গ্রামীন উন্নয়নে একটি প্যাকেজে ৪টি সড়ক করার জন্য প্রায় ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দে দরপত্র আহ্বানের পর ম্যাক্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। কিন্তু সড়কগুলো বক্স কেটে বালি ফেলে রাখে
কুমিল্লার লাকসামে দীর্ঘ আড়াই বছরে শেষ হয়নি একটি সড়কের পাকাকরণের কাজ। এতে এ সড়কে নিত্য চলাচলকারী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষক, চাকরিজীবীসহ নানা শ্রেণীপেশার প্রায় ২০টি গ্রামের শত শত মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকার মানুষ। এছাড়া সড়কটির কাজ বন্ধ থাকায় এ এলাকার কৃষি পণ্যসহ খামারিদের উৎপাদিত মুরগি ও ডিম বাজারজাত করতেও নানা সমস্যার কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।
স্থানীয়রা জানান, এ সড়কের পাশে রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, প্রাথমিক স্কুল, এতিমখানা, মসজিদ, মাদ্রাসা।
দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির দূরবস্থার কারণে এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসা যাওয়া করতেও এলাকার মানুষ প্রতিদিন সীমাহীন কষ্ট করতে হচ্ছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলার লাকসাম উপজেলার বাকই দক্ষিন ইউনিয়নের মজলিসপুর হতে বরইগাঁও দেড় কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকাকরণের জন্য কার্য্যাদেশ দেন। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩ থেকে ৪ ফুট গভীর করে বক্স কেটে কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু ওই সড়কে শুধু বালি ফেলে কাজ বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
এতে আড়াই বছর ওই এলাকার বরইগাও, কোটাইসা, দেবীপুর, কোয়ায়, নৈড়পাড়, নোয়াপাড়া, বিরামপুর, হরিশ্চর, মধুচর, দুপচর, পেরুল, মজলিস পুর, বাকই, কেমতলী গ্রামের মানুষ বালি ফেলে রাখার কারণে সাধারণ চলাচল দূরের কথা পা হেটেও চলাচল করতে পারে না। ফলে এসব গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে এম্বুলেন্স পর্যন্ত আসতে চায় না।
এ সড়কের দু’ পাশে বিশাল ফসলের মাঠ অথচ সড়কটির কারণ ফসল ঘরে তোলা যায় না বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা। এছাড়া গেল বন্যা ও বর্ষাকালে এ সড়কটি দিয়ে মানুষ নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। তবে পানি কমে গেলে এ সড়কে কাদার কারণে আর চলাচল করতে পারে না। এদিকে সড়কটির কারণে এ এলাকার মানুষ স্থানীয় হাট-বাজারে যেতে কষ্ট পোহাতে হয়।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানায়, গ্রামীন উন্নয়নে একটি প্যাকেজে ৪টি সড়ক করার জন্য প্রায় ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দে দরপত্র আহ্বানের পর ম্যাক্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। কিন্তু সড়কগুলো বক্স কেটে বালি ফেলে রাখে। আড়াই বছরে সড়কগুলোতে কোনটিতে ৫ শতাংশ কোনটিতে ১৫ শতাংশ কাজ হয়েছে।
এলাকার রফিক সর্দার জানান, সড়কটি এ এলাকার একমাত্র চলাচলের রাস্তা, এটির বেহাল অবস্থার কারণে আমরা অফিসে গেলে ঠিকাদারের লোকজন এসে টেপ ফিতা দিয়ে মেপে আবার চলে যান। এ ভাবে চলছে আড়াই বছর। এ রাস্তা দিয়ে আমরা চলাচল তো দূরের কথা পা হেটে এখন মসজিদেও যেতে পারি না।
ওই গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী শাহ আলম মজুমদার জানান, এ সড়কটির কারণে দীর্ঘ দিন প্রবাস থেকে এসে বাড়ীতে গাড়ী নিয়ে আসতে পারিনি, অথচ আমরা দেশে লাখ লাখ টাকা রেমিট্যান্স পাঠাই এগুলো যায় কই।
লাকসাম উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. সাদেকুর জাহান দিনার জানান, নানান জটিলতায় সড়কটির কাজ শেষ করা যায়নি।তবে ঠিকাদারকে বলেছি দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করতে।
এদিকে কুমিল্লা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফ জামিল, এ সড়কটিসহ জেলার অন্যান্য উপজেলায় যে কাজ বন্ধ রয়েছে সে গুলো দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গ্রামীন উন্নয়নে একটি প্যাকেজে ৪টি সড়ক করার জন্য প্রায় ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দে দরপত্র আহ্বানের পর ম্যাক্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। কিন্তু সড়কগুলো বক্স কেটে বালি ফেলে রাখে
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
কুমিল্লার লাকসামে দীর্ঘ আড়াই বছরে শেষ হয়নি একটি সড়কের পাকাকরণের কাজ। এতে এ সড়কে নিত্য চলাচলকারী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষক, চাকরিজীবীসহ নানা শ্রেণীপেশার প্রায় ২০টি গ্রামের শত শত মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকার মানুষ। এছাড়া সড়কটির কাজ বন্ধ থাকায় এ এলাকার কৃষি পণ্যসহ খামারিদের উৎপাদিত মুরগি ও ডিম বাজারজাত করতেও নানা সমস্যার কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।
স্থানীয়রা জানান, এ সড়কের পাশে রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, প্রাথমিক স্কুল, এতিমখানা, মসজিদ, মাদ্রাসা।
দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির দূরবস্থার কারণে এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসা যাওয়া করতেও এলাকার মানুষ প্রতিদিন সীমাহীন কষ্ট করতে হচ্ছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলার লাকসাম উপজেলার বাকই দক্ষিন ইউনিয়নের মজলিসপুর হতে বরইগাঁও দেড় কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকাকরণের জন্য কার্য্যাদেশ দেন। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩ থেকে ৪ ফুট গভীর করে বক্স কেটে কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু ওই সড়কে শুধু বালি ফেলে কাজ বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
এতে আড়াই বছর ওই এলাকার বরইগাও, কোটাইসা, দেবীপুর, কোয়ায়, নৈড়পাড়, নোয়াপাড়া, বিরামপুর, হরিশ্চর, মধুচর, দুপচর, পেরুল, মজলিস পুর, বাকই, কেমতলী গ্রামের মানুষ বালি ফেলে রাখার কারণে সাধারণ চলাচল দূরের কথা পা হেটেও চলাচল করতে পারে না। ফলে এসব গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে এম্বুলেন্স পর্যন্ত আসতে চায় না।
এ সড়কের দু’ পাশে বিশাল ফসলের মাঠ অথচ সড়কটির কারণ ফসল ঘরে তোলা যায় না বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা। এছাড়া গেল বন্যা ও বর্ষাকালে এ সড়কটি দিয়ে মানুষ নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। তবে পানি কমে গেলে এ সড়কে কাদার কারণে আর চলাচল করতে পারে না। এদিকে সড়কটির কারণে এ এলাকার মানুষ স্থানীয় হাট-বাজারে যেতে কষ্ট পোহাতে হয়।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানায়, গ্রামীন উন্নয়নে একটি প্যাকেজে ৪টি সড়ক করার জন্য প্রায় ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দে দরপত্র আহ্বানের পর ম্যাক্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। কিন্তু সড়কগুলো বক্স কেটে বালি ফেলে রাখে। আড়াই বছরে সড়কগুলোতে কোনটিতে ৫ শতাংশ কোনটিতে ১৫ শতাংশ কাজ হয়েছে।
এলাকার রফিক সর্দার জানান, সড়কটি এ এলাকার একমাত্র চলাচলের রাস্তা, এটির বেহাল অবস্থার কারণে আমরা অফিসে গেলে ঠিকাদারের লোকজন এসে টেপ ফিতা দিয়ে মেপে আবার চলে যান। এ ভাবে চলছে আড়াই বছর। এ রাস্তা দিয়ে আমরা চলাচল তো দূরের কথা পা হেটে এখন মসজিদেও যেতে পারি না।
ওই গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী শাহ আলম মজুমদার জানান, এ সড়কটির কারণে দীর্ঘ দিন প্রবাস থেকে এসে বাড়ীতে গাড়ী নিয়ে আসতে পারিনি, অথচ আমরা দেশে লাখ লাখ টাকা রেমিট্যান্স পাঠাই এগুলো যায় কই।
লাকসাম উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. সাদেকুর জাহান দিনার জানান, নানান জটিলতায় সড়কটির কাজ শেষ করা যায়নি।তবে ঠিকাদারকে বলেছি দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করতে।
এদিকে কুমিল্লা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফ জামিল, এ সড়কটিসহ জেলার অন্যান্য উপজেলায় যে কাজ বন্ধ রয়েছে সে গুলো দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।