বকশীগঞ্জ (জামালপুর) : সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া পরিচয়পত্র ও সনদ নিয়ে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা -সংবাদ
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়পত্র এবং সনদ নিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বকশীগঞ্জ উপজেলার ১৫০ জন লোক। হামিদুর রহমান নামে একজন মাদ্রাসা শিক্ষক সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়পত্র ও সনদ দিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণার করেন। প্রতিজন পরিচয়পত্র ও সনদ দিয়ে হামিদুর রহমান প্রতিজনের কাছ থেকে সেলামি নিয়েছেন ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। জানা গেছে, উপজেলার চন্দ্রাবাজ শেফালি মফিজ আলিম মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শাখার প্রধান শিক্ষক হামিদুর রহমান বাট্টাজোড় ইউনিয়নের বাসিন্দা হিসেবে মধ্যপলাশতলা গ্রামের ইসমাইল হোসেন, হাসমত আলী, খলিলুর রহমান, জমিলা বেগম ও আবেদন বেগমসহ ১৫০ জনকে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয়পত্র ও সনদ প্রদান করেন। ‘৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ’ সংগঠনের নামে প্রদত্ত সনদপত্রে লেখা ‘ঘরে ঘরে জাগ্রত করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’। উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার নিবন্ধন নম্বর ২৩৯/১৭। সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির পর সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদানের কথা বলে প্রতিজনের কাছে নেয়া হয়েছে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে। কিন্তু তালিকাভুক্তরা কোনো সুযোগ সুবিধা না পেয়ে তারা হামিদুর রহমানের কাছে টাকা ফেরত চান। কিন্তু হামিদুর রহমান টাকা ফেরত না দিয়ে নানভাবে টাল বাহনা করতে থাকে। তাই প্রতারিত ব্যাক্তিরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
প্রতারণার শিকার মধ্য পলাশতলা গ্রামের ইসমাইল হোসেন জানান, সম্মানি ভাতা, রেশন, সরকারি বসতবাড়ি এবং চাকরির কোটা সুবিধাসহ নানা সুবিধা পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দিয়ে প্রতারক হামিদুর রহমান আমাদের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয়পত্র এবং সনদ প্রদান করেন। কিন্তু দীর্ঘ ৫ বছরেও সরকারি এবং বেসরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা পাননি তারা।
তিনি প্রতারক হামিদুর রহমানের শাস্তি দাবি করেন। প্রতারক হামিদুর রহমান নাশকতা মামলায় জামালপুর কারাগারে আটক থাকায় এই ব্যাপারে তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি। বকশীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নওশেদ আলী জানান, সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বলতে কিছু নেই। যারা প্রতারণা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করছি। বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) : সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া পরিচয়পত্র ও সনদ নিয়ে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা -সংবাদ
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়পত্র এবং সনদ নিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বকশীগঞ্জ উপজেলার ১৫০ জন লোক। হামিদুর রহমান নামে একজন মাদ্রাসা শিক্ষক সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়পত্র ও সনদ দিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণার করেন। প্রতিজন পরিচয়পত্র ও সনদ দিয়ে হামিদুর রহমান প্রতিজনের কাছ থেকে সেলামি নিয়েছেন ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। জানা গেছে, উপজেলার চন্দ্রাবাজ শেফালি মফিজ আলিম মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শাখার প্রধান শিক্ষক হামিদুর রহমান বাট্টাজোড় ইউনিয়নের বাসিন্দা হিসেবে মধ্যপলাশতলা গ্রামের ইসমাইল হোসেন, হাসমত আলী, খলিলুর রহমান, জমিলা বেগম ও আবেদন বেগমসহ ১৫০ জনকে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয়পত্র ও সনদ প্রদান করেন। ‘৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ’ সংগঠনের নামে প্রদত্ত সনদপত্রে লেখা ‘ঘরে ঘরে জাগ্রত করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’। উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার নিবন্ধন নম্বর ২৩৯/১৭। সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির পর সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদানের কথা বলে প্রতিজনের কাছে নেয়া হয়েছে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে। কিন্তু তালিকাভুক্তরা কোনো সুযোগ সুবিধা না পেয়ে তারা হামিদুর রহমানের কাছে টাকা ফেরত চান। কিন্তু হামিদুর রহমান টাকা ফেরত না দিয়ে নানভাবে টাল বাহনা করতে থাকে। তাই প্রতারিত ব্যাক্তিরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
প্রতারণার শিকার মধ্য পলাশতলা গ্রামের ইসমাইল হোসেন জানান, সম্মানি ভাতা, রেশন, সরকারি বসতবাড়ি এবং চাকরির কোটা সুবিধাসহ নানা সুবিধা পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দিয়ে প্রতারক হামিদুর রহমান আমাদের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয়পত্র এবং সনদ প্রদান করেন। কিন্তু দীর্ঘ ৫ বছরেও সরকারি এবং বেসরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা পাননি তারা।
তিনি প্রতারক হামিদুর রহমানের শাস্তি দাবি করেন। প্রতারক হামিদুর রহমান নাশকতা মামলায় জামালপুর কারাগারে আটক থাকায় এই ব্যাপারে তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি। বকশীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নওশেদ আলী জানান, সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বলতে কিছু নেই। যারা প্রতারণা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করছি। বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।