সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।
এরমধ্যে সিলেটে র্যাব-৯ এর অভিযানে মাদকসহ এক যুবক গ্রেফতার হয়েছে। ঐ যুবকের নাম মো. মহরম আলী (৩৪)। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার কিরণপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-৯ এর মিডিয়া শাখা। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১২ মার্চ রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দোয়ারার বাংলাবাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩৭ বোতল বিদেশী মদ ও ১০ বোতল বিয়ারসহ মহরম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত দোয়ারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দক্ষিণ সুরমায় ২ জুয়ারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার বানিয়াচং গ্রামের সিজিল মিয়ার ছেলে মো. আবজল মিয়া এবং মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানার ইসলামপুর থানার মো. মানিক মিয়ার ছেলে মো. মমিন মিয়া। পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে নছিবাখাতুন গলির পার্শ্বে খোলা জায়গায় জুয়া খেলছিলো তারা। তাদেরকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
দক্ষিণ সুরমায় আরো এক অভিযানে একটি অবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কাজের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে কদমতলী এলাকার হোটেল আল হক আবাসিক থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ওই হোটেলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে এলাইচ মিয়া (৩৮) ও মাঈশা ইসলাম (১৯) কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
দাশপাড়া থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কসমেটিকসসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মো. নুর উদ্দিন (৩৩), জৈন্তাপুর থানার ঠাকুরেরমাটি গ্রামের মাখন মিয়ার ছেলে। গত বুধবার (১২ মার্চ) শাহপরাণ (রহ.) থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভারতীয় বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রীসহ একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করা হয়েছে। অভিযানে প্রায় ২৬ লাখ ৩৬ হাজার ২শ টাকা মূল্যের প্রসাধনী উদ্ধার করা হয় এবং একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, দাসপাড়া থেকে পৃথক অভিযানে ভারতীয় চিনিসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার ঘিলাবই গ্রামের মো. হাসমত আলীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং সিলেটের জৈন্তাপুর থানার লক্ষীপুরের ইব্রাহিম খলিলের ছেলে মো. সাহিন আলী। পুলিশকে ধোঁকা দিতে তারা ট্রাকের উপরে পাথর রেখে এর নিচে লুকিয়ে ভারতীয় চিনি পাচার করছিলো। কিন্তু শেষ রক্ষা হলোনা। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে দাসপাড়া এলাকায় চেকপোস্ট করাকালে একটি ট্রাক থামিয়ে তাতে তল্লাসী চালানো হয়। এসময় বড় বড় সাইজের পাথর সড়াতেই পুলিশ সদস্যরা দেখতে পান চিনির বস্তা। ট্রাকটিতে সাদা পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ২শ ৭৫ বস্তা ভারতীয় চিনি ছিল। যার মোট ওজন ১৩ হাজার ৪শ ৭৫ কেজি। প্রতিটি বস্তার গায়ে "WHITE CRYSTAL SUGAR, INDIA" লেখা ছিল। জব্দকৃত চিনির মূল্য আনুমানিক ১৬ লাখ ১৭ হাজার টাকা।
নগরীর বন্দরবাজারস্থ করিম উল্লাহ মার্কেটের সামনে হতে ২ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, জৈন্তাপুর থানার পানিছড়া চিকনাগুল এলাকার মনাফ মিয়ার ছেলে শাহেদ আহমদ (২০) ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার মান্তিপুর গ্রামের জিবু মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২৪)। এরমধ্যে শাহেদ সিলেটের লালাদিঘীরপাড় এবং রুবেল কুয়ারপাড়ে বসবাস করে আসছে। পুলিশ জানায়, গত বুধবার (১২ মার্চ) রাতে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ উল্লাহ মার্কেটের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। তারা উভয়েই চিহ্নিত ছিনতাইকারী। থাতাদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ছিনতাই মামলা রয়েছে।
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।
এরমধ্যে সিলেটে র্যাব-৯ এর অভিযানে মাদকসহ এক যুবক গ্রেফতার হয়েছে। ঐ যুবকের নাম মো. মহরম আলী (৩৪)। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার কিরণপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-৯ এর মিডিয়া শাখা। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১২ মার্চ রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দোয়ারার বাংলাবাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩৭ বোতল বিদেশী মদ ও ১০ বোতল বিয়ারসহ মহরম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত দোয়ারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দক্ষিণ সুরমায় ২ জুয়ারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার বানিয়াচং গ্রামের সিজিল মিয়ার ছেলে মো. আবজল মিয়া এবং মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানার ইসলামপুর থানার মো. মানিক মিয়ার ছেলে মো. মমিন মিয়া। পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে নছিবাখাতুন গলির পার্শ্বে খোলা জায়গায় জুয়া খেলছিলো তারা। তাদেরকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
দক্ষিণ সুরমায় আরো এক অভিযানে একটি অবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কাজের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে কদমতলী এলাকার হোটেল আল হক আবাসিক থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ওই হোটেলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে এলাইচ মিয়া (৩৮) ও মাঈশা ইসলাম (১৯) কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
দাশপাড়া থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কসমেটিকসসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মো. নুর উদ্দিন (৩৩), জৈন্তাপুর থানার ঠাকুরেরমাটি গ্রামের মাখন মিয়ার ছেলে। গত বুধবার (১২ মার্চ) শাহপরাণ (রহ.) থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভারতীয় বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রীসহ একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করা হয়েছে। অভিযানে প্রায় ২৬ লাখ ৩৬ হাজার ২শ টাকা মূল্যের প্রসাধনী উদ্ধার করা হয় এবং একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, দাসপাড়া থেকে পৃথক অভিযানে ভারতীয় চিনিসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার ঘিলাবই গ্রামের মো. হাসমত আলীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং সিলেটের জৈন্তাপুর থানার লক্ষীপুরের ইব্রাহিম খলিলের ছেলে মো. সাহিন আলী। পুলিশকে ধোঁকা দিতে তারা ট্রাকের উপরে পাথর রেখে এর নিচে লুকিয়ে ভারতীয় চিনি পাচার করছিলো। কিন্তু শেষ রক্ষা হলোনা। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে দাসপাড়া এলাকায় চেকপোস্ট করাকালে একটি ট্রাক থামিয়ে তাতে তল্লাসী চালানো হয়। এসময় বড় বড় সাইজের পাথর সড়াতেই পুলিশ সদস্যরা দেখতে পান চিনির বস্তা। ট্রাকটিতে সাদা পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ২শ ৭৫ বস্তা ভারতীয় চিনি ছিল। যার মোট ওজন ১৩ হাজার ৪শ ৭৫ কেজি। প্রতিটি বস্তার গায়ে "WHITE CRYSTAL SUGAR, INDIA" লেখা ছিল। জব্দকৃত চিনির মূল্য আনুমানিক ১৬ লাখ ১৭ হাজার টাকা।
নগরীর বন্দরবাজারস্থ করিম উল্লাহ মার্কেটের সামনে হতে ২ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, জৈন্তাপুর থানার পানিছড়া চিকনাগুল এলাকার মনাফ মিয়ার ছেলে শাহেদ আহমদ (২০) ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার মান্তিপুর গ্রামের জিবু মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২৪)। এরমধ্যে শাহেদ সিলেটের লালাদিঘীরপাড় এবং রুবেল কুয়ারপাড়ে বসবাস করে আসছে। পুলিশ জানায়, গত বুধবার (১২ মার্চ) রাতে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ উল্লাহ মার্কেটের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। তারা উভয়েই চিহ্নিত ছিনতাইকারী। থাতাদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ছিনতাই মামলা রয়েছে।