টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) : চাঁদাবাজি ছাড়াই এখন আলু নদী পারা করছেন কৃষকরা -সংবাদ
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার চরে উৎপাদিত আলু হাসাইল ঘাট দিয়ে ওঠাতে খাস কালেকশনের নামে ইউপি চেয়াম্যানের চাঁদা আদায় বন্ধ করে দিয়েছেন ইউএও।
হাসাইল চরের আলু চাষিরা জানান, হাসাইল নদীর দক্ষিণ চরে উৎপাদিত আলু পারাপারে প্রতি বছরই বস্তাপ্রতি ৫-৭ টাকা গুনতে হতো। সম্প্রতি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান তার লোকজন দিয়ে খাস কালেকশনের নামে বস্তা প্রতি ১২ টাকা করে আদায় করছেন। কষ্ট করে আলু ফলাই, ট্রলার ভাড়া করে ঘাটে আনি। আর ঘাটে আসলে জোরপূর্বক টাকা নেয় চেয়ারম্যান। এটা আমাদের উপর জুলুম।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এ খেয়া ঘাটের ইজারা মুল্য ৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সময়মত কাঙ্খিত মুল্যে কেউ এ ঘাটের ইজারা দরপত্র কেনেননি। এ বছরে হাসাইল-বানারীর সহকারী ভূমি কর্মকর্তার মাধ্যমে খাস কালেকশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, খাস কালেকশনের নামে প্রতি মাসে এ ঘাট থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে। অথচ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয় মাত্র ২০ হাজার টাকা। এ মৌসুমে প্রতিদিন এ ঘাট থেকে ৭০-৮০ হাজার টাকা উঠছে। চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা যোগসাজশে স্থানীয় চেয়ারম্যান পারভেজ শেখ নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে বস্তা প্রতি ১২ টাকা আদায় করেন থাকেন। এ বিষয়ে পারভেজ শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান এর নির্দেশেই টাকা তুলছেন তিনি। চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান বলেন, ১২ টাকা নেই না। শ্রমিকদের জন্য বস্তা প্রতি ১০ টাকা করে নেওয়া হয়। সেই টাকা তো শ্রমিকদের দেওয়া হয়। খাস কালেকশনের টাকা তোলার দ্বায়িত্ব আপনি কোথা থেকে পেলেন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা দ্বায়িত্ব দিয়েছেন।
হাসাইল-বানারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের কাজের অনেক চাপ থাকে, তাই চেয়ারম্যানকে ঘাটের টাকা তোলার দ্বায়িত্ব দিয়েছিলাম। মাস শেষে তারা ২০ হাজার টাকা দেয়। সে টাকা আমরা সরকারি কোষাগারে জমা দেই।
এদিকে আলুর বস্তা থেকে টাকা তোলার অভিযোগ পেয়ে নরেচরে বসে উপজেলা প্রশাসন। ঘটনাস্থলে পৌছে আলুর বস্তা থেকে টাকা তোলার এ অশুভ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নৌ পথে কৃষকের আলু আনা-নেয়ায় কোনো টাকা তোলা যাবে না। উপজেলা প্রশাসন থেকে হাসাইল ট্রলার ঘাটে একটি ব্যানার টানানো হয়েছে।
চাঁদা আদায় তো দূরের কথা, কৃষকদের কোনো রকম হয়রানী করলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে যেই হোক এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই।
টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) : চাঁদাবাজি ছাড়াই এখন আলু নদী পারা করছেন কৃষকরা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার চরে উৎপাদিত আলু হাসাইল ঘাট দিয়ে ওঠাতে খাস কালেকশনের নামে ইউপি চেয়াম্যানের চাঁদা আদায় বন্ধ করে দিয়েছেন ইউএও।
হাসাইল চরের আলু চাষিরা জানান, হাসাইল নদীর দক্ষিণ চরে উৎপাদিত আলু পারাপারে প্রতি বছরই বস্তাপ্রতি ৫-৭ টাকা গুনতে হতো। সম্প্রতি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান তার লোকজন দিয়ে খাস কালেকশনের নামে বস্তা প্রতি ১২ টাকা করে আদায় করছেন। কষ্ট করে আলু ফলাই, ট্রলার ভাড়া করে ঘাটে আনি। আর ঘাটে আসলে জোরপূর্বক টাকা নেয় চেয়ারম্যান। এটা আমাদের উপর জুলুম।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এ খেয়া ঘাটের ইজারা মুল্য ৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সময়মত কাঙ্খিত মুল্যে কেউ এ ঘাটের ইজারা দরপত্র কেনেননি। এ বছরে হাসাইল-বানারীর সহকারী ভূমি কর্মকর্তার মাধ্যমে খাস কালেকশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, খাস কালেকশনের নামে প্রতি মাসে এ ঘাট থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে। অথচ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয় মাত্র ২০ হাজার টাকা। এ মৌসুমে প্রতিদিন এ ঘাট থেকে ৭০-৮০ হাজার টাকা উঠছে। চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা যোগসাজশে স্থানীয় চেয়ারম্যান পারভেজ শেখ নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে বস্তা প্রতি ১২ টাকা আদায় করেন থাকেন। এ বিষয়ে পারভেজ শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান এর নির্দেশেই টাকা তুলছেন তিনি। চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান বলেন, ১২ টাকা নেই না। শ্রমিকদের জন্য বস্তা প্রতি ১০ টাকা করে নেওয়া হয়। সেই টাকা তো শ্রমিকদের দেওয়া হয়। খাস কালেকশনের টাকা তোলার দ্বায়িত্ব আপনি কোথা থেকে পেলেন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা দ্বায়িত্ব দিয়েছেন।
হাসাইল-বানারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের কাজের অনেক চাপ থাকে, তাই চেয়ারম্যানকে ঘাটের টাকা তোলার দ্বায়িত্ব দিয়েছিলাম। মাস শেষে তারা ২০ হাজার টাকা দেয়। সে টাকা আমরা সরকারি কোষাগারে জমা দেই।
এদিকে আলুর বস্তা থেকে টাকা তোলার অভিযোগ পেয়ে নরেচরে বসে উপজেলা প্রশাসন। ঘটনাস্থলে পৌছে আলুর বস্তা থেকে টাকা তোলার এ অশুভ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নৌ পথে কৃষকের আলু আনা-নেয়ায় কোনো টাকা তোলা যাবে না। উপজেলা প্রশাসন থেকে হাসাইল ট্রলার ঘাটে একটি ব্যানার টানানো হয়েছে।
চাঁদা আদায় তো দূরের কথা, কৃষকদের কোনো রকম হয়রানী করলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে যেই হোক এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই।