বরুড়া (কুমিল্লা) : বিটরুট সবজি আবাদে সফল কৃষক হেকিম মো. জাকির হোসেন -সংবাদ
বরুড়ায়এই প্রথম থাইল্যান্ডের সবজি বিটরুট চাষ করে অসামান্য সাফল্য পেয়েছেন মো. জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার শিলমুড়ি উত্তর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক। এলাকায় তিনি হেকিম জাকির হোসেন নামে পরিচিত। সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, আয়ুর্বেদ চিকিৎসক মো. জাকির হোসেন চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি তিনি ইউটিউবের মাধ্যমে বিটরুট সবজির উপকারিতা এবং চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত হন। ফলে তার মধ্যে এ সবজি ফসলটির চাষাবাদে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তিনি পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিম বঙ্গের এক বন্ধুর মাধ্যমে বিটরুট এর আবাদ করার লক্ষ্যে প্রতি কেজি একুশ হাজার টাকা দরে তিন কেজি বিটরুট সবজির বীজ তেষট্টি হাজার টাকায় ক্রয় করে আনেন। গত প্রায় তিন মাস আগে তিনি তার নিজের দুটি পৃথক দাগে প্রায় আশি শতক জমিতে ওই বিটরুট সবজির বীজ বপন করেন। পরবর্তীতে নিবির পরিচর্যার মাধ্যমেবিটরুট সবজির আবাদে ভালো ফলন পেয়েছেন। বর্তমানে তার আবাদকৃত বিটরুট সবজির ক্ষেতজুড়ে পাতা সবুজ ও লাল রংয়ের আভায় মিশে আছে। আরনিচের মূল অংশটি বিটরুট গাঢ় গোলাপী বা লালচে বা বেগুনি রংয়ের। এমতাবস্থায় আবাদকৃত বিটরুট সবজি পরিপক্ক হওয়ায় হেকিম জাকির হোসেন তিনি তার ক্ষেত থেকে বিটরুট সবজি উত্তোলন করে তিনি তার কাছে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী সাধারনের মাঝে এবং স্থানীয় বাজারে করছেন। এছাড়া বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা ধরনের লোকজন এ সবজির ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন ভীড় করছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিটরুট সবজি আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। মো. জাকির হোসেন জানান, বছরের আগস্ট মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বিটরুট এর বীজ বপনের মাধ্যমে এর আবাদ শুরু করা হয়। উত্তম পরিচর্যার মাধ্যমে বপন থেকে প্রায় তিন মাসের মধ্যে এর ফসল উত্তোলন করা যায়।তিনি সম্পূর্ণ অর্গানিক উপায়ে অর্থাৎ কোন ধরণের রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করে তিনি তার আশি শতক জমিতে বিটরুট সবজি আবাদ করেছেন। প্রথমবারের মতো এ সবজির আবাদে সফল হয়েছেন বলে তিনি। আর এ আবাদে তার ব্যয় হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। বর্তমানে তিনি প্রায় দেড় লাখ টাকার বিটরুট সবজি বিক্রি করেছেন। তিনি আরও প্রায় দুই লাখ টাকার বিটরুট বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি জানান বিটরুট সবজি মানব দেহের জন্য অনেক উপকারী। এটি বহু মাত্রিক পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ। বিটরুট এন্টি অক্সিডেন্ট কারণে স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাবের জন্য বিটরুট বিশ্বব্যাপী সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত। এটি হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, বক্ষব্যাধিসহ ?বিভিন্ন দুরারোগ্য-ব্যাধি রোধে কার্যকরী। বিটরুট সালাদ, সবজি এবং জুস হিসেবে ও খাওয়া যায়। এ দিকে স্থানীয় হাট বাজারে এ সবজিটি প্রায় দেড় শত টাকায় কেজি প্রতি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর এর চাহিদাও রয়েছে বাজারে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, বিটরুট একটি রুট ভেজিটেবল জাতীয় উদ্ভিদ। এটি বিদেশী সবজি। এ সবজিটি দেহের শক্তি বাড়াতে ও রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বরুড়ায় এই প্রথম আয়ুর্বেদ চিকিৎসক কৃষক মো. জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তিভিটামিন সমৃদ্ধ বিটরুট সবজি আবাদ করে সাফল্য পেয়েছেন। এটি একটি লাভ জনক ফসল কৃষি বিভাগ থেকে এ ফসলটির কোনো ধরনের সহযোগিতা আসলে আমরা অবশ্যই তাকে সহযোগিতা করব। এছাড়া কেউ যদি এ ফসলটির আবাদ করতে আমাদের সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই পরামর্শ প্রদান করা হবে বলে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বরুড়া (কুমিল্লা) : বিটরুট সবজি আবাদে সফল কৃষক হেকিম মো. জাকির হোসেন -সংবাদ
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
বরুড়ায়এই প্রথম থাইল্যান্ডের সবজি বিটরুট চাষ করে অসামান্য সাফল্য পেয়েছেন মো. জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার শিলমুড়ি উত্তর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক। এলাকায় তিনি হেকিম জাকির হোসেন নামে পরিচিত। সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, আয়ুর্বেদ চিকিৎসক মো. জাকির হোসেন চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি তিনি ইউটিউবের মাধ্যমে বিটরুট সবজির উপকারিতা এবং চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত হন। ফলে তার মধ্যে এ সবজি ফসলটির চাষাবাদে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তিনি পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিম বঙ্গের এক বন্ধুর মাধ্যমে বিটরুট এর আবাদ করার লক্ষ্যে প্রতি কেজি একুশ হাজার টাকা দরে তিন কেজি বিটরুট সবজির বীজ তেষট্টি হাজার টাকায় ক্রয় করে আনেন। গত প্রায় তিন মাস আগে তিনি তার নিজের দুটি পৃথক দাগে প্রায় আশি শতক জমিতে ওই বিটরুট সবজির বীজ বপন করেন। পরবর্তীতে নিবির পরিচর্যার মাধ্যমেবিটরুট সবজির আবাদে ভালো ফলন পেয়েছেন। বর্তমানে তার আবাদকৃত বিটরুট সবজির ক্ষেতজুড়ে পাতা সবুজ ও লাল রংয়ের আভায় মিশে আছে। আরনিচের মূল অংশটি বিটরুট গাঢ় গোলাপী বা লালচে বা বেগুনি রংয়ের। এমতাবস্থায় আবাদকৃত বিটরুট সবজি পরিপক্ক হওয়ায় হেকিম জাকির হোসেন তিনি তার ক্ষেত থেকে বিটরুট সবজি উত্তোলন করে তিনি তার কাছে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী সাধারনের মাঝে এবং স্থানীয় বাজারে করছেন। এছাড়া বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা ধরনের লোকজন এ সবজির ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন ভীড় করছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিটরুট সবজি আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। মো. জাকির হোসেন জানান, বছরের আগস্ট মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বিটরুট এর বীজ বপনের মাধ্যমে এর আবাদ শুরু করা হয়। উত্তম পরিচর্যার মাধ্যমে বপন থেকে প্রায় তিন মাসের মধ্যে এর ফসল উত্তোলন করা যায়।তিনি সম্পূর্ণ অর্গানিক উপায়ে অর্থাৎ কোন ধরণের রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করে তিনি তার আশি শতক জমিতে বিটরুট সবজি আবাদ করেছেন। প্রথমবারের মতো এ সবজির আবাদে সফল হয়েছেন বলে তিনি। আর এ আবাদে তার ব্যয় হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। বর্তমানে তিনি প্রায় দেড় লাখ টাকার বিটরুট সবজি বিক্রি করেছেন। তিনি আরও প্রায় দুই লাখ টাকার বিটরুট বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি জানান বিটরুট সবজি মানব দেহের জন্য অনেক উপকারী। এটি বহু মাত্রিক পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ। বিটরুট এন্টি অক্সিডেন্ট কারণে স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাবের জন্য বিটরুট বিশ্বব্যাপী সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত। এটি হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, বক্ষব্যাধিসহ ?বিভিন্ন দুরারোগ্য-ব্যাধি রোধে কার্যকরী। বিটরুট সালাদ, সবজি এবং জুস হিসেবে ও খাওয়া যায়। এ দিকে স্থানীয় হাট বাজারে এ সবজিটি প্রায় দেড় শত টাকায় কেজি প্রতি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর এর চাহিদাও রয়েছে বাজারে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, বিটরুট একটি রুট ভেজিটেবল জাতীয় উদ্ভিদ। এটি বিদেশী সবজি। এ সবজিটি দেহের শক্তি বাড়াতে ও রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বরুড়ায় এই প্রথম আয়ুর্বেদ চিকিৎসক কৃষক মো. জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তিভিটামিন সমৃদ্ধ বিটরুট সবজি আবাদ করে সাফল্য পেয়েছেন। এটি একটি লাভ জনক ফসল কৃষি বিভাগ থেকে এ ফসলটির কোনো ধরনের সহযোগিতা আসলে আমরা অবশ্যই তাকে সহযোগিতা করব। এছাড়া কেউ যদি এ ফসলটির আবাদ করতে আমাদের সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই পরামর্শ প্রদান করা হবে বলে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।