভেজাল, জরিমানা, গোডাউন সিলগালা

নারী ও শিশু নির্যাতনে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে তালায় মানববন্ধন

ছাড়া মেলে না সয়াবিন তেল

মির্জাগঞ্জে ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা 

tab

সারাদেশ

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হারিকেন এখন স্মৃতি

সাইফুল বারী ডাবলু, শেরপুর (বগুড়া)

শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হারিকেন শিল্পের স্থান (জায়গা) দখল করে নিয়েছে বিজ্ঞান যুগের বিদ্যুৎ ও সোলার লাইট। ফলে কালের গ্রোতে হারিয়ে যেতে বসেছে এক সময়ের ক্ষুদ্র শিল্প হারিকেন। গ্রাম বাংলার কৃষান-কৃষানি, ছাত্রছাত্রী, শ্রমিক-জনতাসহ সব স্তরের মাঝেই ছিল হারিকেন, সেই আলোকিত বাতি এখন বিলুপ্তির পথে।

প্রতিদিন সন্ধ্যার পর হতেই রাতের অন্ধকার দূর করতে একটা সময় দেশের প্রতিটি গ্রামের মানুষের অন্যতম ভরসা ছিল হারিকেন, দোয়াত ও কুপি বাতি। ৯০ দশকের পূর্বে ও কিছুকাল পর দেশে বিদেশে নানা পেশায় উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত থাকাদের মধ্যে অনেকেই পড়ালেখা করেছেন এই হারিকেনের মৃদু আলোয়। গৃহস্থালি এবং ব্যবসার কাজেও হারিকেনের ছিল ব্যাপক চাহিদা।

বিয়ে জন্মদিন বা পারিবারিক কোন অনুষ্ঠানে লোকের সমাগম বেশি হলে ব্যবহার হতো হ্যাজাক লাইটের পাশাপাশি জমা রাখা হতো এই হারিকেন। যুগের পরিবর্তনের পাশাপাশি হারিকেনের স্থান দখল করেছে নানা ধরনের বৈদ্যুতিক, রিচার্জার বাতি। বৈদু্যুতিক ও চায়না বাতির কারণে গ্রাম ও শহরে হারিকেনের ব্যবহার বন্ধ হয়েছে। সেই আলোর প্রদীপ হারিকেন এখন গ্রাম থেকেও প্রায় বিলুপ্ত হচ্ছে।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, হারিকেন জ্বালিয়েই বাড়ির উঠানে বা বারান্দায় পড়াশোনা করত শিক্ষার্থীরা। রাতের বেলায় পথ চলার জন্য ব্যবহার করা হত হারিকেন, প্রখ্যাত ডাক হরকরা এক হাতে চিঠির বক্স, অন্য হাতে ফলা ও হারিকেন নিয়ে পথ চলা আজ কালের গর্ভে বিলীন হয়েছে। হারিকেনের জ্বালানি হিসেবে কেরোসিন তেল (ডিজেল) আনার জন্য প্রায় বাড়িতেই থাকত কাচের বিশেষ ধরনের বোতল। সেই বোতলে রশি লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হতো বাড়ির নিদিষ্ট স্থানে। গ্রামগঞ্জের হাটের দিনে সেই রশিতে ঝোলানো বোতল হাতে নিয়ে যেতে হতো হাট-বাজারে। এ দৃশ্য বেশি দিন আগের নয়। আধুনিক বিজ্ঞানের ছোঁয়া পল্লী বিদ্যুতায়নের যুগে এখন আর এমন দৃশ্য চোখে পড়ে না। বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্য দোয়াত, কুপি ও হারিকেন এখন শুধুই স্মৃতি হিসেবে অনেকের বাড়িতেই দেখা যায় তবে অনাদর আর অবহেলার পাত্র হিসেবে। দিন দিন প্রযুক্তির উন্নতি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য এখন আর হারিকেন, দোয়াত, কুপি বাতি বা হ্যাজাকের ব্যবহার না করলেও স্মৃতি হিসেবে রেখে দিয়েছেন অনেকেই। কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুরই পরিবর্তন ঘটেছে।

back to top