কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ফেইসবুকে পুরোনো একটি পোস্টে মন্তব্য করা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন, ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি বাড়িঘর। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, ২০২০ সালে জামায়াত সমর্থক মোহাম্মদ তারেক চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে আলোচনা হয়।
১৩ মার্চ যুবদল কর্মী হৃদয় সেই পুরোনো একটি পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘এ ঘটনায় তো এখনো ধর্ষণকারীর বিচার হয়নি।’ এই মন্তব্যের জেরে ১৬ মার্চ জামায়াত–শিবিরের কর্মীরা হৃদয়কে লক্ষ্মীপুর বাজারে মারধর করেন। পরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সোমবার রাতে স্থানীয়ভাবে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে দুই পক্ষের দুই শতাধিক মানুষ জড়ো হন। রাত ৮টার দিকে বৈঠক চলাকালে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে জামায়াতের অন্তত আটজন ও বিএনপির ১২ জনসহ মোট ২০ জন আহত হন। জামায়াতের পক্ষের আহতদের মধ্যে একজনকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে, তিনজনকে ফেনীর একটি হাসপাতালে এবং বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিএনপির পক্ষের আহতদের মধ্যে দুজনকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
আহতদের মধ্যে জামায়াতের মোহাম্মদ তারেক, আবু হানিফ, জাহিদ হোসেন, শাকিল হোসেন, সজীব হোসেন, নাছির উদ্দিন, একরামুল হক এবং বিএনপির মোহাম্মদ সবুজ, নাহিদ হোসেন, রিসাদ মিয়া, মো. ইউনুছ মিয়া, সুমন মিয়া, আবুল কালাম ও আবুল কাশেমের নাম জানা গেছে।
আলকরা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফ হোসেন বলেন, ২০২০ সালের ধর্ষণ মামলার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় এলে জামায়াত কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে যুবদল কর্মী হৃদয়কে মারধর করেন। পরে মীমাংসার নামে বৈঠকে ডেকে বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। সংঘর্ষে তাঁদের ১০-১২ জন আহত হন এবং বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
অন্যদিকে, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন বলেন, ফেসবুকের একটি মন্তব্য ঘিরে দুই যুবকের বিরোধ সামাজিক বিরোধে রূপ নেয়। বিএনপি বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তাঁরা চৌদ্দগ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা বলেন, জামায়াতের কর্মীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপি কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার অবস্থা শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ফেইসবুকে পুরোনো একটি পোস্টে মন্তব্য করা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন, ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি বাড়িঘর। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, ২০২০ সালে জামায়াত সমর্থক মোহাম্মদ তারেক চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে আলোচনা হয়।
১৩ মার্চ যুবদল কর্মী হৃদয় সেই পুরোনো একটি পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘এ ঘটনায় তো এখনো ধর্ষণকারীর বিচার হয়নি।’ এই মন্তব্যের জেরে ১৬ মার্চ জামায়াত–শিবিরের কর্মীরা হৃদয়কে লক্ষ্মীপুর বাজারে মারধর করেন। পরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সোমবার রাতে স্থানীয়ভাবে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে দুই পক্ষের দুই শতাধিক মানুষ জড়ো হন। রাত ৮টার দিকে বৈঠক চলাকালে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে জামায়াতের অন্তত আটজন ও বিএনপির ১২ জনসহ মোট ২০ জন আহত হন। জামায়াতের পক্ষের আহতদের মধ্যে একজনকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে, তিনজনকে ফেনীর একটি হাসপাতালে এবং বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিএনপির পক্ষের আহতদের মধ্যে দুজনকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
আহতদের মধ্যে জামায়াতের মোহাম্মদ তারেক, আবু হানিফ, জাহিদ হোসেন, শাকিল হোসেন, সজীব হোসেন, নাছির উদ্দিন, একরামুল হক এবং বিএনপির মোহাম্মদ সবুজ, নাহিদ হোসেন, রিসাদ মিয়া, মো. ইউনুছ মিয়া, সুমন মিয়া, আবুল কালাম ও আবুল কাশেমের নাম জানা গেছে।
আলকরা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফ হোসেন বলেন, ২০২০ সালের ধর্ষণ মামলার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় এলে জামায়াত কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে যুবদল কর্মী হৃদয়কে মারধর করেন। পরে মীমাংসার নামে বৈঠকে ডেকে বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। সংঘর্ষে তাঁদের ১০-১২ জন আহত হন এবং বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
অন্যদিকে, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন বলেন, ফেসবুকের একটি মন্তব্য ঘিরে দুই যুবকের বিরোধ সামাজিক বিরোধে রূপ নেয়। বিএনপি বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তাঁরা চৌদ্দগ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা বলেন, জামায়াতের কর্মীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপি কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার অবস্থা শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।